ইনসাইড ইকোনমি

জুস–ড্রিংকসের বাজারেও আমের রাজত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/06/2021


Thumbnail

আমের ভরা মৌসুম টেনেটুনে দুই থেকে আড়াই মাস। এরপরও রসাল এই ফলপ্রেমীদের জিবের স্বাদ মেটাতে বাজারে আছে আমের রস বা জুস এবং পানীয় বা ড্রিংকস। নব্বইয়ের দশকে দেশীয় কোম্পানির হাত ধরে প্রথম বোতলজাত ফলের জুসের স্বাদ পায় বাংলাদেশের মানুষ। সেই থেকে ভালো চাহিদা থাকায় ধীরে ধীরে পণ্যটির বাজার বড় হচ্ছে।

বর্তমানে বাজারে যত ধরনের ফলের জুস বা ড্রিংকস রয়েছে, তার মধ্যে আমেরই রাজত্ব ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। বর্তমানে ফলের জুস ও ড্রিংকসের বাজার দাঁড়িয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার। তার মধ্যে আমের জুস ও ড্রিংকসের বাজার ৬৩০ থেকে ৭২০ কোটি টাকার।

 

শুরুতে বোতলজাত ফলের জুসকে জনপ্রিয় করতে কোম্পানিগুলোকে বেশ বেগ পেতে হয়। পরে অবশ্য দ্রুত বাজার বাড়ে। বর্তমানে এ বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাত-আটটি প্রতিষ্ঠান। আবার মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের উৎপাদিত জুসও বাজারে পাওয়া যায়। তবে আমদানি হওয়া জুসের বাজার খুবই ছোট।

আম ছাড়াও আনারস, পেয়ারা, আপেল, কমলা, লেবুসহ বিভিন্ন ফলের জুস ও ড্রিংকস রয়েছে কয়েকটি কোম্পানির।

৯ বছর আগে দেশে শুধু জুসই বিক্রি হতো। বর্তমানে ঠিক তার উল্টো। ২০১২ সালের জুনে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই জুস ও ড্রিংকসের নতুন মান নির্ধারণ করে দেয়। তখন ফলের জুস বা রসে ওই ফলের অন্তত ৮৮ শতাংশ প্রাকৃতিক উপাদান (ফ্রুট পাল্প) থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। আর ফলের ড্রিংকসে বা পানীয়তে প্রাকৃতিক উপাদান থাকতে হবে অন্তত ১০ শতাংশ। আগের মান অনুযায়ী, ফলের জুসে ২৫ শতাংশ ও ড্রিংকসে ১০ শতাংশ প্রাকৃতিক উপাদান থাকার বাধ্যবাধকতা ছিল। বিএসটিআইয়ের নতুন মানের কারণে একটি ছাড়া সব কটি কোম্পানি বর্তমানে ফ্রুট ড্রিংকস উৎপাদন করছে।

দেশে ফলের জুস ও ডিংকসের বাজারে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি প্রাণ জানায়, নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে আনারস সুগার ক্যানে বাজারজাত করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমের পাল্প বানানোর জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনেন তারা। ১৯৯২ সাল থেকে আমের জুস বাজারজাত শুরু করে প্রাণ। বর্তমানে তারা অ্যাসেপটিক পদ্ধতিতে পাল্প উৎপাদন করে। এতে প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না।

দেশে জুস ও ড্রিংকসের বাজারে নেতৃত্ব দিলেও তার তুলনায় বিদেশের বাজারেই বেশি ব্যবসা করছে প্রাণ। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানালেন, ২০১৯ সালে ৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের জুস ও ড্রিংকস রপ্তানি করে প্রাণ।

আকিজ ভেঞ্চারসের গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমের পাল্প উৎপাদনের জন্য অ্যাসেপটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। ড্রিংকসের সঠিক মান বজায় রাখতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে প্রযুক্তিটি আনা হয়েছে। তবে সেটির জন্য ভোক্তাদের অতিরিক্ত কোনো অর্থ দিতে হয় না।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭