নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 31/07/2021
নিল আর্মস্ট্রং এর পরপরই চাঁদের বুকে নিজের পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছিলেন তিনি। মর্ত্যের বুকে নামার পর স্বাভাবিকভাবেই তার গলায় ওঠা উচিত ছিল মালা, সামনে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল বরণমালা। কিন্তু সে ভাগ্য বোধহয় তার ছিল না। বিমানবন্দরের কাস্টমসের ফর্ম পূরণ করে আর দশজন স্বাভাবিক যাত্রীর মতোই বের হতে হয়েছিল তাকে।
আনন্দবাজারের সূত্রে জানা যায়, চাঁদ থেকে ফেরার পরে সেই অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি টুইটারে শেয়ার করলেন আর্মস্ট্রংয়ের সহযাত্রী এডুইন অলড্রিন।
অভ্যর্থনা তিনি পাননি এমন নয়, তবে সাধারণ যাত্রীর মতো বিমানবন্দরের কাস্টমসের ফরম পূরণ করার পর বেরিয়েছিলেন তিনি। মহাকাশযান অ্যাপোলো ১১-এর মডিউল ইগলে করে চাঁদে গিয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী। প্রথম পা রেখেছিলেন নিল। এরপর এডুইন, টুইটারে যার নাম উল্লিখিত বাজ অলড্রিন হিসেবে।
তিনি চাঁদ থেকে ফেরার পরের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘একবার ভাবুন, আট দিন আমরা মহাকাশে কাটিয়েছি। প্রায় ২২ ঘণ্টা আমরা ছিলাম চাঁদে। পৃথিবীতে, মানে বাড়িতে ফিরেছিলাম শুধু বিমানবন্দরের কাস্টমস পেরিয়ে যেতে হবে বলে।’
এর সঙ্গেই কাস্টমসের ফরমটিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোথা থেকে এসেছেন, সেই স্থানে লেখা রয়েছে ‘চাঁদ’। স্পষ্ট তারিখটিও, ২৪ জুলাই ১৯৬৯। এই ফরমে তিনজনের নাম রয়েছে— অলড্রিন ও আর্মস্ট্রং চাঁদে নামলেও যানেই ছিলেন মাইকেল কলিন। তার নামও উল্লেখ করা হয়েছে এই ফরমে।
স্পেসডটকমের খবর অনুসারে, ২০০৯ সালে এই ফরমটি যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি সত্যি। সেই সময়ে এই ঘটনা নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও হয়েছিল।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭