কালার ইনসাইড

পরিকল্পিতভাবে পরীমনিকে ফাঁদে ফেলেন অমি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/06/2021


Thumbnail

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় যে অভিযোগ পরীমনি করেছেন তাতে অন্যতম অভিযুক্ত হলেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। সেই মামলার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতারও করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখনো মুখ খুলেন নি নাসির ও অমি। 

তবে এ ঘটনার নেপথ্যে মূল ভূমিকা পালন করেন অমি বলে ধারণা করছে পুলিশ। কারণ পরীমণির ঘটনা সামনে আসার পরপরই তিন নারীসহ অমির উত্তরার বাসায় গা-ঢাকা দেন নাসির। এ থেকে স্পষ্ট, অমির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। 

৮ জুন মধ্যরাতে কৌশলে পরীমণিকে আশুলিয়ার বেড়িবাঁধে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যান অমি। অভিনেত্রীকে ফাঁদে ফেলতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এটা করেন তিনি। এরপর সেই রাতে পরীমণি ভয়ংকর নিপীড়নের শিকার হন। এ সময় অভিনেত্রীকে বাঁচাতে কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো নিপীড়কদের সহায়ক হন অমি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো পথ না পেয়ে চার দিন পর রোববার অভিনেত্রী নিজেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি সবার সামনে আসে। এরপর নড়েচড়ে বসেন সংশ্নিষ্টরা।

পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এ ঘটনা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার পরপরই আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি আমরা। ক্লাব কর্তৃপক্ষও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যার যে পরিচয় হোক বা যত ক্ষমতাধর হোক, অপরাধ করলে ছাড় নয়।

পুলিশ মহাপরিদর্শক আরও বলেন, পরীমণি আমাকেও বিষয়টি জানাতে পারতেন। ফোন বা খুদেবার্তা পাঠালেও বিষয়টি জানতে পারতাম। আমাদের ডিএমপি কমিশনার, গুলশানের ডিসি ছিলেন; তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি পরীমণি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই পুলিশ তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত মামলা নেয়।

এ ব্যাপারে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে বলেন, অভিযুক্ত মূল দুই আসামিসহ পাঁচজনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে তথ্য এসেছে তাতে এটা স্পষ্ট, এ ঘটনার মূল হোতা অমি। সব অভিযুক্তকে আরও বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পরীমণি সংবাদ সম্মেলন ডাকার পর তিন নারীকে নিয়ে অমির বাসায় পালান নাসির। মাদক রাখার অভিযোগে ওই তিন নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাসিরের বিরুদ্ধে আগেও মাদক ও নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে। নানা অভিযোগে তাকে উত্তরা ক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জেনেছি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭