লিভিং ইনসাইড

নিজে করলে সব ঠিক অন্যে করলেই দোষ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/10/2017


Thumbnail

বাড়ির সবাই মোটামোটি শাহিদাকে ভয় পায়। খুব অল্পতে রেগে যাওয়া এই নারী মানুষের প্রায় সব কিছুতেই বিরক্ত হন। কেউ রেগে তার সঙ্গে কথা বলছে, তা মেনে নিতেই পারেন না। কেউ না বুঝে কথা বললে, ভীষণ রেগে যান তিনি। বাড়ির কেউ নিজের কাজ গুছিয়ে না করলে, রেগে চিৎকার করে উঠেন। তার একটাই কথা, সবাইকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটু খেয়াল করলেই জানা যায়, অন্যের যে সব আচরণে শাহিদা বিরক্ত, তার প্রায় সবগুলোই তার মাঝে বিদ্যমান। নিজের কাপড় গোছান না, অর্ধের কথা শুনেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন। মনোবিজ্ঞানে শাহিদার এই অবস্থাকে ‘ব্লেম সিফটিং’ (দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া) বলা হয়। মনোবিজ্ঞানের এক থিওরির নাম ‘সাইকোলজিক্যাল প্রজেকশন’। এই থিউরি অনুসারে, মানুষ অন্যদের যেসব অভ্যাস বা আচরণকে অপছন্দ করে, বাস্তবিকে সেগুলো নিজের মাঝেই ধারণ করেন।

অন্যকে কষ্ট দিলেও, শাহিদার মতো মানুষেরা নিজেও মানসিক চাপে থাকেন। নিজের দোষ মেনে নিতে পারেন না, কারো সঙ্গে বেশি দিন মানিয়ে নিতে পারেন না, অন্যের ওপর জোড় খাটানোর চেষ্টা করে, খুব সহজেই নিজের দোষ অস্বীকার করে। কোন বিশেষ কারণে নয়, হরহামেশাই তারা এই ব্লেম গেম খেলেন। ব্লেম শিফটিংয়ের কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। নিজের দুর্বলতা ঢাকতে, ক্ষমতার প্রকাশ করতে, পরিস্থিতি এড়াতে, হীনমন্যতায় ভুগলে, নিশ্চয়তা খুঁজতে ইত্যাদি নানা কারণে মানুষ এই ব্লেম সিফটিং এর মতো আচরণ করে থাকেন।

শাহিদার মতো অনেকেই ব্লেম সিফটিং প্রবণতা কাটিয়ে উঠেছেন। এর কোন নির্দিষ্ট উপায় না থাকলেও সবার ক্ষেত্রেই আত্মউপলব্ধি লক্ষ্য করা যায়। আত্মউপলব্ধি নিজেকে জানতে সাহায্য করে। ভুল শুধরে নেওয়ার আগ্রহ তৈরি করে। অনেকেই আত্মউপলব্ধির কাজটিকে সহজ করতে কাছের মানুষদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনাকে প্রাধান্য দেয়। এতে করে ভুল স্বীকারের মাধ্যমে খুব সহজেই সম্পর্ক ঠিক করা যায়। যদি অন্যের সব কিছুতে আপনি বিরক্ত বোধ করেন, কথায় কথায় ঝগড়া সৃষ্টি হয়, তাহলে নিজের মধ্যে ব্লেম সিফটিং এর প্রবণতা সন্দেহ করতে পারেন।

বাংলা ইনসাইডার/এমএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭