নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 10/05/2021
ঈদের আর বেশি দিন নেই। তবে ঈদের প্রস্তুতি স্বরুপ বাজার ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর ঈদে মেহেদী না থেকলে যেন ঈদের পূর্ণতা পায় না। তাই অনেকেই এখনি অন্যান্য বাজারের সাথে মেহেদী কিনছেন। তবে ঈদের মেয়েদী নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই চলছে নানান সমালোচনা। সামাজিক মাধ্যমে ঈদের মেহেদী দিয়ে হাতে ফোসকা পড়ার মত ছবিও দেখা গেছে অনেক। তাই মেহেদি কেনার আগে সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে নিন মেহেদি নকল কি-না তা চেনার উপায়-
১। খাঁটি মেহেদির রং কখনো কালো হয় না। সব ধরনের কালো মেহেদিতেই ভেজাল বা কেমিকেল মেশানো থাকে।
২। আসল মেহেদি কখনোই ৫ মিনিট বা তার কম সময়ে গাড় রং দেয় না। ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর আসল মেহেদির রং গাঢ় হতে থাকে।
৩। মেহেদির রং গাঢ় খয়েরি না হলে অনেকেরই মন খারাপ হয়ে যায়। তবে জানেন কি? আসল মেহেদির রং কখনোই এতোটা গাঢ় হয় না।
৪। মেহেদির কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনুন। বেশি পুরোনো হলে আবার রং না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৫। পার্লারে মেহেদি লাগাতে গেলে দেখে নিন নতুন মেহেদি দিচ্ছে কি-না। প্রয়োজনে নিজেই মেহেদি কিনে নিয়ে যান।
৬। ফ্রিজে রাখা মেহেদি ব্যবহারের আগে কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। তারপর হাতে লাগান।
৭। শিশুদের হাতে দেওয়ার জন্য পাতা মেহেদি বেটে হাতে লাগাতে হবে। এতে শিশুর কোমল হাত সুরক্ষিত থাকবে।
৮। ৫ মিনিটেই গাঢ় লাল রং পেতে এখন অনেকেই বিভিন্ন মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো ত্বক এমনকি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এগুলোতে প্রচুর কেমিকেল থাকে।
৯। যেকোনো মেহেদি ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে হাতে অথবা কানের পিছনে ব্যবহার করুন। এতে অ্যালার্জি হলে জ্বালা-পোড়া করবে বা চুলকাবে। এমন হলে ওই মেহেদি ব্যবহার করবেন না।
১০। মেহেদিতে সাধারণত কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের কোষগুলোকে মেরে ফেলে এবং এর প্রতিরোধক ক্ষমতাকে ধ্বংস করে। ফলে মেহেদির রং দ্রুত গাঢ় হয়।
১১। মেহেদি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার কারণ হলো এতে মেশানো পিপিডি কালি। এই কেমিকেল ত্বকের মারাত্মক অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল মেশানো হয় মেহেদিতে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭