ইনসাইড ইকোনমি

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও অ্যানালাইসিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/10/2017


Thumbnail



শেয়ারবাজারকে সবাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে। এখানে জেনে-বুঝে ঝুঁকি নিয়েই বিনিয়োগ করতে হয়। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমিয়ে আনার পদ্ধতিও রয়েছে। যেমন-ভালো কোম্পানি বাছাই, কোম্পানির নেট অ্যাসেট ভ্যালু, শেয়ারপ্রতি আয়, ট্র্যাক রেকর্ড, স্পন্সরের রেকর্ড, লভ্যাংশ দেওয়ার টাইপসহ কোম্পানির ইতিহাস দেখে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কম থাকে। এ বাজারে ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করেই বিনিয়োগ করতে হয়।

যখন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়া কোন কোম্পানির দাম বাড়তে থাকে তখন সে শেয়ারটি ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। শেয়ার যৌক্তিক মূল্য বুঝার অন্যতম মাপকাঠি হলো মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও। যে শেয়ারের পিই যত বেশি, ওই শেয়ার তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাহলে শেয়ারের যৌক্তিক দাম কিভাবে নির্ধারণ করা যাবে?  আসলে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম কত হওয়া উচিত এবং তা থেকে শেয়ারটি কত কম বা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সেটা বুঝতে হলে একজন বিনিয়োগকারীকে ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণে দক্ষ হতে হবে। এটা একজন বিনিয়োগকারীর টাকার পূর্ণ ব্যাবহার করে মুনাফা লাভে এবং ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। শেয়ার বিশ্লেষণ মূলত দুই ভাবে করা হয়।

১. ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (Fundamental)

২. টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (Technical)

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস:
একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কর্মকাণ্ড কেমন চলছে এবং ভবিষ্যতে ওই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা কেমন হতে পারে এ বিষয়গুলো ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে বুঝা যায়। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ইপিএস, পিই রেশিও , এনএভি , ডিভিডেন্ড পে আউট রেশিও ইত্যাদি বিবেচনা করে তার মান নির্ণয় করাই হচ্ছে ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস । ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণে কোম্পানির সেবার বিপণন বা ব্যবসায়িক সম্ভাবনা, কোম্পানির সম্পদ (উদ্বৃত্ত/ঘাটতিসহ), সম্পদের বন্টন, ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা ও সর্বশেষ দায় দেনার পরিস্থিতি; বিনিয়োগকৃত সম্পদ থেকে অর্জিত লাভ ও লভ্যাংশের হার, বিক্রি বা আয় হ্রাস-বৃদ্ধির ধারা, ঋণ এবং নিজ মূলধন কাঠামো, শেয়ার দর ও আয়ের অনুপাত ইত্যাদি দেখতে হবে।

কোম্পানির প্রসপেক্টাস এবং বার্ষিক-অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন স্টাডি করলেই ওই কোম্পানির সম্পদ, আয় ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় বার্ষিক প্রতিবেদনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য থেকেও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া, দেশ ও দেশের বাইরের নানা ঘটনাও কোম্পানির মৌলভিত্তিকে সবল বা দুর্বল করে তোলে। বিশ্বের সব শেয়ারবাজারেই কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার দর ২০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার নজির রয়েছে। বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে অনেক শেয়ারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।  ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর একটি শেয়ারের বার্ষিক আয় ৫ টাকা, তারপরও ওই শেয়ার ১৫০ টাকা দামে বেচাকেনা হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণে দক্ষ হলে বাজার খেলোয়াড়দের ফাঁদে পা না দিয়ে, অবমূল্যায়িত দরে বিনিয়োগ করে ভালো মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ঝুঁকিও কম থাকে।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস:
এর মাধ্যমে একটি শেয়ারের দামের পরিবর্তন এবং গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করে ভবিষ্যতে শেয়ারটির দাম কেমন হতে পারে সেই বিষয়টি অনুমান করা। একজন অ্যানালিস্ট সাধারণত চার্ট ব্যাবহার করে বাজারের দামের পরিবর্তন বোঝার চেষ্টা করে থাকেন । এই চার্টের মাধ্যমে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের প্যাটার্ন এবং ট্রেন্ড বোঝা যায়।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭