নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 07/05/2021
জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র। তখন আইপিএল খেলা বাকি দলগুলোর খেলোয়াড়দের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা আতঙ্ক। শেষ অবধি মাঝপথে স্থগিত করতে হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই আসর।
তবে এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন নিজের যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সেটি শুনিয়েছেন এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস। আইপিএলের বিভিন্ন দলে খেলতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার ১০ জন ক্রিকেটারই নিরাপদে দেশে ফিরেছেন। তার আগেই ক্রিস মরিস শুনিয়েছেন আইপিএলে নিজের ভয়ের অভিজ্ঞতা, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি অনেক স্বস্তি বোধ করছি। যে মুহূর্তে আমরা শুনলাম, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেও প্লেয়াররাও পজিটিভ হয়েছেন, তখনই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সোমবার যখন ম্যাচ (কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর) বাতিল হয়ে গেল, সেই মুহূর্তে আমরা বুঝেছিলাম, এই টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তখন আমাদের দলের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় সাঙ্গাকারা (দলের হেড কোচ) আসেন। তার থেকেই জানতে পারি, টুর্নামেন্টটি হচ্ছে না। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। আসলে ইংল্যান্ডে পৌঁছানোর পর, ওদের আগে কোনও হোটেলে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকাটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেখানে কোনও হোটেলেই কোনও ঘর ফাঁকা ছিল না।’
অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাইয়ের পরিবর্তে টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার কিছুদিন আগেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ২০ বছর বয়সী পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি। এই ঘটনায় তরুণ ক্রিকেটার রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। মরিস তাকে ভরসা দেন। এই ব্যাপারে মরিস বলেন, ‘আমি ওকে (জেরাল্ড কোয়েটজি) আমার কাছে এনে রেখেছিলাম। যতক্ষণ না আমরা হোটেল ছেড়েছি, ততক্ষণ ভয়ে ভয়ে কাটিয়েছি।’
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭