ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাহাড়সম লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/10/2017


Thumbnail

শেষ ওভারে রুবেল হোসেন দুই উইকেট তুললেও কাজ যা করার সেটা ডি ভিলিয়ার্স আগেই করে গিয়েছেন। তার ১৭৬ রানের সুবাদে ছয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে ৩৫৩ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে। আজ খুনে মেজাজে ছিলেন ভিলিয়ার্স। শেষদিকে এমন ব্যাটিং তিনি অনেকদিন পর করেছেন। 

শেষ ওভারে রুবেলের ঝলক

যেভাবে খেলছিলেন, তাতে ৫০ ওভার উইকেট থাকলে ডাবল সেঞ্চুরিই হয়তো হয়ে যেত ডি ভিলিয়ার্সের। তবে সেটি হলো না। ৪৮তম ওভারে তাকে ফেরালেন রুবেল হোসেন। চেষ্টা করেছিলেন আরও একটি ছক্কার। ফুল লেংথ বলটিতে উড়িয়ে মেরেছিলেন। সীমানা থেকে ছুটে এসে ক্যাচ নেন সাব্বির। ১০৪ বলে ১৭৬ রানে আউট হলেন ডি ভিলিয়ার্স। ১৫ চারের পাশে ইনিংসে ৭টি ছক্কা। এরপর প্রিটোরিয়াসকে লং অফে ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করেন।

জুটির সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ার সেরা রান করলেন যে শটে, এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেই বাউন্ডারিতেই সেঞ্চুরি হলো চতুর্থ উইকেট জুটির। মাত্র ৬৩ বলেই হলো জুটির সেঞ্চুরি। জুটিতে দুমিনির অবদান মাত্র ২০!

ডি ভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ার সেরা
ক্যারিয়ারে আগে একবারই দেড়শ করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই ইনিংসে করেছিলেন ৬৬ বলে অপরাজিত ১৬২। রান সংখ্যায় এবার সেটিকেও ছাড়িয়ে গেলেন ডি ভিলিয়ার্স। তাসকিনের টানা তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চারে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ার সেরা ১৬২। ছাড়িয়ে যান মাশরাফির বলে বাউন্ডারি মেরে। ৯৯ বলে ১৬৬।

তিনশ পেরিয়ে
এবি ডি ভিলিয়ার্সের খুনে ব্যাটিংয়ে ৪৫ ওভারেই তিনশ ছাড়িয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইমরুল দুমিনির ক্যাচ ছাড়ার পর মাশরাফির পরপর দুই বলে ছক্কা মেরে দলকে তিনশর ঠিকানায় নিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স।

জীবন পেলেন দুমিনি
সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন জেপি দুমিনি। মাশরাফির বলে চেষ্টা করেছিলেন স্লগ করার। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উঠে গেল ওপরে। কিন্তু পয়েন্টে সহজ ক্যাচটিও হাতে জমাতে পারলেন না ইমরুল কায়েস।

আরেক জুটির পঞ্চাশ
জেপি দুমিনি দিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গ, ডি ভিলিয়ার্স বাড়াচ্ছেন রান। দুয়ের সমন্বয়ে অর্ধশতক হলো আরও একটি জুটিতে।

ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি
বড় জুটিতে সঙ্গী আমলা বিদায় নিলেও প্রভাব নেই ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিংয়ে। দারুণ খেলেই ছুঁয়ে ফেললেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তার ২৫তম। বাংলাদেশের বিপক্ষে ষষ্ঠ ইনিংসে প্রথম। ৩৪ বলে করেছিলেন অর্ধশতক। পরের পঞ্চাশেও বল লেগেছে ৩৪টি। ৬৮ বলে সেঞ্চুরি। খানিকটা মন্থর উইকেট, বাজে আউটফিল্ডে এই গতিতে সেঞ্চুরি করে আরও একবার চিনিয়েছে তার জাত।

বড় সংগ্রহের পথে প্রোটিয়ারা
ম্যাচের গতিচিত্রই যেন পাল্টে দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রায় চার মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট করতে নেমেই তুলেছেন ঝড়। অর্ধশতক করেছেন মাত্র ৩৪ বলেই। উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই দারুণ পায়ের কাজ, টাইমিং আর উদ্ভাবনী ক্ষমতা মিলিয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। চাপে ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের সব বোলার-ফিল্ডারকে।

আমলা-ডি ভিলিয়ার্স জুটিতে পঞ্চাশ
জোড়া উইকেটের পর একটু থমকে যাওয়ার কথা ইনিংস। হলো উল্টো। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে নতুন গতি পেল প্রোটিয়া ইনিংস। আমলা-ডি ভিলিয়ার্স জুটিতে পঞ্চাশ উঠে গেল ৭ ওভারেই। বেড়েছে বাউন্ডারির সংখ্যাও।

আমলার পঞ্চাশ
আরেক পাশে দুটি উইকেট পড়লেও অবিচল আমলা। নিজের মতোই খেলে স্পর্শ করলেন আরও একটি অর্ধশতক। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবার হাফ সেঞ্চুরি ছুঁলেন ৫৫ বলে। ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র ৩টি, স্ট্রাইক রেট তবু নব্বইয়ের বেশি!

বেঁচে গেলেন ডি ভিলিয়ার্স
স্টাম্প সোজা আর্ম ডেলিভারিতে কাট মতো করেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাটের কানায় লেগে বল পেছনে। কিন্তু স্লিপে হাত বাড়িয়ে বল ছুঁতেই পারলেন না নাসির। দ্রুত গতিতে ছোটা বলকে হাতে জমানোর মত রিফ্লেক্স ছিল না ফিল্ডারের।  

সাকিবের জোড়া আঘাত
ডি কক-আমলা জুটিতে ভাঙন ধরাতেই পারছে না বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে অপরাজিত ২৮২, এবার প্রথম পানি পানের বিরতির সময় বিনা উইকেটে ৮২। যদিও খানিকটা মন্থর উইকেট আর বাজে আউটফিল্ডের কারণে রানের গতি আগের ম্যাচের মত নয়। তবে দুই ব্যাটসম্যান খেলছেন নিয়ন্ত্রিতভাবে, আউট হওয়ার সুযোগও দেননি।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ 
হারের বৃত্ত থেকে বের হবার নাম নেই টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্ট সিরিজে দেখা গেছে তিন ডিপার্টমেন্টেই খুব বাজে অবস্থা। আর প্রথম ওয়ানডেতে তো স্মরণ কালের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করেছে বোলাররা।

প্রথম ওয়ানডেতে একটি উইকেটও যেন ছিল সোনার হরিণ। এমন অবস্থার সঙ্গে চলছে ইনজুরিতে পড়ার মিছিল। এসবের মধ্যে আজ বাংলাদেশ দল কতটা ভালো করতে পারবে সেটা বলা মুশকিল। বোলিংয়ের মূল অস্ত্র কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ নেই গোড়ালির ইনজুরির কারণে।

টিম কম্বিনেশন নিয়ে আছে সমস্যা। ওপেনিং এ রান পাচ্ছেন না কায়েস ও সৌম্য। সেক্ষেত্রে এক তামিমের উপরই সম্পূর্ণ দায়িত্ব পড়ছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার এত কঠিন কন্ডিশনে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। যদিও লিটন দাসকে ওপেনার হিসেবে বাজিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি খুব ভালো না করলেও তাকে দিয়ে চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে।

এত প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করেও আজ বাংলাদেশকে আজ নামতে হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। যেটা বাঁচা-মরার লড়াই। তাই দলের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দলের জন্য খেলতে হবে। খেলাটি বেলা ২টায় সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি, মাছরাঙা ও সনি সিক্স এইচডি। 


বাংলা ইনসাইডার/এনআই/ডিআর




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭