নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 15/06/2021
আজ থেকে ২০ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল আমির খান অভিনীত “লগন” ছবিটি। ভারতীয়দের ওপর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অত্যাচার এবং যে দেশে ক্রিকেটের জন্ম, সে দেশকেই ব্যাটে বলে হারিয়ে অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া খাজনা মুক্ত করে ভুবন ও তার দল।
আজও ছবিটি দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। প্লট, সাবপ্লট, খেলার মধ্যকার টানটান উত্তেজনা, বিশ্বাসঘাতকতা, বন্ধুত্ব, পারিবারিক গাঁথা আর প্রেম- সবকিছুই উঠে এসেছে ছবিটির মাধ্যমে। এছাড়াও আছে চমৎকার কিছু গান। খেলা শেষে টানা কয়েকবছর খরার পর বৃষ্টি যেমন গ্রামবাসীদের মনে আনন্দের দোলা দিয়ে যায়, সে আনন্দ ছুঁয়ে যায় দর্শকদের মনেও।
ছবিটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মূল অভিনেতা আমির খানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ছবিটির বিশেষ একটি মুহূর্তের কথা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বরাতে জানা যায়, আমির খান বলেন পুরো ছবিটিই তার অস্তিত্বের সাথে জুড়ে আছে। এমন আলাদাভাবে কোনো দৃশ্যের কথা মনে রাখা দুষ্কর।
অনেক ভেবে আমির খান তার প্রাক্তন স্ত্রী রিনা খানের কথা স্মরণ করেন। রিনা খানকেই পুরো ছবি তৈরির কৃতিত্ব দিলেন আমির। তিনি বলেন, রিনা খান ছিলেন এই ছবির প্রযোজক। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ছবি নিয়ে রিনার কোনো ধারণাই ছিল না। সেই রিনাই প্রযোজনা করে ফেললেন কাল্ট ক্লাসিক একটা ছবি, যা আজও মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে, এবং সামনেও থাকবে অনেকদিন। আমিরের সাথে একই ছাদের নিচে অনেকদিন বাস করলেও স্ত্রীর কাছে ছবি নিয়ে কোনো আগ্রহই ছিল না। একদিন রাতের বেলা আমির রিনাকে বললেন যে তিনি একটি ছবির প্রযোজনা করতে চান। রিনা তখন দোটানায় পড়ে যান। একে স্বামীর অনুরোধ, তারওপর নিজের চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো আগ্রহ কিংবা অভিজ্ঞতাও নেই। তবুও সাহসে ভর দিয়ে রিনা আমিরকে হ্যা বলে দনে। এরপর যা হলো, তা তো ইতিহাস।
আমির খান স্ত্রীকে বলেছিলেন যে তাকে কোনো ধরণের সাহায্য করতে পারবেন না। রিনাকেই সব একা একা করতে হবে। রিনাও দমবার পাত্রী নিন। সুভাষ ঘাই, মনমোহন শেট্টির সাথে দেখা করে খুঁটিনাটি সবকিছু সম্পর্কে জেনে নেন। এরপর কাজে নামেন।
আমির আরও বলেন, আশুতোষ গোয়ারিকর ছিলেন এই ছবির পরিচালক আর প্রধান চরিত্রে আমি। কিন্তু চলচ্চিত্রপাড়া সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকা সত্ত্বেও রিনা ছবিটিকে পুরো নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল। এই বিষয়টিই আমাকে সবচেয়ে অবাক করে।
২০০২ সালে লগন ছবিটি অস্কারে যায়। একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে নমিনেশন পেলেও হেরে যায় বসনিয়ার ছবি “নো ম্যানস ল্যান্ড” এর কাছে। আমির বলেন, ছবিটি হয়ত অল্পের জন্য পুরস্কার ঘরে তুলতে পারেনি, কিন্তু লগন মানুষের হৃদয়ের খুব কাছের একটি ছবি। যতদিন চলচ্চিত্র বেঁচে থাকবে, এই ছবিটিকে মানুষ বারবার দেখবে, ভালোবাসবে ভুবন আর তার পাড়াগাঁয়ের আনকোরা ক্রিকেট দলকে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭