ইনসাইড টক

`দুর্নীতিপরায়ন সাংগঠনিক নেতারাই টাকা খেয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়েছে`

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/06/2021


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, হাইব্রিড এবং অনুপ্রবেশকারীরা কিভাবে ঢুকছে। ওই যে, আমাদের কিছু দুর্নীতিপরায়ন সাংগঠনিক নেতা আছে, তারা তাদের কাছে টাকা খেয়েছে। টাকা খেয়েই ওইসব হাইব্রিড এবং অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়েছে।  এটিই কিন্তু বাস্তবতা।

আওয়ামী লীগে হাইব্রিড এবং অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ, ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন এবং দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য মির্জা আজম এর সাক্ষাৎকারটি তুলে ধার হলো।

মির্জা আজম বলেন, সব ধরনের মানুষের মধ্যেই মন্দ লোক থাকে আবার ভালো লোক থাকে। যেমন, আমরা রাজনীতিবিদ সব রাজনীতিবিদই যে আমরা ভালো তা না কিন্তু। আমাদের মধ্যে একটি একটা পার্সেন্টেজ লোক আছে যারা দুর্বৃত্ত। এরকম সরকারি আমলা যে আছে, সে আমলার মধ্যেও একটা পার্সেন্টেজ আছে তারা ঘুষখোর। ঠিক আমাদের সংগঠনিক নেতা যারা আছে, তাদের মধ্যে কিছু নেতা ঘুষখোর নেতা থাকে। আমরা যে বলি আমাদের দলের মধ্যে হাইব্রিড ঢুকেছে, অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। এই হাইব্রিড এবং অনুপ্রবেশকারীরা কিভাবে ঢুকছে। ওই যে, আমাদের কিছু দুর্নীতিপরায়ন সাংগঠনিক নেতা আছে, তারা তাদের কাছে টাকা খেয়েছে। টাকা খেয়েই ওইসব হাইব্রিড এবং অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়েছে।  এটিই কিন্তু বাস্তবতা।

তিনি বলেন, এর মানে সব নেতাই যে এক পাল্লায় তা কিন্তু না।  আমাদের মধ্যে সব নেতা যে সৎ এবং সব নেতা যে এক ধরনের তা কিন্তু না। অনেকে অসৎ আছে। এই অসৎরা এই ধরনের হাইব্রিড এবং যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের বিভিন্ন সময় অর্থের বিনিময়ে তাদের দলের মধ্যে জায়গা করে দিয়েছে। 

তিনি বলেন, যারা পদবঞ্চিত এবং ত্যাগী নেতা তারা এ ধরনের কথা বললে তাদের তো মনের কথা হয়ে যায়। কারণ তারা সারাজীবন শ্রম দিয়েছে, ঘাম দিয়েছে, পার্টির পিছে কাজ করেছে অথচ বড় পদটা পেলো না, একজন হাইব্রিড এসে টাকা দিয়ে উপরের পদে উঠে গেলো। সব ত্যাগী পদবঞ্চিতদের মধ্যে এই কষ্টটা আছে। 

তিনি বলেন, সরাসরি একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। একজন দলে আছে, সে তো ২ বছরের মধ্যে কর্মকর্তা হতে পারে না।  কাউন্সিল হলে নতুন কমিটি ঘোষণা হয়। আর যখন নতুন কমিটি ঘোষণা হয় তখন এইসব হাইব্রিডদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায়। কিন্তু একজন দলে আসছে জন্য দল থেকে তাকে হঠাৎ করে বেড় করে দেওয়া বা বহিস্কার করা, সেটি কিন্তু পারা যায় না। 

তিনি বলেন, তিনটি নির্বাচনে দল যে মনোনয়ন দিয়েছে, এই মনোনয়নের মাধ্যমে দল ত্যাগী এবং পরীক্ষিত, যারা দুঃসময়ে কাজ করেছে এই ধরনের ত্যাগী নেতাদের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, কোনো সংগঠক কোনো সাংগঠনিক কাজ যদি করতে চায় তাহলে কিন্তু কাজ করা যায়। কিন্তু আসলে আমাদের দল যেহেতু ক্ষমতায়, এখন প্রত্যেকটা সময়ই খুব মূল্যবান।  আমরা যে যে দায়িত্বেই থাকি, কেউ কেন্দ্রের নেতা আছি, কেউ জেলার নেতা, কেউ উপজেলা পর্যায়ের নেতা, কেউ ইউনিয়নের নেতা, আমরা যারা মূল নেতৃত্বে আছি প্রত্যেকের কিন্তু সময় খুব মূল্যবান। সেই মূল্যবান সময়টা কোনো ব্যবসায়ীক বা অর্থনৈতিক আয় উন্নতি করার জন্য সময় ব্যায় করাটাকে সবাই কমফোরটেবল মনে করে। যার কারণে সাংগঠনিক কাজ করার জন্য যে সময় দেওয়া সেই সময় দেওয়ার জন্য আগ্রহ সবার কম। যার কারণেই আমরা সংগঠনিকভাবে আগাতে পারি না। কেউ কাজ করতে চাইলে কাজ করা যায়।

তিনি বলেন, কাজ করতে হলে একজন খুব একটিভলি সারা দিনরাত কাজ করলেই কিন্তু চলে না। এটি একটি টিম ওয়ার্ক। সেই কারণে টিমের একজন যদি কাজ করে আর ৫ জন যদি সময় না দেয় তাহলে কাজ আগানো যায় না। যার কারণে আমাদের দল ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সাংগঠনিক যে অবস্থা সেটাতে একটু স্থবিরতা আসছে। এটা বাস্তব সত্য। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭