ইনসাইড আর্টিকেল

বিশ্ব ঐতিহ্যের সুন্দরবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/10/2017


Thumbnail

জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত এই কথার তাৎপর্য কড়ায়-গন্ডায় উপলব্ধি করা যায় যেখানে, তার নাম সুন্দরবন। সুন্দরবন বিস্ময় আর হাজারো সৌন্ধর্যের ভাণ্ডার।

সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ১৭ কিলোমিটার। এর প্রায় ৭০ ভাগ স্থল আর ৩০ ভাগ জল। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সুন্দরবন।
সমুদ্র উপকূলবর্তী পৃথিবীর একক বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এই বনভূমি বাংলাদেশ ও ভারতের  পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে স্বীকৃতি পায়।


সুন্দরবনের অধিকাংশ গাছই চির সবুজ ম্যানগ্রোভ শ্রেণির। এ বনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরী ৷ ধারণা করা হয়, এ গাছের নামেই সুন্দরবনের নামকরণ করা হয়েছে। সুন্দরী ছাড়াও গরান, গেওয়া, গোলপাতা, পশুর, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৩৩৪টি উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে। সারা পৃথিবীজুড়ে যে ৫০ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ আছে, তার ৩৫ প্রজাতিই পাওয়া যায় সুন্দরবনে।
সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী হচ্ছে বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, শুকর, কুমির, ডলফিন, গুইসাপ, কিং কোবরাসহ আরোও বেশ কয়েক প্রজাতির সাপ, কচ্ছপ, বনমোরগ-মুরগি, ভোদর, বাদুড়, কাঠবিড়ালি, হাস পাখি, গাংচিল, বক, মদনটাক, চখা, ঈগল, চিল, শকুন  ও বিভিন্ন ধরনের মাছরাঙা।

সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত প্রধান নদীগুলো পশুর, শিবসা, বলেশ্বর, রায়মঙ্গল। সুন্দরবনে নদী ছাড়াও শত শত খাল জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে পুরো বন জুড়েই। সুন্দরবনের মুল রূপ ও রহস্য হচ্ছে জোয়ার আর ভাঁটায়। জোয়ার ভাটার কারনেই একটু পর পর সুন্দরবনের চেহারা বদলে যায়।

সুন্দরবনের সংলগ্ন বেশিরভাগ মানুষের জীবন ও জীবিকা সুন্দরবনকে ঘিরেই। এ বনের কাঠ, মধু, গোলপাতা, মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি, চিংড়ির পোনা ও নানা প্রকার সম্পদের ওপর হাজার হাজার বাওয়ালী, মৌয়ালী ও জেলেদের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে।

সুন্দরবনে জ্যোৎস্না ও অমাবস্যা রাতের সৌন্দর্য অপূর্ব। জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের আলো যখন বনের গাছ পালার উপর এসে পড়ে, তখন হালকা আলোয় বনের গাছগাছালির সৌন্দর্য তুলনাহীন। অমাবস্যার রাতে সুন্দরবনের বৃক্ষের ওপর জোনাকি পোকার আলো ছড়ানোর দৃশ্য অকল্পনীয় সুন্দর।

সুন্দরবন যেমন সুন্দর তেমন ভয়ংকর। সুন্দরবনের বেড়াতে গেলে নদী দেখে সাঁতার কাটার ইচ্ছা করলে ভুলেও নদীতে নামবেন না। আর সব সময় মনে রাখবেন ‘এই সুন্দরবন আমাদের, এই বনকে নষ্ট করলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। বনের কোনো গাছ-পালা বা ডাল ভাঙ্গা যাবেনা, বনের কোনো পশু-পাখিকে বিরক্ত বা  ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ  করা যাবে না।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 


Save

Save

Save



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭