ইনসাইড থট

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/06/2021


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই বিষয়টি নিয়েই আমি কয়েকটি কথা বলতে চাই। নেত্রী ১৭ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সোনার বাংলা গড়ার পথে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। এখন আমাদের ভাবতে হবে যে, তিনি একটানা ১২ বছরের উপরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আর ১২ টি বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অবশ্যই পাবো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সোনার বাংলা গড়ার কাজটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের একশত ভাগ সফলতা অর্জনের দিনটি জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে উদযাপন করবে। এই উদযাপনের অবশ্যই মহানায়ক হবেন নেত্রী শেখ হাসিনা। 

অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা এই উপমহাদের ছেড়ে যাওয়ার সময় যেভাবে পূর্ব পাকিস্তান নামক পাকিস্তানের একটি অংশকে স্বাধীন করে যাচ্ছিল, বঙ্গবন্ধুর কাছে মনে হয়েছিল যে, এভাবে বাঙালিরা এখানে নিষ্পেষিত হবে এবং এর থেকে পরিত্রানের একমাত্র উপায় হচ্ছে এই অংশটিকে স্বাধীন করা। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর তখন থেকেই শুরু হয়। 

আমরা সকলেই জানি যে, ১৯৭১ এ সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছিলেন মূলত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ গঠনের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি জেলে আবদ্ধ থাকার সত্বেও তিনি যে আওয়ামী লীগ সংগঠিত করার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন এটি প্রমাণিত হয় তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রদান করা হয় এ কথা জানার সত্বেও যে বঙ্গবন্ধু কবে জেলে বাইরে আসবেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন এবং নানা চড়াই উৎরাই পার হতে হয়েছে। দল অনেকেই ভাগ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে যে আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগই দেশকে স্বাধীন করেছে। অর্থাৎ যত মারফতি কথাই বলা হোক না কেন এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র সফলকামী নেতা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ যতদিন থাকবে ততদিন সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের সংগঠক হিসেবে যত নেতার নামই আসুক না কেনো বঙ্গবন্ধুর নামই উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় বিরাজমান থাকবে। 

১৯৭৫ সালে ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার এবং নিকট আত্মীয়রা নৃশংসভাবে নিহত হন। এরপরে বৈরি পরিবেশে আওয়ামী লীগ ঝড়ের রাত্রে নিভু নিভু প্রদীপ যেরকম কোরো রকম জ্বলে থাকে সেইভাবেই সংগঠন চলছিল। ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা একই রূপ বৈরি পরিবেশে দেশে ফিরে নিজের বাড়িতে ঢুকতে না পেরেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র পিতামাতা এবং ১৫ আগস্টের সকলের জন্য দোয়া করেন নি, দোয়া করেছেন সকল বাঙালির জন্যে। একারণেই বাঙালিরা আবার নেত্রী হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে নিভু নিভু কুপি থেকে সূর্যের আলোর দে পেয়েছে। এই সূর্য হচ্ছেন নেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে এই সূর্যের ন্যায় তেজস্বী নেত্রীর কারণে দেশ থেকে কারফিউ তুলে নিতে অসাংবিধানিক পথে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা বাধ্য হয়েছিল। নেত্রীর সূর্যের আভার কারণেই ২১ বছর পরে আবার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নির্দিষ্টকাল ৫ বছর পরে নির্বাচন দিলে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কিন্তু সূর্যকে কোনো দিন মেঘ ঢেকে রাখতে পারে না। সাত বছর পরে জনগণের ঐতিহাসিক ম্যানডেট নিয়ে নেত্রী আবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পান। সোনার বাংলা গড়ার কাজ এগিয়ে চলেছে। অতিমারি থেকে শুরু করে ঝড় ঝাপটা যতই আসুক না কেন সূর্যের ন্যায় জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিপথ রুদ্ধ করার ক্ষমতা করোর নাই।

আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের সকলের দোয়া নেত্রীকে যেনো মহান আল্লাহ তায়ালা দীর্ঘ সুস্থ জীবন দান করেন এবং আরও এক যুগ অর্থাৎ ১২ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাখেন। আল্লাহ জনগণের দোয়া সব সময়ই কবুল করেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭