ইনসাইড বাংলাদেশ

ইসির সংলাপ পরবর্তী পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/10/2017


Thumbnail

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শুরু হওয়া সংলাপ নিয়ে শঙ্কায় ছিল নির্বাচন কমিশন(ইসি)। নবম ও দশম সংসদ ঘিরে বিগত দুই কমিশনের সংলাপের অভিজ্ঞতা সুখকর না হওয়াই ছিল এর কারণ। অবশেষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে কমিশনের সদস্যরা। এবারের সংলাপে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে চারশ প্রস্তাব জমা পড়েছে।

সংলাপে যে প্রস্তাবগুলো করা হয়েছে তাঁর মধ্যে অনেকগুলোই অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তাব সার-সংক্ষেপ করে সরকার ও সব দলকে লিখিত দেবে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন-সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কোনটা নিয়ে কি করা যায়, কমিশন বসে তা ঠিক করবে। সংলাপে যেসব ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য হবে সেসব প্রস্তাব আমলে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিশেষ কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে ইসি। জনগণ জানতে পারবে সংলাপের সারাংশ। দলগুলোর মনোভাবও সবাই জানতে পারবে। সরকারও নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।

এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে অনেকগুলোরই বাস্তবায়নের ক্ষমতা কমিশনের নেই। আবার অনেকগুলো কমিশন চাইলে নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। এই প্রস্তাবগুলো কমিশন সভায় তোলার পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এবারের সংলাপে বাংলাদেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মূল প্রস্তাবগুলো পরস্পরবিরোধী। বিশেষ করে সেনা মোতায়েন, সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন, ইভিএম ব্যবহার নিয়ে দুই দলের অবস্থান ভিন্ন। তবে সংলাপে ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৫টিই সেনাবাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছে। ইসি চাইলে সেনা মোতায়েন করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আইনের সংশোধন আনতে হবে।

সংলাপে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে ১৯টি দল। তাঁরা ইসিকে এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে উদ্যোগী হতে বলেছেন। এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে কি করা যায়, সংলাপ শেষে নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। অন্যদিকে ১৫টি দল নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। কিন্তু ইসির এখতিয়ারে এটি নেই। কমিশন বড়জোর সরকারকে প্রস্তাব দিতে পারে। তাই সংবিধানের মধ্যে থেকেই ইসি কাজ করবে।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে প্রার্থীদের আট দফা ব্যক্তিগত তথ্য হলফনামা আকারে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এবারের সংলাপে জাসদ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে এ বিধান বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। তবে কমিশনের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এটি কমিশন তো নয়ই, সরকারের পক্ষেও বাতিল করা সম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশ ছাড়া এই বিধান তুলে দেওয়ার সুযোগ কম।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য প্রস্তাবগুলোই রাখতে হবে ইসিকে। অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহনে একটি নির্বাচনে তাঁদেরই ভূমিকা রাখতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনগুলোর মাধ্যমেই জাতীয় নির্বাচন গ্রহনযোগ্য করতে তাঁদের সক্ষমতা অনেকাংশে প্রকাশ পাবে।

 

বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭