ইনসাইড টক

‘পরীক্ষা হতেই হবে এবং পরীক্ষাটা সংক্রমণ কমলে নিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/07/2021


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, সংক্রমণ কমে যাবে ধরে নিয়ে এবং সেই প্রত্যাশা করেই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে প্রচুর লোক, অন্তত ৫ থেকে ৭ কোটি লোকের টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। কারণ, আমাদের আগস্ট মাসের মধ্যেই প্রত্যাশা হচ্ছে দেড় থেকে দুই কোটি লোকের টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। টিকা যখন ব্যাপক হয়ে যাবে অর্থাৎ যদি ৫০ শতাংশ লোক যদি টিকার আওতায় চলে আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের পরিমাণ কমে যাবে। সেটা প্রত্যাশা করেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে পরীক্ষার ব্যাপারে।

পরিস্থিতি অনুকূলে এলে নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত, স্কুল-কলেজ খোলা সহ বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, কারণ, ১০ থেকে ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে আরও তিনজন করে অভিভাবক নিয়ে ৬০ লক্ষ লোকের চলাফেরা - এটি এখন যে অবস্থায় চলছে সেই অবস্থায় সম্ভব না। আর পরীক্ষা ছাড়া যে সার্টিফিকেট দেয় সেটা তো হবেই না, পরীক্ষা হতেই হবে এবং পরীক্ষাটা সংক্রমণ কমলে নিতে হবে। স্কুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমি মনে করি প্রাথমিকের স্কুলগুলো শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার পরেই খুলে দেওয়া উচিত। কারণ, যে সকল শিক্ষক আছে তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত টিকা দিয়ে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া উচিত। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া হলেও ফাইনাল পরীক্ষা সেভাবে নেয়া হয়নি। আর অনলাইনে তো সেভাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভবও হবে না। বিশেষ করে পদার্থ, রসায়ন সহ বিজ্ঞানের যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর পরীক্ষা কীভাবে হবে? আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল না খোলা হলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। কারণ, আত্মীয়র বাসায় থেকে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়না। কিন্তু হল খুলে দিলে যেটা আশংকা করা হয় যে শুধু পরীক্ষার্থীরা না, সবাই এসে হলে উঠবে। তখন হলে যদি একটি সংক্রমণ শুরু হয় তখন সঙ্কট দেখা দিবে। ইতোমধ্যে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এটি করেছিল। তারা পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। পরে দেখা গেলো যে, ৮ থেকে ১০ জন করে শিক্ষার্থী প্রতিদিন আক্রান্ত হতে শুরু করে। তখন আবার বন্ধ করে দিয়েছে। খুলে দেওয়া আর বন্ধ করা শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। খুলেছে আবার বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে এখন লকডাউন চলছে। সেখানে সংক্রমণ খুবই কম। মাত্র ৭৭ জন চিহ্নিত হয়েছে। তাতেই সিডনীতে লকডাউন দেয়া হয়েছে। জাপানের বিভিন্ন শহরে লকডাউন। এটি এখন বেশিরভাগ চলছে। তাই পরীক্ষার ব্যাপারে নভেম্বর-ডিসেম্বরের কথা বলা হলেও সাথে এটা বলেছে যে যদি সংক্রমণ কমে যায়। সংক্রমণ যদি তার আগেই কমে যায়, দেখা গেলো আগস্টের পর সংক্রমণ নেই তাহলে পরীক্ষা আরও এগিয়ে নিয়েও আসতে পারে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭