ইনসাইড থট

নস্টালজিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 06/10/2017


Thumbnail

পুরো বাংলাদেশ গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এক ধরনের বিষন্নতায় ভুগছে। খবরের কাগজ খুললেই প্রথম পৃষ্ঠায় কোনো একটি মন খারাপ করা ছবি দেখতে হয়। খবরের কাগজের একটা বড় অংশ জুড়ে রোহিঙ্গাদের ওপর আমানুষিক কোনো না কোনো খবর থাকে। যারা টেলিভিশন দেখেন তাঁরা স্বচক্ষে রোহিঙ্গাদের কতটুকু আরো তীব্র ভাবে দেখতে পান। ইন্টারনেটের সামাজিক নেটওয়ার্কে যেহেতু অনেক কিছু সরাসরি দেখানো সম্ভব হয় অনুমান করছি সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ছবি কিংবা ভিত্তিও আরও অনেক বেশি নির্মম। এই অমানুষিক নির্যাতনের শিকার মানুষগুলোকে যখন বাংলাদেশের কোনো একটি ক্যাম্পে দেখি তখন একটি মাত্র শান্তনা যে এখন তাদেরকে আর কেউ মেরে ফেলবে না, কষ্ট হোক, যুন্ত্রনা হোক মানুষগুলো প্রাণে বেঁচে গেছে। এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও ছোট শিশুদের হাসিটুকু দেখে মনে হয় পৃথিবীটা এখনো শেষ হয় যায় নি।

আমি প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে এই দেশের অনেক পত্র প্ত্রিকায় লিখি, কেন লিখি নিজেও জানি না। আমি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই তাই দেশ সমাজ কিংবা পৃথিবীর কোনো গুরত্বপূর্ণ বিষয়কে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা আমার নেই। তাই নিজের দুঃখ বা আনন্দটুকু পাঠকদের সাথে ভাগাভাগি করে নিই। রোহিঙ্গাদের এই কষ্টটুকু শুরু হওয়ার পর মনে হচ্ছিল এখন থেকে বুঝি শুধু তাদের নিয়েই লিখতে হবে, অন্য কিছু লেখার মতো মানসিক অবস্থা হয়তো কখনোই আসবে না। কিন্তু আজ আসলে খবরের কাগজে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের খবরটি পড়ে মনে হলো একবার হলেও সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বিষয় নিয়ে একটু খানি লিখি।

২০১৪ সালে যখন প্রথমবার গ্র্যাভিটি ওয়েভ বা মহাকর্ষ তরঙ্গ বিজ্ঞানীরা তাদের ল্যাবরেটরিতে দেখতে পেয়েছিলেন সেটি বিজ্ঞানের জগতে অনেক বড় একটি খবর ছিল। সাধারণ মানুষেরা হয়তো খবরটি পড়েছেন কিন্তু খবরটির গুরত্বটুকু নিশ্চয়ই ধরতে পারেননি। এই মহাবিশ্বে কোটি কোটি গ্যালাক্সির একটি গ্যালাক্সি আমাদের ছায়াপথ, সেই ছায়াপথের কোটি কোটি নক্ষত্রের একটি নক্ষত্র সূর্য, সি সূর্যের আটটি গ্রহের একটি গ্রহ পৃথিবী এবং সেই পৃথিবীর অসংখ্য পাণীর একটি প্রাণী হচ্ছে মানুষ! এই অতি ক্ষুদ্র মানুষ এই পৃথিবী নামক এই গ্রহটিতে থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির গোপন রহস্য বের করতে পেরেছেন সেটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার মনে হয়। সেটি করার জন্য বিজ্ঞানীরা গ্রহ নক্ষত্র গ্যালাক্সির দিকে তাকিয়েছেন, সেখান থেকে যে আলো এসেছে সেটি দেখেছেন। টেলিস্কোপে শুধু আলো দেখে সন্তুষ্ঠ থাকেন নি , রেডিও তরঙ্গ দেখেছেন, এক্স রে দেখেছেন, গামা রে দেখেছেন। শুধু তাই নয় নিউট্রিনো নামে রহস্যময় কণাকে খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করেছেন। একটি পরমাণুর ভিতরে কি আছে বা নিউক্লিয়াসের ভিতরে কী আছে সেটি দেখার জন্য বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে বড় বড় এক্সেলেটর তৈরি করেছেন এবং সেগুলো ব্যবহার করে তার ভেতরের রহস্য ভেদ করেছেন। কিন্তু মহাবিশ্বের গ্যালাক্সি কীভাবে তৈরি হয় কিংবা নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু কীভাবে হয় কিংবা ব্ল্যাক হোল কীভাবে স্থান কালকে পাল্টে দেয় সেগুলো বোঝার জন্য তাঁরা ল্যাবরেটরিতে সেগুলো নিয়ে আসতে পারেন না। সেটি করার জন্য তাদেরকে মহাকাশের দিকে তাকিয়ে পর্যবেক্ষন করতে হয়। পর্যবেক্ষন করেন আলো কংবা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ, কখনো কখনো নিউট্রিনো।

বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষন করার জন্য নূতন একটি পদ্ধিতি বের করেছেন, প্রায় অর্ধ শতাব্দী চেষ্টা করে তারা গ্র্যাভিটি ওয়েভ বা মহাকর্ষ তরঙ্গ নামে সম্পূর্ন নূতন তরঙ্গ দেখতে সক্ষম হয়েছেন যেটি পদার্থ বিজ্ঞানের জগতের জন্যে একেবারে নূতন একটি দিগন্ত উন্মোচন করেছে ২০১৫ সালে প্রথমবার যখন তারা মহাকর্ষ তরঙ্গ দেখেছেন সেটি ছিল দুটি ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষ। দুটো ব্ল্যাকহোল কয়েক বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে একটি আরেকটিকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছিল। তাদের ঘুরপাকের কারণে মহাকর্ষ তরঙ্গের তৈরি হয়েছে এবং সেই তরঙ্গ তাদের শক্তি সরিয়ে নিচ্ছিল ফলে একে অন্যের কাছাকাছি চলে এসে একসময় দুটো মিলিত হয়ে নূতন একটা বড় ব্ল্যাখোল তৈরি করেছে।

১৯১৫ সালে আইনস্টাইন তার জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি প্রকাশ করেন এবং যেটি বিশ্লেণন করে প্রথম মহাকর্ষ তরঙ্গের ভবিষ্যতবানী করা হয়েছিল। তখন তিনি নিজেও হয়তো বিশ্বাস করেন নি যে ঠিক একশো বছর পর পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এটি নিজের চোখে দেখতে পাবেন। বিষয়টি কত কঠিন ছিল সেটি অনুমান করাও কঠিন, কারণ এটি দেখতে হলে বিশাল পৃথিবীর আকার যদি একটি পরমাণুর আকারে সংকুচিত হয় সেটি দেখার ক্ষমতা থাকতে হবে। একটি পরমাণু কতো ছোট সেটি যারা না জানে তাদেরকে অনুভব করানো প্রায় দুঃসাধ্য!

বিজ্ঞানীরা সেই অসাধ্য সাধন করেছেন এবং এখন পর্যন্ত চারবার সুনিশ্চিতভাবে মহাকর্ষ তরঙ্গ দেখতে পেয়েছেন এবং চারবারই কয়েক বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে দুটি ব্ল্যাক হোলে একটি আরেকটির সঙ্গে পাক খেতে খেতে এক সময় একত্রিত হয়ে একটি বড় ব্ল্যাকহোলে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম ২০১৬ সালেই তাদের নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হবে, কিন্তু নিশ্চয়ই নোবেল পুরষ্কার দেয়ার আগেই একটু যাচাই বাছাই করে দেওয়া হয় তাই ২০১৬ সালে না দিয়ে এইদের দেওয়া হলো।

নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তিনজন, একজনেম আইটির প্রফেসর অন্য দুইজন ক্যালটেকের। নোবেল পুরষ্কারের ঘোষণাটি দেখে আমি ভিন্ন এক ধরনের আনন্দ পেয়েছি কারণ ক্যালটেকে আমি পোস্ট ডক কাজ করেছি এবং যে দুজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আমি তাঁদের চিনি!সত্যি কথা বলতে কী এই দুইজন অধ্যাপকের একজন, কিপ থর্নের অফিসটি ছিল আমার অফিসের খুব কাছে। প্রায় প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হতো। তাঁর অফিসটি অন্য যেকোনো অফিস থেকে ভিন্ন। তিনি বাজি ধরতে খুব পছন্দ করতেন এবং পৃথিবীর অন্যান্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তিনি নানা বিষয়ে বাজি ধরতেন। সেই বাজির বিষয়বস্তু ছিল খুব চমকপ্রদ। স্টিফেন হর্কিংসের সঙ্গে তিনি বাজি ধরেছিলেন যে সিগনাস এক্স ওয়ান নামের নক্ষত্র আসলে একটি ব্লাকহোল। দুজনের স্বাক্ষরসহ ১৯৭৫ সালের বাজির কাগজটি ছোট একটা ফ্রেমে কিপ থর্নের অফিসে সামনে টাঙ্গানো ছিল। সেখানে লেখাছিল বাজিতে যে হেরে যাবে তাঁকে অন্যজনকে এক বছরের জন্য পেন্টহাউস নামে ম্যাগাজিনটি কিনে দিতে হবে। (যাঁরা জানে না তাদেরকে বলে দেওয়া যায় পেন্টহাউস, প্লেবয় এগুলো হচ্ছে নগ্ন নারীদের ছবি পরিপূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্কদের ম্যাগাজিন।) ১৯৯০ সালে স্টিফেন হকিং এই বাজিতে হেরে গিয়েছিলেন- তিনি সত্যি সত্যি কিপ থর্নকে এক বছরের জন্য পেন্টহাউস কিনে দিয়েছিলেন কিনা কিংবা কিনে দিয়ে থাকলে তাঁর স্ত্রী কীভাবে নিয়েছেন সেটা আমি জানি না।

কিপ থর্ন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী, মহাকর্ষ তরঙ্গ দেখা এবং মাপার বিষয় যতটুকু না তাত্ত্বিক সমস্যা তার থেকে অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্টাল সমস্যা। কাজেই নোবেল পুরস্কার যে তিনজনকে দেওয়া হয়েছে তার ভেতর দুজন হচ্ছেন এক্সপেরিমেন্টাল পদার্থ বিজ্ঞানী। এর ভেতর একজন এমআইটির প্রফেসর অন্যজন ক্যালটেকের। ক্যালটেকের প্রফেসর ব্যারি ব্যারিসের নামটি দেখে আমার এক ধরনের দু:খ বো হয়েছে কারণ এখানে ব্যারি ব্যারিসের নামের পাশে আরও একটি নাম থাকার কথা ছিল, সেই নামটি হচ্ছে রোনাল্ড ড্রেভার। মহাকর্ষ তরঙ্গের নোবেল পুরস্কারটি যদি এই বছর ঘোষণা না করে গতবছর ঘোষণা করা হতো তাহলেই হয়তো আমরা তাঁর নামটি দেখতে পেতাম। কারণ এই বছর পুরস্কার ঘোষণা করার মাত্র কয়েকমাস আগে তিনি মারা গেছেন। নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী কেউ মারা গেলে তাঁকে আর পুরস্কারটি দেওয়া হয় না। নিয়মটি ভালো না, পদার্থ বিজ্ঞানের ইতিহাসে একজন মানুষের নাম থাকতে পারল না কারণ ঘটনাক্রমে তিনি মারা গেছেন। এটি মেনে নেওয়া যায় না। (আমাদের বাংলা একাডেমি পুরস্কারেও মনে হয়, এই ঝামেলাটি আছে, অনেক হেজিপেজি চেষ্টা চরিত্র করে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছে কিন্তু আহমেদ ছফাকে কখনো বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়নি, এটা মেনে নেওয়া কঠিন।) রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে তাদের নিয়মের ভেতর পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার নিয়মটিও থাকা উচিত ছিল। তাহলে এখন মিয়ানমারের ফটোজেনিক নেত্রী অং সান সুচির অন্যান্য পুরস্কার এবং সম্মাণনা কেড়ে নেওয়ার সাথে সাথে নোবেল পুরস্কারটিও কেড়ে নেওয়া যেত।

আমি যখন ক্যালটেকে ছিলাম তখন আমি সদ্য পিএইচডি শেষ করা তরুণ একজন পোস্টডক। ক্যালটেকে পৃথিবীর সেরা সেরা বিজ্ঞানীরা রয়েছেন, ক্যাফেটেরিয়াতে লাঞ্চ করার সময় পাশের টেবিলে ফাইনম্যানের মতো বড় বিজ্ঞানীকে দেখি এবং মোটামুটি হতবুদ্ধি হয়ে যাই। প্রায় নিয়মিতভাবে বড় বড় বিজ্ঞানীরা সেমিনার দেন আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে সেগুলো শনি। আমি পৃথিবীর অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীর বক্তৃতা শুনেছি। কিন্তু আমার স্মৃতিতে যে বক্তৃতাটি সবচেয়ে দাগ কেটে আছে সেটি হচ্ছে মৃত্যুর কারণে নোবেল পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হওয়া রোনাল্ড ড্রেভারের বক্তৃতা। আজ থেকে প্রায় পয়ত্রিশ বছর আগের কথা, মহাকর্ষ তরঙ্গ দেখার জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে এবং তার নেতৃত্বে রয়েছেন এই রোনাল্ড ড্রেভার। উচ্চতা বেশি নয়, ঢিলে ঢালা শরীরের গঠন, মুখে সবসময় এক ধরনের হাসি, দেখলেই মনে হতো তিনি বুঝি এই মাত্র মজার কিছু শুনেছেন। যেদিন তাঁর বক্তৃতা আমরা সবাই এই বিখ্যাত এক্সপেরিমেন্ট কীভাবে দাঁড় করানো হচ্ছে সেটি শুনতে গেছি। আজকাল সব বক্তৃতাই দেওয়া হয় ভিডিও প্রজেক্টর দিয়ে, তখন দেওয়া হতো ওভারহেড প্রজেক্টর দিয়ে। স্বচ্ছ ট্রান্সপারেন্সির ওপর কলম দিয়ে লিখতে হবো এবং সেগুলো ওভার হেড প্রজেক্টরে রাখা হলে পেছনের স্ক্রিনে দেখা যেতো।

প্রফেসর ড্রেভার আমাদেরকে তার এক্সপেরিমেন্টের কথা শোনাতে স্বচ্ছ ট্রান্সপারেন্সিগুলো ওভার হেড প্রজেক্টরে রাখছেন। কথা বলতে বলতে একসময় উত্তেজিত হয়ে উঠলেন এবং কিছুক্ষণের মাঝে তাঁর ট্রান্সপারেন্সিগুলো ওলট পালট হয়ে গেলো এবং দেখলাম সারা টেবিলে তাঁর ট্রান্সপারেন্সিগুলো ছড়ানো ছিটানো এবং তিনি যেটা দেখাতে চাইছেন সেটা খুঁজে পাচ্ছেন না! প্রায় পাগলের মতো বিশাল টেবিলের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন, তাঁর মুখে বিব্রত হাসি, অপ্রস্তুত ভঙ্গি।

গল্প উপন্যাসে বিজ্ঞানীদের যে বর্ণনা থাকে হুবহু সেই দৃশ্য! এক সময় হাল ছেড়ে দিয়ে তিনি এমনিতেই তাঁর বক্তৃতা দিলেন! যখন বলার অনেক কিছু থাকে তখন স্লাইড কিংবা ট্রান্সপারেন্সি খুঁজে না পেলেও চমৎকার বক্তৃতা দেওয়া যায়।

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণাটি দেখে আমি একটুখানি নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনো শুধু ছাত্র পড়ানো হয়। পড়ানোর পাশাপাশি যখন সত্যিকার গবেষণাও করা শুরু হবে শুধুমাত্র তখনই সত্যিকার অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারবে।

সারা পৃথিবী জ্ঞান সৃষ্টি করে, আমরা শুধু সেই জ্ঞান ব্যবহার করব, নিজেরা কিছু সৃষ্টি করব না, সেটা তো হতে পারে না।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭