কালার ইনসাইড

গণসংগীতের মশাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যেন পরবর্তী প্রজন্ম নেয়: সুরইয়া আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/07/2021


Thumbnail

গতকাল রাতে গণসংগীতের বার্তাবাহক এবং এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর কন্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীর মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ দুপুর ১২টায় ফকির আলমগীরের মরদেহ শেষবারের মতো শহীদ মিনারে আনা হয়।

আজ শনিবার (২৪ জুলাই) এর আগে বেলা ১১টায় ঢাকার খিলগাঁওয়ের পল্লী মা সংসদ মাঠে ফকির আলমগীরকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় তাঁর প্রথম জানাজা। এর পর সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।

সদা সরব এই মানুষটির নিরবতা মানতে পারছেন না তার জীবনের ৪৪ বছরের সঙ্গী স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর। ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সুরাইয়া আলমগীরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর যেখানে গেছেন, বেশির ভাগ অনুষ্ঠানেই স্ত্রীকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন ফকির আলমগীর। গতকাল রাতে সেই বন্ধন ছিন্ন হলো। শহীদ মিনারে সকলের উদ্দেশ্য সুরাইয়া আলমগীর বলেন, এই শহীদ মিনার আর ফকির আলমগীরের কণ্ঠে মুখর হবে না। তিনি চলে গেছেন জাগতিক সব বন্ধন ছিন্ন করে।

তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুরোধ জানিয়ে সুরাইয়া আলমগীর বলেন, ‘গণসংগীতের মশাল এত দিন বয়ে চলেছেন ফকির আলমগীর, তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যেন পরবর্তী প্রজন্ম নেয়। এই ধারার সংগীতের মাধ্যমে যেন মেহনতি মানুষের কথা উচ্চারিত হয়। গণমানুষের জন্য গাইতেন ফকির আলমগীর। তাঁর গানের পরতে পরতে বাংলার নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের কথা। যেকোনো আয়োজনে গগনবিদারী কণ্ঠে মানুষের জন্য গেয়ে উঠতেন তিনি।’

শহীদ মিনারে সুরাইয়া আলমগীর সরকারের কাছে দাবি জানান, ফকির আলমগীর ছিলেন গণমানুষের শিল্পী। তিনি যেমন সাধারণ লোকের জন্য শত শত গান করেছেন, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর গান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছে। শোষণ, অন্যায় ও অবিচারের কথা তিনি গানে গানে বলেছেন। তাঁর মতো এমন বলিষ্ঠ কণ্ঠ যোদ্ধাকে যেন পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নতুন প্রজন্ম যেন তাঁর মতো আদর্শ শিল্পীকে চিনতে পারে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭