ইনসাইড থট

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্য ভালোবাসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/07/2021


Thumbnail

শুভ জন্মদিন জাতির পিতার দৌহিত্র, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে তিনি তাঁর নেতৃত্বের যোগ্যতা, মেধা ও দূরদর্শিতার প্রমান রেখেছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্রষ্টা। বাংলাদেশে তারুণ্যের নেতৃত্বের বিকাশ, তাদেরকে স্বপ্ন দেখানো, তাদের কর্ম সংস্থান, তারুণ্যে উদ্যোক্তা নির্মাণে উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তাকরণ, শিল্পায়ন, গবেষণা ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে তিনিই একমাত্র মেধাবী নেতৃত্ব যিনি তাঁর দেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

একটি কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, তিনি তাঁর মেধা, যোগ্যতা, বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা, ব্যক্তিত্ব, সততা, দেশপ্রেম এর কারণে ইতোমধ্যে নিজেকে বিশ্বমানের একজন লিডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন। জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণার পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অবরুদ্ধ ঢাকায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার গর্ভে জন্ম নেয়া, মাতামহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান থেকে তাঁর নামকরণ এবং শৈশবে মাতামহ জাতির পিতার সান্নিধ্যলাভ- এসব কারণে ছাত্রজীবন থেকেই সজীব ওয়াজেদ জয় নামটি আমার কাছে একটা `বিস্ময়` মনে হয়। এই নামের সাথে আমাদের আবেগ জড়িত - আমাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জড়িত।

পঁচাত্তুরে শতাব্দীর নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে বাঙালি জাতির পিতা নিহত হন। ঐ সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে বিদেশে অবস্থান করে সৌভাগ্যক্রমে মা-খালার সঙ্গে প্রাণে বেঁচে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ পৃথিবীকে এক বিস্ময়কর নেতৃত্ব দেখানোর জন্য সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। আর তাঁর নেতৃত্বের যোগ্য উত্তরসূরি প্রস্তুত রাখতেই আল্লাহ সজীব ওয়াজেদ জয়`কেও পঁচাত্তুরে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের সংগ্রামী জীবনের গল্প আমি প্রথম শুনেছিলাম তাঁর মা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৯৯৪ সালে। একদিন সন্ধ্যায় ২৯ মিন্টু রোডে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তাঁর অনেক গল্প করেছিলেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাল্যকাল থেকেই মা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সতর্কভাবে তাঁকে ক্ষমতার বাইরে রেখেছিলেন। উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এটি ছিল এক কঠিন কাজ। সজীব ওয়াজেদ জয় সহ জাতির পিতার সকল দৌহিত্র-দৌহিত্রীই ক্ষমতার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য এটি এক অসাধারণ অনুকরণীয় শিক্ষা।

আমি যুক্তরাজ্যে পিএইচডি গবেষণাকালীন সময়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে আমার সময়ে সময়ে টেলিফোন কথা হতো। দেশের অনেক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করতাম।

তাঁর আলোচনায়  সবসময়ই বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর চিন্তা-চেতনা ও স্বপ্নের কথা উঠে আসতো। এক-এগারোর সরকারের সময় "সজীব ওয়াজেদ জয়" নামে তাঁর পরিচালিত ব্লগে আমি নিয়মিত লিখতাম। কোন লেখা তাঁর ব্লগে পাবলিস করা হবে- এটি তিনি নিজেই ঠিক করতেন।

আমার প্রতিটা লেখাই তিনি পাবলিস করতেন। যে সকল ব্যক্তিবর্গ ওয়ান ইলেভেন সংঘটিত করেছিল, তাদের প্রতিনিধিরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্লগটির উপর নজরদারী করতো।

তাদের কিছু কিছু মন্তব্যে আমরা সেটি বুঝতে পারতাম। মা শেখ হাসিনা কারান্তরীণ থাকা অবস্থায়ও তিনি ঐ সময়ে এক-এগারোর সরকারের বিরুদ্ধে অনেক সাহসী লেখা লিখেছিলেন। তাঁর মধ্যে আমি দেখেছিলাম নানা আর মা এর সাহস। ঐ সময়ে আমিও বেশ কয়েকটি সাহসী লেখা লিখেছিলাম।

আমার এখনো মনে আছে, যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কারান্তরীণ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওনা দিচ্ছিলেন, ঐদিনও আমি সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে বাংলাদেশের পরিস্হিতি নিয়ে যুক্ররাজ্য থেকে কথা বলেছি।

বিশ্বে সমকালীন রাজনীতিবিদদের মধ্যে তার মতো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী প্রাপ্ত ও সুশিক্ষিত, চৌকস এবং প্রযুক্তিজ্ঞানসহ বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনীতিবিদের সংখ্যা কমই আছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়  সহ  বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র-দৌহিত্রীদের হাতেই নিরাপদ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭