ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার মিশন ওয়ানডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/10/2017


Thumbnail

দেশের মাটিতে বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর দল অনেক দিন ধরেই। তবে সেটা ওয়ানডেতেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেই  ধারাবাহিকতায় দেশের বাইরেও সাফল্য পাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল আর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে খেলায় রয়েছে তার প্রমাণ।

একটা বাজে টেস্ট সিরিজ পার করায় কিছুটা বিপর্যস্ত টিম বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও বড় কোন আশা ছিলনা। তবে কেউ যেন একটা সেঞ্চুরি বা তার চেয়ে বেশি কিছু করুক এইরকম আশাতো সবারই ছিলো। একই সঙ্গে মুশফিকের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই সব মিলিয়ে প্রায় ছোটো খাটো একটা ঝড় গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের উপর দিয়ে।

তবে এইবার ওডিআই এর পালা। আর একটা বিষয় সত্য যে, বাংলাদেশ তাদের ওডিআই’র সেরা দিন গুলো কাটাচ্ছে। সুতরাং সবসময়ের মতো এবারও সবার প্রত্যাশা বেশি, ২ দলের শেষ দেখায় বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয় পায় এবং ২-১ সিরিজও জিতে। তবে এবার চ্যালেঞ্জটা বেশি। সেবার ছিল দেশের মাটিতে, কিন্তু এবার খেলা হবে প্রোটিয়াদের মাটিতে। তাই কন্ডিশন বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই ভিন্ন থাকবে।

প্রথম ওয়ানডে হবে কিম্বারলির ডায়ামন্ড ওভালে। যখানে প্রায় ৫ বছর আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলা হয়েছিল। তবে তাদের ঘরোয়া লিগে বেশ ভালো ভাবেই এই মাঠ ব্যবহার করা হয়।

যদি এই মাঠের উইকেটেরর কথা বলা হয় তাহলে এই মাঠে এখনকার মতো বড় বড় স্কোর হয় না বললেই চলে। ২৫০-৩০০ এর ভিতরেই রান হয় বেশীরভাগ ম্যাচে। ৩০৪ রান এই মাঠে সর্বচ্চ দলীয় স্কোর। তবে এই মাঠের পিচ বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই বোলিং পিচ হয়ে থাকে। তাই এইরকম একটা কন্ডিশন এবং উইকেটে টাইগারদের সেরা একাদশ কেমন হবে? এই প্রশ্নের শতভাগ উত্তর ম্যাচের দিনই পাওয়া যাবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্ভাব্য সেরা একাদশটি কেমন হতে চলেছে তা কিছটা অনুমান করাই যায়।   

তামিম: প্রায় ৮০ ভাগ কনফার্ম তামিম প্রথম ওডিআই এ থাকছে, বাংলাদেশের ওপেনিং তাকে ছাড়া ভাবাই যায় না। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন তিনি। আর তামিম নিজেই জানিয়েছন, তিনি যদি ৮০ ভাগও ফিট থাকেন তাহলে তিনি খেলবেন।

সৌম্য/লিটন: ওপেনিংয়ে সৌম্য কিংবা লিটন দুইজনেরই খেলার সুযোগ আছে। সৌম্যকে  বেছে নেওয়ার পিছন মূল কারণ, তাঁর প্রতি হাথুরুসিংহের সুনজর। আর পারফরম্যান্স এবং ফর্ম বিবেচনায় নিলে লিটন এগিয়ে। তবে সৌম্যই ভালো হতে পারে। কেননা ইদানীং তামিম সেট হতে কিছুটা সময় নেয়। লিটনও অনেকটা একইরকম। তাই হয়তো সৌম্য হতে পারে প্রথম পছন্দ।

রিয়াদ রিয়াদ বাংলাদেশের ‘সলিড গোল্ড’। বিপদে পড়লে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান তিনিই। তাঁর বেপারে কিছু বলার নাই। রিয়াদ ‘অটো চয়েস’।

মুশফিক: অবশ্যই চারে মুশি আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান, আমাদের মিডল অর্ডারের মূল স্তম্ভ তিনি।

সাকিব: চার এবং পাঁচ জেনো সাকিব মুশির জন্যই বরাদ্দ। তাই মুশি যদি চারে খেলেন তবে সাকিব পাঁচেই ব্যাট করতে নামবেন।

সাব্বির: এই পজিশনে সাব্বির সেরা। তাঁর হাতে হিট আছে, ভালো শট খেলার ক্ষমতা আছে। সাব্বির তিনে ব্যর্থ, তা প্রমাণিত। তাই আগের পজিশনে অর্থাৎ ছয়ে ব্যাট করলে হয়তো সাব্বির নিজেকে ফিরে পেতে পারেন।

নাসির: সাত নম্বরে  নাসিরকে সুযোগ দেওয়াই ভালো। কেননা নাসিরের অন্তর্ভুক্তি দলে শক্তি বাড়াবে। একই সঙ্গে সাকিব-নাসির-মিরাজকে নিয়ে স্পিন অ্যাটাকটাও চালিয়ে নেওয়া যাবে।

মিরাজ: যেহেতু স্পিনার দের এইখানে বেশি কিছু নেই তারপরেও মিরাজ এগিয়ে। কেননা  সাইফুদ্দিনের চেয়ে কারন মিরাজের অভিজ্ঞতা বেশি। তাছাড়া মিরাজ ব্যাট হাতেও রানের চাকা সচল রাখতে পারবেন।  

মাশরাফি: অধিনায়ক তিনি। একই সঙ্গে পেস ইউনিটকে সামন থেকে নেতৃত্ব দেন।

রুবেল: অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এবং ফাস্ট ডেলিভারি গুলো কাজে লাগবে। একই সঙ্গে রুবেলের ইনসুইংয়ে ঘায়েল হতে পারে প্রোটিয়ারা।

মুস্তাফিজ: ‘দ্য ফিজ’ এর ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছুই নাই। ওপেনিং ও ডেথ ওভারে ভালই সার্ভিস দিতে পারবেন তিনি।

এছাড়া দলে চমকও আসতে পারে। মাত্র একটি টি-২০ খেলা সাইফ উদ্দিনের অভিষেকেও হয়ে যেতে পারে। তাঁর সবচেয়ে বড় কারন হতে পারে পেস সহায়ক উইকেট, একই সঙ্গে কন্ডিশন।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকা চাইবেই টেস্ট সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু করতে। কিন্তু বাংলাদেশ চায়, দুই দলের শেষ ওয়ানডে সিরিজ যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে শুরু করতে। কেননা সে স্মৃতি যে এখনও বাস্তব। 


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর





প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭