নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 26/07/2021
মানুষ চিরকাল একই স্থানে বসবার করে না। সময়ের প্রয়োজনে কিংবা চাহিদার তাড়নায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে মানুষকে যেতেই হয়। সাথে থাকে ব্যবহার্য কিছু আসবাব, তৈজস, থাকে শখের কিছু দ্রব্যাদি। মাঝে মাঝে এমন কিছু গল্প উঠে আসে যা কল্পনাকেও হার মানায়। কেমন হবে, যদি আপনি শুনতে পান আপনার প্রিয় চেয়ারটিতে ভূতের ছায়া রয়েছে? কিংবা যে আয়নায় প্রতিদিন নিজের অতি প্রিয় মুখশ্রী দেখে ঘুমুতে যান, সেখানেই প্রায় শত বছর আগে মাথা কুটে মরেছিল এক নারী? এমন ব্যবহার্য জিনিসগুলোই কালে কালে সময়ের সাথে অভিশপ্ত বলে পরিণত হয়েছে। শুনতে পাওয়া যায় যে এদের ওপর ভর করে থাকা প্রেতাত্মা নাকি খুন করেছিল ব্যবহারকারীকে, জখম করে প্রায় আধমরা করেছিল পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। আসুন, আজ এমনই কিছু অভিশপ্ত আসবাবপত্রের সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
রবার্ট দ্য ডল
রবার্টকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক পুতুল। গাড়ি দুর্ঘটনা, কারও শরীরের সব হাড় ভেঙে চুরচুর করে দেয়া, স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ- হেন কোনো ঘটনা নেই যার পেছনে এই পুতুলের হাত ছিল না। কেউ কেউ তো বলেন যে এই পুতুলের কারণেই তাদের চাকরি চলে গিয়েছে। কী এমন ছিল এই পুতুলের মাঝে যে এতকিছু ঘটাতে সম্ভব হলো সে?
রবার্টের মালিকানায় প্রধানত ছিলেন চিত্রশিল্পী রবার্ট ইউজিন অটো। ছেলেবেলায় দাদুর কাছ থেকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে এই পুতুলটিকে পেয়েছিলেন তিনি। বড় হবার পরও বেশ কিছু সময় এই পুতুলটিকে যত্ন করে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন অটো। ঘরের একটি জানালার পাশে পুতুলটিকে সাজিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে বাইরে খেলা করা স্কুলের বাচ্চারা খেয়াল করতে শুরু করে যে পুতুলটির মাঝে কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে। এটি যখন তখন অদৃশ্য হয়ে যায়, হাঁটাচলা করে, ঘাড় ফিরিয়ে তাদের দিকে ভেংচি কাটে। আস্তে আস্তে অটোর বাড়িকে এড়িয়ে চলতে শুরু করল শিশুদের দল। আর কেন করবে না বলুন? একটি পুতুল এমন সব কাজ করছে, তা কী কখনও মেনে নেয়া যায় নাকি কেউ কখনও শুনেছে? বাড়ির চারপাশ থেকে শিশুদের কলতান হারিয়ে যাবার পর বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন অটো। এমনটা হবার কী কারণ থাকতে পারে, ভাবতে শুরু করলেন তিনি। তবে ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ করেননি যে তার জানালায় বসে থাকা পুতুলটিই এর জন্য দায়ী!
১৯৭৪ সালে অটোর বাড়ির নয়া মালিক হয়ে এলেন মার্টল রিউটার। তার বাড়িতে থাকা অন্যতান্য সদস্যরা ক্রমাগত অভিযোগ করতে শুরু করলেন যে মাঝরাতে কে যেন সিঁড়ির পাশে ছোট ছোট পদক্ষেপে হেঁটে যায়, হাসির আওয়াজও শুনতে পান তারা। একটি ছোট বাচ্চা যেন বাড়ির লোকজনের সাথে খুব মজা নিচ্ছে। বিষয়টি ক্রমেই বেশ অস্বস্তিদায়ক হয়ে উঠতে শুরু করল। কেউ কেউ বলত যে পূর্বের মালিক অটোর নামে কেউ বাজে কথা বললেই স্বরুপে আবির্ভূত হতো রবার্ট দ্য ডল। মানুষকে জ্বালিয়ে মারায় কোনো জুড়ি ছিল না তার। রিউটার নিজে বলেন যে রবার্ট একদিন তাকে ছুরি হাতে নিয়ে তাড়া করেছিল!
১৯৯৪ সালে রিউটার রবার্টকে ফ্লোরিডার ইস্ট মার্টেলো মিউজিয়ামে দান করে দিয়েছিলেন।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭