ইনসাইড টক

`দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে দিলে মানুষের উপকার হবে`

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/05/2021


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, যারা বাড়ি গেছে তারা চার পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গেছে। দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে দিলে মানুষের উপকার হবে, জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো এই যে ভেঙে ভেঙে মানুষ বাড়িতে গিয়েছিলো, তারা যেনো আর ভেঙে ভেঙে না আসতে পারে। এই কারণে আমার কাছে মনে হয়, দ্রুত দূরপাল্লার বাসগুলো খুলে দেওয়া উচিৎ হবে।

ঈদে বাড়ির ফেরার স্বাস্থ্যবিধির বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।

ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মানুষ গ্রামে যাওয়ার জন্য খুব কষ্ট করেছে। অনেকের বাড়ি যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। সব থেকে ভয়াবহ হয়েছে দূরপাল্লার বাস বন্ধ, কিন্তু যাত্রা তো বন্ধ নাই। ফলে মানুষ ভেঙে ভেঙে গেছে। এক গাড়ি থেকে আরেক গাড়িতে উঠেছে। কেউ কেউ ১০ জায়গায় গাড়ি বদলিয়েছে। এভাবে বদলিয়ে বদলিয়ে তারা গন্তব্যে পৌঁছেছে। এখন তারা তো জানে না যে তার পাশের জনের ভাইরাস আছে কিনা। হয়ত অনেকের পাশের জনের এই ভাইরাস ছিলো। এভাবে সব জায়গায় ছরিয়ে গেছে। কার মধ্যে ভাইরাস আছে সেটা আমরা জনি না তো। ফলে সে ভাইরাসটি হয় ছড়িয়েছে অথবা যেকোনো ভাবে বহন করে ঘরে নিয়ে গেছে। এরপর বাবা, মা, দাদা, দাদি এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছরিয়েছে। এভাবে পারা-প্রতিবেশি, আশে পাশে গ্রামের সবার মধ্যে এই ভাইরাস ছরিয়ে গেছে। যেটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, যেহেতু তারা চলেই গেছে, তারা তো আবার ঢাকায় ফেরত আসবে। এখন এদের ঠেকানোর জন্য দুইটি কাজ করা যায়। প্রথমত সরকার দূরপাল্লার সব যানবাহন খুলে দিক। নইলে আবার তারা ভেঙে ভেঙে আসবে তাতে করে বেশি পরিমাণে ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হোক এবং এসব যানবাহনে যেনো কঠোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। বাসস্ট্যান্ডে পানি, সাবান, মাস্ক রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যাত্রী সীমিত আকারে পরিবহন করতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করতে হবে যে যাত্রীরা যেনো মাস্ক পরে। লাগলে বাসের মধ্যেও কিছু মাস্ক রাখা যেতে পারে। কারোর মাস্ক দরকার হলে মাস্ক পরিয়ে দিবে। ড্রাইভার, হেলাপারকে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি ঘরেফেরা মানুষদেরকে আবার ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করা হয়, অন্তত এই দুর্ভোগটা লাঘব হবে।

ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, যারা বাড়ি গেছে তারা চার পাঁচ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গেছে। দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে দিলে মানুষের উপকার হবে, জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। সবচেয়ে ভয়াবহ হলো এই যে ভেঙে ভেঙে মানুষ বাড়িতে গিয়েছিলো, তারা যেনো আর ভেঙে ভেঙে না আসতে পারে। এই কারণে আমার কাছে মনে হয়, দ্রুত দূরপাল্লার বাসগুলো খুলে দেওয়া উচিৎ হবে।

তিনি বলেন, সরকার আরো একটা কাজ করতে পারে। আবার যেহেতু লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে, সেহেতু যারা বাড়ি গেছে লকডাউনের নামে তাদের আরও ১০ দিন বা ১৪ দিন ছুটি দেওয়া হোক। তাদেরকে বলা উচিৎ আপনারা ১৪ দিন পরে আসেন। কারণ এখন ঢাকায় এসে করোনা ছড়ানো চেয়ে ১৪ দিন লাকডাউন দিয়ে ছুটি তাদেরকে ঠেকানো। সরকার ছুটিটা ১০ দিন বা ১৪ দিন বাড়িয়ে দিক। তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে বলে আমার মনে হয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭