কালার ইনসাইড

শুধুই ‘বিকল্পধারার’?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/10/2017


Thumbnail

বাণিজ্যিক ও বিকল্পধারা, চলচ্চিত্রে তথাকথিত দুইটা ভাগ আছে। সেভাবে অভিনয়শিল্পীরাও ভাগ হয়ে আছেন। বিকল্পধারার তুখোর অভিনয়শিল্পীরাও বাণিজ্যিক সিনেমায় ফ্লপের তালিকায়। বিকল্পধারার সিনেমাগুলোতে তাদের অভিনয় দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেন কেন তাদের বাণিজ্যিকছবিতে নেয়া হয় না? এর মধ্যে অনেকে বাণিজ্যিক ধারায় নিজেকে উপস্থাপন করলেও সফল হতে দেখা যায় খুবই কম। তাই আজ এমন কয়েকজন অভিনেত্রীকে নিয়ে আলোচনা করা যাক, যারা বিকল্পধারায় সফল হলেও বাণিজ্যিক সিনেমায় নেই বললেই চলে-

জয়া আহসান

দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এখন পর্যন্ত দুই বাংলা মিলে দশটির অধিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে জয়ার। তিনবার মিলেছে জাতীয় পুরস্কারের মত সম্মান। কিন্তু জয়া যেভাবে সমলোচকদের মন ভরিয়েছে তেমনি সাধারন দর্শকের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি। জয়ার ক্যারিয়ারে যেমন ‘খাঁচা’, ‘ডুব সাতার’, ‘গেরিলা’, ‘রাজকাহিনী’, ‘বিসর্জন’ রয়েছে,  তেমনি ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’, ‘চোরবালি’ কিংবা ‘জিরো ডিগ্রী’ রয়েছে। দর্শক কিংবা সমলোচকরা বিকল্পধারার সিনেমাগুলোতে জয়ার যতটা প্রশংসা করেছে। ততটাই তিরস্কৃত হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে। ব্যার্থতাটা কার? অনেকেই বলেন বাণিজ্যিক সিনেমার পরিচালকরা তাকে ঠিকমতো সুযোগ দেননি। তার চরিত্রের প্রতি যত্নবান হননি। আবার অনেকে পাল্টা জবাব দেন জয়া বানিজ্যক ঘরানায় বড্ড বেমানান। নাচে গানে ভরপুর সিনেমা জয়ার সঙ্গে যায় না।

তিশা

তিশার ছবির সংখ্যা খুব বেশি নয়। ছোটপর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে তার স্বামী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সিনেমা দিয়ে। তথাকথিত বাণিজ্যিকধারা ‘রানা পাগলা’তে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু তিশাকে সেখানে কেউ গ্রহন করেননি। বাণিজ্যিক সিনেমার খাতিরে বেশ খোলামেলাও হয়েছিল। তাতেও যুত করতে পারেননি। তিশা সিনেমায় তাই টাইপড অভিনেত্রী হিসাবেই রয়ে গেছেন। সামনেই মুক্তি পাবে ‘ডুব’ ও ‘হালদা’, দুটিই বিকল্পধারার সিনেমা হিসেবে বিবেচিত।

সোহানা সাবা

‘আয়না’, খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’,‘বৃহন্নলা’র মতো প্রশংসিত সিনেমা রয়েছে তার ঝুলিতে। কিন্তু তাতে কি, নাটকেই তাকে নিয়মিত দেখা যায়। সিনেমায় আসেন কালেভদ্রে। তাইতো অভিনেত্রী হিসাবে না তিনি যতটা প্রশংসিত, নায়িকা হিসেবে ততটা অপরিচিত। ক্যারিয়ারের এতটা সময়ে কি কখনো বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় প্রস্তাব আসেনি? নাকি নিজেরই ইচ্ছে ছিল না রিস্কে যাওয়ার। অবশ্য নতুন রুপে আসছেন এ অভিনেত্রী। নাচে গানে ভরপুর বাণিজ্যিক মেজাজের সিনেমা ‘আব্বাস ওটু’র নায়িকা তিনি। শুটিং প্রায় শেষ। সামনেই মুক্তি পাবে। দেখার বিষয় বিকল্প ধারার সাবা বানিজ্যিকে কতটা সফল হয়।

অপর্ণা

ক্যারিয়ারে রয়েছে ‘মৃত্তিকা মায়া’, ‘মেঘমল্লার’, ‘সুতপার ঠিকানা’, ‘ভুবন মাঝি’র মতো ভিন্ন ধারার প্রশংসিত সিনেমা। নাটকের পাশাপাশি এই সিনেমাগুলোতে তিনি অভিনয় করেছেন। অনেকেই মনে করেন তিনি বাণিজ্যিক ধারার সিনেমায় অভিনয় করতে সক্ষম। কিন্তু তার কাছে কখনো সেরকম প্রস্তাব এসেছে কিনা জানা নেই। নিজেও কখনও আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তাহলে সারাজীবন তার এভাবে বিকল্প ধারার সিনেমার নায়িকা হিসাবেই অভিনয় করে যেত হবে।

তমা মির্জা

বিকল্প ও বাণিজ্যিকদু ধারাতেই অভিনয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যিকধারায় তিনি একটা আফসোসের নাম। ইন্ডাষ্ট্রির নায়িকা খরার দিনে তিনি হতে পারতেন কিছুটা আশার খোরাক। সেখানে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন এ অভিনেত্রী। ঠিকঠাক সুযোগটা তার জন্য কখনো আসেনি। বিকল্প ধারার সিনেমায় অভিনয় করে ঠিকই প্রশংসিত হয়েছেন। জাতীয় পুরস্কারের মতো দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন।  

জ্যোতিকা জ্যোতি

‘অনিল বাগচির একদিন’, `নন্দিত নরকে’, ‘রাবেয়া’, জীবনঢুলি’ , ‘বেদেনী’ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। সবগুলোই ছিলো সমলোচকদের কাছে প্রশংসিত। কখনো বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমায় তাকে দেখা যায়নি।



বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭