এএসআই সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানত না তার পরিবার

কুষ্টিয়ায় গুলি করে স্ত্রী আসমা খাতুন, তার ছয় বছর বয়সী ছেলে রবিন ও শাকিল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়। রোববার (১৩ জুন) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ দিকে তিনজনকে গুলি করে হত্যার পর সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন বলেছেন, নিহত যুবক শাকিলের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।

অভিযুক্ত সৌমেনের গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়। সেখানে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আসমা খাতুনের সঙ্গে সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি তার পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কেউ জানত না। 

এএসআই সৌমেন রায়ের ভাই বলেন, সৌমেন পারিবারিকভাবে ২০০৫ সালে পাশের গ্রামে বিয়ে করেন। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি খুলনায় থাকেন। সেই স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সৌমেনের বিয়ের বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি আমরা খবরে দেখেই প্রথম জেনেছি। এমনকি বিষয়টি সে তার স্ত্রীকেও জানায়নি। আমরা সবাই আজ প্রথম জানলাম। আমাদের ধারণা কুষ্টিয়ায় কর্মরত অবস্থায় হয়তো আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় সে’। তিনি জানান, অল্প বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর সৌমেনের হাত ধরে তাদের দরিদ্র পরিবারটি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

সৌমেনের শ্বশুর জানান, তার মেয়ের সঙ্গে সুখের সংসার ছিল সৌমেনের সঙ্গে। তবে দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে কিছুই তাদের জানা ছিল না।