ইনসাইড বাংলাদেশ

কে এই জিমি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/06/2021


Thumbnail

ঢাকা বোর্ড ক্লাবের ঘটনা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে। এই ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় ইতিমধ্যে নাসির ইউ আহমেদ-অমিসহ পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। পরীমনি বনাম নাসির-অমির বিতর্কে একটি নাম আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তার নাম জিমি। গত প্রায় এক বছর জিমি ছিল পরীমনির ছায়াসঙ্গী। পরীমনির ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবেই তিনি সবাইকে পরিচয় দিতেন। পরীমনির সঙ্গে সারাক্ষণ থাকেন জিমি। জিমির মাধ্যমেই অমির সঙ্গে পরিচয় হয় পরীমনির। জিমির মাধ্যমে পরীমনি যায় বোট ক্লাবে। আর জিমির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল অমির এবং জিমির মাধ্যমেই পরীমনির পরিচয় হয় অমির সঙ্গে। জিমির পরীমনিকে আমির বাসায় নিয়ে যান। এই বন্ধুত্বের সূত্র ধরেই অমির সঙ্গে পরীমনি একাধিকবার আউটিংয়ে বেরিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। ঘটনার দিন ৮ জুন বুধবারও পরীমনির বাসায় গিয়েছিলেন আমি। এখান থেকেই পরীমনি, জিমি, অমি এবং পরীমনির এক বান্ধবী বের হন এবং তারা গভীর রাতে বোট ক্লাবে যান। সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এখন প্রশ্ন উঠেছে কে এই জিমি। জিমির সঙ্গে অমির সম্পর্কই বা কি এবং জিমি কিভাবে জীবনযাপন করেন।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, জিমি একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। কস্টিউম ডিজাইনার হলেও মাদকাসক্তির কারণে তার নাম ছিল এবং একাধিকবার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একবার তিনি ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিলেন বলেও পুলিশের কাছে রিপোর্টে আছে। জিমির সঙ্গে পরীমনির সম্পর্ক নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। জিমির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ইয়াবা সেবন নয় আরো বহু অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে অমির সঙ্গে জিমি কেন পরীমনিকে পরিচয় করিয়ে দিবেন সেটি নিয়েও বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা হচ্ছে। জিমি কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে আরও একাধিক নায়িকার সঙ্গেও কাজ করেছেন এবং তাদের কেউ তিনি বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এবং বড় লোকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই সমস্ত অভিযোগগুলো এখন তদন্তকারী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।

একজন ব্যবসায়ী এবং বিতর্কিত ব্যক্তি চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় গেছেন জিমির মাধ্যমে, এই বিষয়টি এখন তদন্তের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে বলছ যে, জিমি অমিকে একজন প্রযোজক হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন এবং অমি পরীমনির ছবিতে বিনিয়োগ করবেন এই রকম একটি আলাপ-আলোচনা তাদের মধ্যে হয়েছিল। এই সূত্র ধরেই পরীমনির সঙ্গে অমির একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। অমি, যার প্রধান কাজ হল বিভিন্ন মেয়েকে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া। তিনি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছিলেন। অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, আমি এর আগেও একাধিক চিত্রনায়িকাকে একইভাবে ফাঁসিয়ে ছিলেন এবং পরীমনির ক্ষেত্রেও এই ঘটনাটি ঘটানোর জন্য চেষ্টা করেছিলেন অমি।

উল্লেখ্য যে, অমি ঢাকা ক্লাবের মেম্বার ছিলাম এবং নাসির ইউ আহমেদের সঙ্গে তার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেদিন আসলে কি ঘটেছিল সেটি এখনো রহস্যময়। কারণ এই ঘটনায় আসলে পরীমনিকে জোর করে বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল না পরীমনি সেখানে স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন, সেখানে নাসির ইউ আহমেদের ভূমিকা কি ছিল ইত্যাদি এখনও অমীমাংসিত এবং রহস্যময় বিষয়। এই বিষয়গুলোর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই তদন্তের সঠিক সমাধান সম্ভব নয় বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। তবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সদস্য বলেছেন যে, তারা জিমির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন এবং জিমির আসল রহস্য কি ছিল, কেন তিনি পরীমনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন সেটি তদন্তে অন্যতম উপজীব্য বিষয় বলে তারা মনে করছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭