ইনসাইড টক

‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে তৃতীয় ঢেউ হতে পারে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/06/2021


Thumbnail

স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। যদিও লকডাউন চলছে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে লকডাউন চলছে, স্থলবন্দর সীমানাগুলো আগের মতই নজরদারিতে আছে কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকা সহ ৩৬ জেলায় সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ভয়াবহ বিষয়টি হলো, সীমান্তবর্তী এলাকায় যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট তা দেশের অন্যান্য জেলায়ও ছড়াচ্ছে। ঢাকাতেও এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং এইভাবে যদি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ সারাদেশে ছড়ায় তাহলে এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে তৃতীয় ঢেউ হতে পারে।

দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, লকডাউনের কার্যকারিতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন

ডা. এম এ আজিজ বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারও পদক্ষেপ নিচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করেছে, শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, আইসিইউ সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলা, উপজেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা সরকার আগের চেয়ে শক্তিশালী করছে। কিন্তু জনসাধারণ এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। আন্তঃজেলা পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আমি মনে করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর সাথে অন্য এলাকাগুলোর যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ হতে পারে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের সংক্রমণ আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে ঢাকার অনেকে হাসপাতালগুলোতে কোভিডের রোগী বেড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে সারাদেশে এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কখনোই ঠিক হবে না। কারণ, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে এমনকি করোনাভাইস এখন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। আগে দেখা গেছে যে, করোনাভাইরাস তরুণদের হওয়ার প্রবণতা কম ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে তারাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।  ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম ব্যাহত হলেও আবার শুরু হচ্ছে। আমারা আশা করি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা উচিৎ। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭