লিভিং ইনসাইড

এতো অধৈর্য্য হলে কি চলে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/10/2017


Thumbnail

‘এখন আর ধৈর্য্যে কুলান না’ কথাটি বয়স্ক গুরুজনদের ক্ষেত্রেই খাটে। আমার বা আপনার মতো মানুষের না। ফাস্ট স্পিডের এই যুগে যেখানে এক ক্লিকেই সব পাওয়া যায়, সেখানে ধৈর্য্যের বিলীন হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। তারপরও ধৈর্য্যের প্রয়োজন জীবনে আছে। অন্য কারো জন্য নয়, নিজের প্রশান্তির জন্যেই আমাদের ধৈর্য্যশীল হতে হয়। অন্যথায় অধৈর্য্য আমরা, সবকিছুতেই অস্থিরতা ও অস্বস্তিতে ভুগবো। এজন্য শৃংখল ও কল্যাণকর জীবনের জন্য ধৈর্য্যের কোন বিকল্প নেই।

ধৈর্য্য বাড়াতে কঠিন কসরত করতে হবে না। প্রতিদিনের কাজের মধ্যেই ধৈর্য্যের অনুশীলন করুন। কিছুটা হাস্যকর মনে হলেও বাস্তবে করতে গেলেই দেখবেন, সহজ এই কাজগুলো কতটা অধৈর্য্য করে দেয় আমাদের।

- ঘর থেকে বের হওয়ার তাড়াহুড়ায় লিফটের বাটন একাধারে চাপতে থাকবেন না। লিফট তার নিয়ম মতোই কাজ করবে।

- খাওয়ার পর হাত ধুতে বাড়িতেও লাইন মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাড়া থাকলে সামনের জনকে বলে তারপর আগে যাবেন।

- স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এই কাজটি বেশি করে থাকেন। একনাগারে ফোন করেই যান। এক টাচে ফোন করা যায় বলেই হয়তো এই অবস্থা। এমনটি না করার চেষ্টা করুন। যাকে ফোন করছেন সে হয়তো সামনে নেই ফোনের। তাকে অন্তত ফোনের কাছে আসতে দিন।

- কাজ আছে তাই বলে তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। দেখতে বিশ্রী লাগে। প্রয়োজনে অল্প পরিমানের খাবার নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে খান। সময় বাঁচাতে খাওয়ার সময় কথা না বললেই চলে।

- অপেক্ষা করতে হলে ক্রমাগত পায়চারি করতে থাকবেন না। মাঝে মাঝে বসে থাকার চেষ্টা করুন।

- লেখার সময় কাটতে হলে এক দাগে কাটুন। অস্থির মানুষেরা হিজিবিজি করে লেখা কাটে।

- একই বিষয়ে বার বার মনে করিয়ে দাওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনার এই বারবার খোঁচানো, অপর জনকে কাজটির প্রতি বিরক্ত করে তোলে। ফলে দেরি হওয়ার আশঙ্কা আরো বেড়ে যায়।

আপনি যখন তাড়াহুড়া করতে যান তখন নিজের সঙ্গে অন্যদেরকেও বিব্রত করে ফেলেন। মাঝে মাঝে হয়তো অন্যরা আপনার ওপর বিরক্তও হয়। যখনই নিজের মাঝে অস্থিরতা লক্ষ্য করবেন তখন শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। তাই ছোট ছোট কাজগুলো নিয়ে অযথা ঘাবড়ে না যাওয়ার চেষ্টা করুন।

বাংলা ইনসাইডার/এমএ


 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭