ইনসাইড আর্টিকেল

পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু অভিশপ্ত আসবাবপত্র (পর্ব ২) 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/07/2021


Thumbnail

মানুষ চিরকাল একই স্থানে বসবার করে না। সময়ের প্রয়োজনে কিংবা চাহিদার তাড়নায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে মানুষকে যেতেই হয়। সাথে থাকে ব্যবহার্য কিছু আসবাব, তৈজস, থাকে শখের কিছু দ্রব্যাদি। মাঝে মাঝে এমন কিছু গল্প উঠে আসে যা কল্পনাকেও হার মানায়। কেমন হবে, যদি আপনি শুনতে পান আপনার প্রিয় চেয়ারটিতে ভূতের ছায়া রয়েছে? কিংবা যে আয়নায় প্রতিদিন নিজের অতি প্রিয় মুখশ্রী দেখে ঘুমুতে যান, সেখানেই প্রায় শত বছর আগে মাথা কুটে মরেছিল এক নারী? এমন ব্যবহার্য জিনিসগুলোই কালে কালে সময়ের সাথে অভিশপ্ত বলে পরিণত হয়েছে। শুনতে পাওয়া যায় যে এদের ওপর ভর করে থাকা প্রেতাত্মা নাকি খুন করেছিল ব্যবহারকারীকে, জখম করে প্রায় আধমরা করেছিল পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। আসুন, আজ এমনই কিছু অভিশপ্ত আসবাবপত্রের সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

দ্য ক্রাইং বয় 
দ্য ক্রাইং বয় একটি পেইন্টিং-এর নাম। শুধুমাত্র একটি হিসেবেই নয়, ক্রাইং বয়কে আঁকা হয়েছিল গণমানুষের জন্য। নানা ধরনের ভার্সন পাওয়া যায় এই ছবিটির। তবে আসল ছবিটি এঁকেছিলেন ইতালীয় চিত্রশিল্পী ব্রুনো আমাদিও, যার ছদ্মনামেই বেশি পরিচিত আমাদের কাছে ‘জিওভান্নি ব্রাগোলিন’। যুক্তরাজ্যে ছবিটি বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং অনেক মানুষ ছবিটি কিনে নিজেদের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতেন। ১৯৮৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ঘটনাটি ঘটে। দ্য সান পত্রিকায় একটি আর্টিকেল ছাপা হয়। এই আর্টিকেলে বলা হয় যে আগুনে পুড়ে এক দম্পতি মারা গিয়েছেন। বাড়ির সবকিছু জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে, শুধুমাত্র ক্রাইং বয়ের এই ছবিটি ছাড়া। দ্য সান পত্রিকার মতে এই ক্রাইং বয়ের ছবিটিই দুর্ঘটনা থেকে একমাত্র কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। পরেরদিন থেকে সান পত্রিকার অফিসে আসতে শুরু করল অনেক ফোন। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন ফোন করে জানাচ্ছে যে এই ছবিটি নিয়ে তাদের নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এক মহিলা জানান যে ছবিটি কেনার ছয়মাস পরেই তার বাড়িটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও আরও নানা ঘটনার জন্য মানুষজন এই ছবিটিকেই দায়ী বলে মনে করতে থাকে। এক নারী জানান ১৯৫৯ সালে ছবিটি ক্রয় করবার পর থেকেই তিনি তার স্বামী ও তিন সন্তানকে খুইয়েছেন। অনেকেই এক ঘটনাগুলোকে কাকতালীয় হিসেবে বলার চেষ্টা করেন তবে আরও একটি বাড়ি যখন পুড়ে যায় এবং সেখানে ক্রাইং বয়ের ছবিটি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়না, তখন সকলের টনক নড়ে উঠল। সান পত্রিকা এবার সবাইকে জানাল যে যাদের বাড়িতে জিওভান্নির এই ছবিটি রয়েছে, তারা যেন তা ফেলে দেয়। ফলে প্রায় ২,৫০০ মানুষ তাদের ঘর থেকে এই ছবিটি বের করে এবং বিশাল একটি বনফায়ার করে এই ছবিগুলো পোড়ানোর মহোৎসব শুরু করা হয়। ২০১০ সালে স্টিভ পান্ট নামক একজন কমেডিয়ান এবং রেডিও উপস্থাপক বলেন যে এই বনফায়ার থেকে যে কোনো একটি ছবিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন, পেরেওছিলেন। তবে বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন যে এই ছবিটির মাঝে একধরনের প্রলেপ আছে যেটি আগুনে পুড়ে যাবার হাত থেকে ছবিটিকে রক্ষা করে। এরপর ভয়ে তিনি ছবিটি আর নিজের কাছে রাখেন নি। একটি নিরাপদ স্থানে ছবিটি রেখে বাড়ির পথ ধরেছিলেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭