ইনসাইড ইকোনমি

বাড়ছে ৫০০ কমছে ৫০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 07/10/2017


Thumbnail

কারওয়ান বাজারে মাছের ব্যবসা করেন পাচু মিয়া। বেচা-বিক্রি শেষে নিজের বাসার জন্য বাজার করতে এসেছেন। কাঁচা মরিচের দাম শুনেই পাচ্চু হতবাক, ‘কাচা মচের এতো দাম কেমনে খামু’। দাম বেশি হওয়ায় মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ নিয়েই বাসায় ফেরেন তিনি।আর বলতে থাকে বাসায় যেয়ে বউকে বলেন, তরকারিতে কাচা মরিচ কম দেওয়ার জন্য।

ঝাল বেড়েছে কাঁচা মরিচের। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। তবে কমেছে মাত্র কাঁচা পেঁপের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। যা সপ্তাহ খানেক আগেও ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।রাজধানীর কারওয়ান বাজারওআশে পাশের বাজার ঘুরে এই চিত্র পাওয়া যায়।

বিক্রেতারা বলছেন গত সপ্তাহে পূজার ছুটির কারণে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল।এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এছাড়া দেশে এবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যার কারণে এর উৎপাদন কম হয়েছে। উৎপাদন কম, চাহিদা বেশির কারণে দাম বাড়ছে। সবজির বাজারে দাম কমতে আরও দেড়-দুই মাস লাগবে। তখন শীতের সবজি বাজারে উঠবে আর দাম কমতে থাকবে।

আরেক সবজি ব্যাবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, আগে যে ট্রাক ভাড়া দিতাম ১৫ হাজার টাকা এখন সেই ভাড়া দিতে হয় ৩০ হাজার টাকা।যার ফলে সামগ্রিকভাবে বাজারে সব ধরনের সবজি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।

শুধু কাঁচা মরিচ নয় সবজির দাম আকাশচুম্বী। বাজার করতে এসে রোজার বলেন, আমরা তো কোনো মতে জীবন বাঁচাইতেছি। এক কেজির জায়গায় হাফ কেজি কিনতেছি। কিন্তু যারা অতি নিম্ন আয়ের মানুষ তারা কীভাবে জীবন পার করছে ভাবতে কষ্ট লাগ।

বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৬০টাকা, করল্লা ৪০ টাকা, চালকুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেমন কমছে জানতে চাইলে নিউ মেসার্স রাইস এজেন্সির মালিক আবু বকর সিদ্দীক একটু ক্ষোভ নিয়েই বলেন ‘বাড়ছে ৫০০ টাকা কমছে ৫০টাকা। এটা কোনো  কমা হইল। দেশি চালের বাজার খুব একটা কমেনি তবে ইন্ডিয়ান আমদানি চালের দাম কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, যে বস্তা আগে দুই হাজার ৯০০ টাকা বিক্রি করতাম সেটা একলাফে বেড়ে সাড়ে তিন হাজার হয়। আর এখন সেটার দাম কমেছে ৫০ থেকে ১০০টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, নাজির ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪২ খেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আটা প্রতি কেজি ২৬ টাকা এবং ময়দা ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ইলিশ মাছ না থাকায় অন্যান্য মাছের চাহিদা বেড়েছে। তবে মাংসের বাজার তেমন লোকজন দেখা যায়নি।

মাংস ব্যাবসায়ীরা বলছেন বর্তমানে মাংসের বাজার একটু মন্দা যাচ্ছে। সামনে মাংসের দাম বেড়ে যাবে। কারণ তখন বিয়ে অন্যান্যঅনুষ্ঠান গুলো বেশি হয়। গরুর মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং ছাগলের  মাংস ৬৫০ টাকা  কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭