ইনসাইড আর্টিকেল

কাকতাড়ুয়া রহস্যের ইতিকথা (পর্ব ২)

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 31/07/2021


Thumbnail

কাকতাড়ুয়া দেখেও কখনও কখনও আপনার পিলে চমকে যেতে পারে। অবাঞ্ছিত পশুর হাত থেকে কৃষকের ফসল রক্ষা থেকে শুরু করে দুষ্টু ছেলের দল তাড়াতে কাকতাড়ুয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়। আবার পপুলার কালচারে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কিংবা হরর বইতেও উঠে এসেছে কাকতাড়ুয়া নিয়ে নানা গল্প, আখ্যান।

আজকের দিনে কাকতাড়ুয়ার একটি নিজস্ব ছাঁচে গড়া রূপ দেখতে পেলেও একটা সময় ছিল যখন আমেরিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাকতাড়ুয়া দেখলে মানুষ ত্রিসীমানায় ঘেঁসতেও সাহস পেত না। এদের আদল গড়ে তোলা হতো একেবারে মানুষের মতো করে। হঠাত করে দেখলে ফসলের ক্ষেতে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে কিনা, তা ভাবতে ভুলই হতো বৈকি!

নারীসদৃশ কাকতাড়ুয়া খুব কমই তৈরি করা হতো। তবে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে নারী আদলে বেশ ভয়ঙ্কর কিছু কাকতাড়ুয়া তৈরি করা হয়। যেমন, ১৯০৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় চাঞ্চল্যকর একটি আর্টিকেল ছাপানো হয়। ইউজিন প্লোযি নামক এক হাঙ্গেরীয় কৃষক এতটাই কঞ্জুস ছিল যে সে তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর মৃতদেহ সৎকারের ঝক্কিতে আর যায়নি। মৃতা স্ত্রীর দেহ কাকতাড়ুয়া হিসেবে ফসলের ক্ষেতে ঝুলিয়ে রেখে দেয়।

১৯১০ সালের আমস্টারডামের এক কাহিনী। এখানেও একজন কৃষকের গল্প। স্ত্রীকে সে ভালোবাসত ঠিকই, কিন্তু ফসলের চেয়ে বেশি নয়। তাই স্ত্রীর মৃত্যুর পর দেহটিকে সৎকার না করে ফসলের ক্ষেতে রেখে দিয়ে আসে কাকতাড়ুয়াদের ভয় দেখানোর জন্য। প্রতিবেশীরা প্রথমে কাকতাড়ুয়াটি দেখে ভয় পায়। পরবর্তীতে সেটির শরীর থেকে মাংস পচা গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় তাদের। খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ এসে অনুসন্ধান করার পর জানা যায় সেটি এক নারীর লাশ!

 

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭