নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 18/06/2021
সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। জাতীয় দলের খেলা রেখে আইপিএলে অংশ নিয়েও দ্যূতি ছড়াতে পারেননি। ফ্রাঞ্চাইজিটির বাকি অংশেও না খেলে যুক্তরাষ্ট্র চলে গিয়েছেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আট ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র ৯০ রানের সঙ্গে নিয়েছেন ৮ উইকেট। পারফরম্যান্স নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন আবাহনীর বিপক্ষের ম্যাচে লংকাকাণ্ড বাধিয়ে দেন সাকিব। স্টাম্পে লাথি মেরে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি। সে জন্য তিন ম্যাচ নিষিদ্ধসহ জরিমানা গুনেছেন পাঁচ লাখ টাকা। হারিয়েছেন মোহামেডানের নেতৃত্বও।
এত গেল সাকিবের মাঠের মন্দাবস্থা। একই অবস্থা বিরাজ করছে তার ব্যবসা ক্ষেত্রেও। অর্থলগ্নী করা অনেক প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সাকিব সেসব প্রতিষ্ঠানের খোঁজও নিচ্ছেন না নিয়মিত। এর জন্য অবশ্য করোনা অনেকাংশে দায়ী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে ওঠা সাকিবের অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কার্যক্রম এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। খামারটির সাইনবোর্ডও উধাও হয়ে গেছে। প্রায় দুই বছর ধরে এখান থেকে কোনো পণ্য রফতানি করা হচ্ছে না। ২০১৬ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালীতে ১৪ একর জমির ওপর কাঁকড়া ও কুঁচের খামার গড়ে তুলেছিলেন সাকিব আল হাসান।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে খামারটি গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের প্রতিশ্রুত জমির ভাড়া পরিশোধ করা হয়নি। পাশাপাশি খামারটিতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতনভাতা বকেয়া পড়ায় গত বছর শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে খামারটির সাইনবোর্ডও নেই। গত বছর করোনাকালীন খবরের শিরোনামে এসেছিল সাকিবের এ খামার।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭