ইনসাইড আর্টিকেল

কাকতাড়ুয়া রহস্যের ইতিকথা (পর্ব ১)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 30/07/2021


Thumbnail

কাকতাড়ুয়া দেখেও কখনও কখনও আপনার পিলে চমকে যেতে পারে। অবাঞ্ছিত পশুর হাত থেকে কৃষকের ফসল রক্ষা থেকে শুরু করে দুষ্টু ছেলের দল তাড়াতে কাকতাড়ুয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়। আবার পপুলার কালচারে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কিংবা হরর বইতেও উঠে এসেছে কাকতাড়ুয়া নিয়ে নানা গল্প, আখ্যান। আজকের দিনে কাকতাড়ুয়ার একটি নিজস্ব ছাঁচে গড়া রূপ দেখতে পেলেও একটা সময় ছিল যখন আমেরিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাকতাড়ুয়া দেখলে মানুষ ত্রিসীমানায় ঘেঁসতেও সাহস পেত না। এদের আদল গড়ে তোলা হতো একেবারে মানুষের মতো করে। হঠাত করে দেখলে ফসলের ক্ষেতে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে কিনা, তা ভাবতে ভুলই হতো বৈকি!

১৯৫৩ সালের কথা। ওয়ালেসের লেগেইনে কিছু শ্রমিক ফসলের মাঠে কাজ করছে। সেখান থেকে যত নোংরা ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাচ্ছে, তা তুলে নিয়ে ফেলে দিচ্ছে অগ্নিকুণ্ডে। আবর্জনা ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাত একজন শ্রমিক একটি কাকতাড়ুয়াকে দেখতে পেল মাঠের মাঝে। সেটাকে তুলে নিয়ে ফেলে দেয়া হলো অগ্নিকুণ্ডে।

কাজ শেষ। শ্রমিকেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া জিনিসগুলো দেখছে। হঠাত করে তারা দেখতে পেল কাকতাড়ুয়া বলে যেটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছিল, সেটির থেকে মানুষের হাড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ছুটে যাওয়া হলো আবার সেখানে, যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল কাকতাড়ুয়াটি। অবিশ্বাস্য ব্যাপার! একটি মানুষের মাথার খুলি ও নকল একসেট দাঁত পাওয়া গেল অকুস্থলে। আগুন থেকে উদ্ধার করার জন্য ছুটে যাওয়া হলো কাকতাড়ুয়া ভেবে ভুল করা মানুষটিকে। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ মাথার খুলি থেকে আবিষ্কার করে হতভাগ্যের নাম ছিল এথেল উইনিফ্রিড কলিনস, বয়স ৬৬। বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭