ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউরোতে এবার ভবিষ্যতবাণী করছে থাইল্যান্ডের এক সিংহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/06/2021


Thumbnail

২০১০ বিশ্বকাপে অক্টোপাস পল তার ক্যারিশমা দেখিয়েছিল। ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে সে পথে হেঁটেছে উট শাহিন। ২০১৮ সালেই অবশ্য যোগ্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছিল শাহিন। অ্যাকিলিস নামে এক বিড়াল তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল এ কাজে। আর এবার প্রাণিজগৎ থেকে এমন ভবিষ্যদ্বক্তা খোঁজার নেশায় নেমেছে থাইল্যান্ড। তবে আগের সব ভবিষ্যদ্বক্তার চেয়ে ‘বয়’ একটু আলাদা। প্রাণী রাজ্যের রাজাই যখন ভবিষ্যদ্বাণী করে, তখন তো গুরুত্ব দিতেই হয়।

থাইল্যান্ডে উত্তর–পূর্ব অঞ্চলের এক চিড়িয়াখানায় বাস বয় নামের এই সিংহের। পাঁচ বছর বয়সী বয় এবার ইউরোতে সফলভাবে চারটি ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ম্যাচের সম্ভাব্য বিজয়ী ঘোষণা করার ধরনে অবশ্য বয় আর সবার মতোই। তার সামনে রাখা খাবার থেকে যাকে বেছে নেয়, সে দলকেই বিজয়ী বলে ভেবে নেওয়া হয়। বয়ের ক্ষেত্রে দুটি দলের জাতীয় পতাকার সঙ্গে মাংস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বয় এর যেকোনো একটি বেছে নিলেই, ব্যস!

প্রথম রাউন্ডে চারটি ম্যাচেই সফল হয়েছে বয়। ফ্রান্স যে জার্মানিকে হারাবে, সেটা সে আগেই ধারণা করেছিল। ইংল্যান্ডের ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয়, নেদারল্যান্ডসের প্রথম ম্যাচের জয় ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের হাঙ্গেরিকে হারানোর খবরও দিয়েছিল এই সিংহ। এখন পর্যন্ত তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কিছু করতে পেরেছে সুইডেন। বয়ের ‘স্পেনই জিতবে’, এই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়েছিল সেদিন।

খন কায়েন চিড়িয়াখানার কর্মী ওবকায়ে জানপাতুনের ধারণা, ইউরো এক বছর পেছানোতে লাভ হয়েছে বয়ের, ‘সে আগেও ফুটবল ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, কিন্তু ফল এত ভালো ছিল না। আজ রাতে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচের ফলও জানিয়েছে বয়। তার প্রাথমিক ধারণা, আজ খেলাটা ড্র হবে। কারণ, মাংস টেনে ফেলার সময় স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের—দুই দিকের খাবারই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি জানিয়েছে, বয় প্রথমে স্কটল্যান্ডের দিকে টান দিয়েছিল। অর্থাৎ স্কটিশরাই আজ জিতবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭