ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্রোটিয়াদের ২৭৯ রানের টার্গেট দিল টাইগারররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/10/2017


Thumbnail

টসে জিতে এবার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। দলে নেই তামিম-মুস্তাফিজ। দলের ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের দুই মূল স্তম্ভ না থাকায় কিছুটা চিন্তিত দল। তবে লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নেমেছে টাইগাররা। তাঁর প্রমাণও মিলল মাঠে। মুশফিকের শতক এবং অন্য ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট কার্যকরী ইনিংসে ২৭৮ রান করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ২৭৯ রান। 

অভিষিক্ত সাইফ উদ্দিনের ছোট্ট ঝড়ো ইনিংসে ২৭৮ রান করল টাইগাররা। মুশফিক অপরাজিত থাকলেন ১১০ রানে। দুই ছয় এবং ১১ চারে ১১৬ বলে এই ইনিংস সাজান মুশি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৮/৭ (ইমরুল ৩১, লিটন ২১, সাকিব ২৯, মুশফিক ১১০*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সাব্বির ১৯, নাসির ১১, সাইফ উদ্দিন ১৬; রাবাদা ৪/৪৩, প্যাটারসন ০/৬৯, তাহির ১/৪৫, প্রিটোরিয়াস ২/৪৮, ফেলুকওয়ায়ো ০/৬০, দুমিনি ০/৮)

নাসিরের বিদায়
আগের বলেই বেরিয়ে এসে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন রাবাদাকে। পরের বলেই আউট নাসির হোসেন। শর্ট বলে পুল করেছিলেন, জোর পাননি শটে। বৃত্তের ভেতরই সোজা মিড উইকেটে আমলার হাতে।

মুশফিকের শতক
শতক হাঁকালেন মুশফিক ।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরিও এটি। সৌম্য সরকারের ৯০ ছিল আগের সর্বোচ্চ। টেস্ট সিরিজের বিতর্ক ঘেরা সময়টা পেরিয়ে রঙিন পোশাকের প্রথম ম্যাচেই উজ্জ্বল মুশফিক। উপহার দিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ বলে মুশফিক ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। মুশফিকের এটি পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম। দেশের বাইরে মাত্র দ্বিতীয়। দেশের বাইরে আগের সেঞ্চুরিটি ছিল সেই ২০১১ সালে, জিম্বাবুয়েতে।

তাড়াহুড়া করে সাব্বির আউট
সময়ের দাবি ছিল শট। সাব্বির আউট হলেন সেই চেষ্টায়। রাবাদাকে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন কাভার দিয়ে। বল গেল সীমানায় ফিল্ডারের হাতে। একটি করে চার ও ছয়ে ২০ রান করে আউট হয়েছেন সাব্বির। বল খেলেছেন ২১টি।

বাংলাদেশের দুইশ
দুইশ পার করল বাংলাদেশ। সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসা দুটি রানে এই মাইলফলক স্পর্শ করল টাইগাররা।

আউট হয়ে সাঝঘরে রিয়াদ
অবশেষে ভাঙল মুশফিক-রিয়াদ জুটি। প্রিটোরিয়াসের বলে শট খেলতে গিয়ে ২৬ রান করে আউট হলেন মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদউল্লাহকে বেরিয়ে আসতে দেখে স্লোয়ার শর্ট বল করেছিলেন প্রিটোরিয়াস। তাতেই টাইমিংয়ে গড়বড়। বল উঠেছে শুধু আকাশে। বৃত্তের ভেতরই ক্যাচ নিয়েছেন মিলার। শেষ হল ৬৯ রানের অসাধারণ এক পার্টনারশিপ।

মুশফিক-রিয়াদ জুটির পঞ্চাশ
সাকিবকে হারানোর ধাক্কা অনেকটাই সামাল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সফলতম জুটি আরও একবার পথ দেখাচ্ছে দলকে। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিতে হয়েছে পঞ্চাশ। মুশফিক তো শুরু থেকে্ই খেলছেন দারুণ। আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহকেও। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার কাগিসো রাবাদাকে বেরিয়ে এসে দুর্দান্ত এক ছক্কা মেরেছেন তিনি। দুজনের এটি দ্বাদশ অর্ধশত রানের জুটি। সেঞ্চুরি জুটি আছে আরও দুটি।

বাংলাদেশের দেড়শ
সাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন মুশফিক। তাহিরের বলে মাহমুদউল্লাহর দারুণ এক বাউন্ডারিতে দলের রান স্পর্শ করেছে দেড়শ।

মুশফিকের পঞ্চাশ
প্যাটারসনের বলে এগিয়ে এসে উড়িয়ে মারলেন কাভার দিয়ে। বল সীমানার ওপারে। ছক্কায় পঞ্চাশ ছুঁলেন মুশফিকুর রহিম। লেগেছে ৫২ বল। মুশফিক উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই গতি পেয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। জুটির সঙ্গী সাকিবকে হারালেও কমেনি তার ব্যাটের ধার ও গতি। খেলেছেন দারুণ সব শট। মুশফিকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি ২৭তম ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলা আগের ৫ ইনিংস মিলিয়ে করতে পেরেছিলেন ৩৬ রান!

জুটি ভাঙলেন তাহির
লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের বলে শ্লিপে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাকিব। কভার ড্রাইভ করার জন্য শট খেলতে গিয়ে গুগলি মিস করে আউটের শিকার হয়েছে এই অলরাউন্ডার। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে এখন ক্রিজে আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

সাকিবের ৫০০০ রান
মাত্র ১৭৮ ম্যাচে ৫০০০ হাজার রান ও দুইশত উইকেট নেওয়ার এলিট ক্লাবে পদার্পণ করলেন সাকিব। তাও আবার বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে। আর বাংলাদেশও বেশ ভালো অবস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিয়াক্র সঙ্গে। দুই উইকেট হারিয়ে ১১২ রান করেছে।  সাকিব এখন ক্যালিস - জয়সুরিয়া -আফ্রিদিদের পেছনে ফেলে এই এলিট ক্লাবে নিজের নামটা সবার আগেই রাখলেন। এখন অবধি বাংলাদেশের স্কোর ২৮ ওভারে ১৩৪/৩।

আউট হলেন ইমরুল
একটু আগেই জীবন পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু তারপরেও সতর্ক হলেন না তিনি। ওয়াইড বলে অঝথা ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। আর তাই একশো রানের আগেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে বাংলাদেশ।  

বেঁচে গেলেন ইমরুলের
দক্ষিণ আফ্রিকা দশম ওভারেই আক্রমণে আনল স্পিন। প্রথম ওভারেই প্রায় সফল হয়েই গিয়েছিলেন ইমরান তাহির। কিন্তু বেঁচে গেলেন ইমরুল।গুগলিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন ইমরুল। বল তার গ্লাভসে লেগে উঠে যায় বাতাসে। তবে কিপার ও স্লিপ, দুজন থেকেই বল ছিল একটু দূরে। ১৬ রানে রক্ষা পেলেন ইমরুল।

লিটনের বিদায়
এক পাশে দারুণ খেলছিলেন লিটন দাস, আরেক পাশে ধুঁকছিলেন ইমরুল কায়েস। অথচ প্রথমে আউট হলেন লিটনই। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন বলের দুই বোলারের পারফরম্যান্সও বাংলাদেশের শুরুর মত। এক পাশে দুর্দান্ত রাবাদা, আরেক পাশে বিবর্ণ প্যাটারসন। তবে এখানে উল্টো হয়নি, প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন রাবাদাই। লেংথে পিচ করে বেরিয়ে যাওয়া দারুণ ডেলিভারি ছোবল দিল লিটনের ব্যাটে। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নিলেন ফাফ দু প্লেসি। ক্যাচ সঠিক ছিল কিনা বুঝতে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিলেন আম্পায়াররা। মাঠের বড় পর্দায় শুরুতে ‘নট আউট’ দেখানোয় সংশয় জাগলেও পরে দেখানো হলো আউট।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত মাশরাফির

টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর এবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে বাংলাদেশ দল। ওয়ানডেতে মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বে আজ প্রথম ওয়ানডেতে কিম্বার্লিতে দুপুরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

বাংলা ইনসাইডার/এনআই/ডিআর

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭