ইনসাইড আর্টিকেল

কর্মযোগী বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়: জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/08/2021


Thumbnail

২ আগস্ট । ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের এদিনে বর্তমান খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাড়লী গ্রামে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, যিনি স্যার পিসি রায় নামে সমধিক পরিচিত, জনুগ্রহণ করেন। অত্যন্ত মেধাবী প্রফুল্ল চন্দ্র ৯ বছর পর্যন্ত নিজ গ্রামে তার পিতা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মিডল ইংলিশ স্কুলে পড়াশুনা করেন। পরে কলিকাতা গমন করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত

মেট্রোপলিটন কলেজে (বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজ) বি.এ পড়াকালে গিলক্রাইস্ট বৃত্তি নিয়ে বিলাত গমন এবং এডিনবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রী অর্জন করে ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে মাসিক ২৫০ টাকা বেতনে প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। রসায়ন শাস্ত্রের এ

অধ্যাপক ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে মারকিউরাস নাইট্রাইট নামক যৌগিক পদার্থ আবিষ্কার করেন । নাইট্রাইটস এর উপর বহুবিধ গবেষণা ও সাফল্যের জন্য তাকে মাস্টার্স অব নাইট্রাইটস বলা হত।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা রবির প্রখর আলোকচ্ছটায় যখন ভারতবর্ষ উদ্ভাসিত, তখন জোছনার প্রদীপ্ত আলোর ন্যায় স্বীয় প্রতিভা, প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রফুল্ল চন্দ্র করেছেন বিভিন্ন দিককে আলোকিত । তিনি হয়েছেন প্রবাদ প্রতিম

সংস্কারক, শিল্পদ্যোক্তা, সমবায়ী, ফলিত অর্থনীতিবিদ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মী, আর্তসেবী, মানবদরদী, ইতিহাসবিদ এবং কর্মযোগী । এতবড় একজন বিজ্ঞানী নিজেই বলেছেন `I became a chemist by mistake"। বাঙালির শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সাহস তো দূরের কথা, কল্পনা করাও যখন ছিল কল্পনাতীত । সে সময় বেতনের সঞ্চিত ৮০০ টাকা নিয়ে বসতগৃহে প্রেসিডেন্সি কলেজে চাকুরী করা অবস্থায় ১৯০১ খিস্টাব্দে বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস

প্রতিষ্ঠা করে দেশীয় ও ভেষজ উৎপাদন দিয়ে কেমিক্যাল ও উষধ প্রস্তুত শুরু করেন। শুরুর দিকে এটি ছিল একটি সাহসী যুদ্ধ। তার ভাষায় “বেঙ্গল কেমিক্যাল প্রতিষ্ঠায় আমি কুলির মত কাজ করেছি” । কেমিক্যাল তৈরীর জন্য তার সার্কুলার রোডের বাসায় টিনের চালে গরুর হাড় রেখেছেন শুকানোর জন্য । শকুন-চিল এর কয়েকখানা নিয়ে ছড়াচ্ছে এ পাড়ায় ও

পাড়ায় । আর যায় কোথায়? পাড়াশুদ্ধ লোকজন দ্বারা বাড়ী ঘেরাও । একটাই বক্তব্য- পাড়া ছাড়ো । শেষ পর্যন্ত রফা। দূরে টালিগঞ্জের বাঁশবনে তা নিয়ে সালফিউরিক এসিড দিয়ে পুড়িয়ে তৈরী হল ফসফেট অব সোডার মন্ড। ঁষধ ও কেমিক্যাল

তৈরীর উপকরণ । সাজি মাটি দিয়ে সোডা তৈরি করেছেন। এভাবে সেখানে তৈরী হলো ন্যাপথলিন, ফিনাইল, সোডিয়াম বায়োসালফেট, সালফিউরিক এসিড, ক্যাফিনসহ অনেক কেমিক্যাল । গাছ-গাছড়া দিয়ে তৈরী হতে শুরু করলো কালমেঘ, বাসক, জোয়ানের আরক এবং আরও নানা ওঁধধ । উৎপাদন খরচ কম বলে দামও কম। সেই ছোট কারখানা থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ কেমিক্যাল ও উঁষধ কারখানা হতে সময় লাগেনি। ১৯০১ সালেই আয় হলো ২৩৩৭১ টাকা । ১৯১৫ সালে সে আয় দীড়ায় ৫ লক্ষ টাকায়। তিনি এভাবে ক্যালকাটা পটারী ওয়ার্কস, বেঙ্গল এ্যানামেল ওয়ার্কস লিঃ, বেঙ্গল সল্ট

কোম্পানী লিঃ প্রতিষ্ঠা করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পাশাপাশি অনেক শিল্প স্থাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন । এদেশে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারের জন্য বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ নামক আলোচনা সভার প্রতিষ্ঠা করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎ চন্দ্র প্রমুখ প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিকের যুগে একজন বৈজ্ঞানিকের সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ থাকেনা । কিন্তু তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। শেকসপিয়ারের উপর ধারাবাহিক প্রবন্ধ এবং বই লিখেছেন।

একইসঙ্গে সমবায়, কৃষি উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, রসায়ন, ইতিহাস, প্রাণী বিজ্ঞান, সমাজ সংক্ষারসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লিখেছেন । মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে তিনিই এতদাঞ্চলে পথ প্রদর্শক। মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে বাংলায় বই প্রকাশের জন্য ১৮৯০ সালে তিনি নেচার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯১০ খিস্টাব্দে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি এবং ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে পরপর ৩ বছর বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞান, গবেষণা, শিল্প উদ্যোগ, ব্যবসা, সমাজ সংস্কার, দারিদ্য

বিমোচনসহ বহু বিষয়ে তিনি প্রবন্ধ রচনা করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রসারে ভূমিকা রাখেন । “প্রবাসী” পত্রিকায় শুরুর থেকে তিন দশকের বেশী সময় নিয়মিত প্রবন্ধ লিখেছেন । এ পত্রিকায় শেষ লেখা যখন বের হয়, তখন তার বয়স ৭৫। অথচ এ বয়সে তার লেখার বিষয় ছিল “অন্ন সমস্যা ও গো-পালন””।

কৃষির উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে ফরিদপুর কৃষি ফার্মের মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে সমীক্ষা করেছেন। গো-খাদ্য তথা ঘাস উৎপাদন ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষির ফলন বাড়ানোর প্রচেষ্টা নিয়েছেন। এঁ সময় কৃষি উৎপাদনে রাসয়নিক সারের প্রচলন না থাকা সতেও, লাভের কথা চিন্তা না করে তার বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে উবানি সার তৈরী করে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের উন্নয়ন ও আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিজ গ্রামে রাড়ুলী কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। বেঙ্গল কেমিক্যাল কর্মচারী সমবায় সমিতি,

বঙ্গীয় সমবায় সংগঠন সমিতি, বীধ নির্মাণ সমবায় সমিতি, জলসেচ সমবায় সমিতি, বিপণন সমবায় সমিতি, স্বাস্থ্য সমবায় সমিতি ইত্যাদি উৎপাদন, উপকরণ এবং বিপনন বিষয়ক অনেক সমবায় সমিতি গঠন করেন । সমবায়ের মাধ্যমে হস্ত শিল্প

ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে Indian Industrial Commission এর কাছে প্রস্তাব পেশ করেন। তৎকালীন মরণঘাতী রোগ কালাজ্বর ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল কো-অপারেটিভ এন্টি ম্যালেরিয়াল সোসাইটি গঠন করে তিনি

এর পরিচালকের দায়িতপালন করেন। প্রয়াত শিক্ষকদের পরিবারকে সাহায্যের জন্য সমবায় মডেলে তিনি ““টিচার্স

বেনেভোলেন্ট ফান্ড” গঠন করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি বেঙ্গল কো-অপারেটিভ অর্গানাইজেসন সোসাইটির সভাপতির

দায়িতুপালন করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলার দুর্গম অঞ্চলে সমবায় ব্যাংক উদ্বোধনের জন্য ৭২ বছর বয়সে

সারারাত হাতির পিঠে চেপে গমন করেছেন। দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর কারণে দুঃস্থ পরিবারকে রক্ষার জন্য ইন্সুরেন্স প্রতিষ্ঠা করেন।

নাম দেন আর্ধ বীমা কোম্পানী । ১৯৩৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ভারতীয় বীমা সম্মেলনে তিনি সভাপতির দায়িতপালন

করেন। দেশীয় বীমা কোম্পানী এবং এর গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য বীমা আইনে এ বিষয়ে ধারা সংযোজনে বৃটিশ সরকারের

কাছে প্রস্তাব পেশ করেন ।

আচার্ষের সক্রিয় রাজনীতি করার সময় ও সুযোগ কোনটাই ছিলনা । অথচ ১৮৮৫ সালে বিলেতে থাকা অবস্থায় মাত্র ২৪

বছর বয়সে “India before and after mutiny” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখে বৃটিশ সরকারের সমালোচনা করেন। ইংরেজ

গোয়েন্দা পুলিশের খাতায় তার সম্পর্কে রিপোর্ট ছিল Revolutionary in the disguise of Scientist। স্বদেশী আন্দোলন

করেছেন। বৃটিশ রাজের ভারত বিরোধী নীতির সমালোচনা করেন। মণ্চেষ্টার গার্ডিয়ান পত্রিকায় আচার্য সম্পর্কে লেখা হয়

He is one of the bitterest critics of the British govt| তার বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে- “Science can afford to wait but Swaraj can not.”

 

শিক্ষক এবং শিক্ষা সম্প্রসারণে তার তুলনা তিনি নিজে । ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে National Council of Education এর সভাপতি

নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্সি কলেজে চাকুরীকালে “The congress of the Universities of the empire" এ যোগদানের

জন্য ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড গমন করেন এবং ভারতে আরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী পেশ করেন। নিজ গ্রামে ১৯০৩

সালে পিতার নামে উচ্চ ইংরেজী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি All Bengal Teachers’ Association এর প্রথম

সম্মেলনেরও সভাপতি । All India Education Conference আয়োজন করেন । All India college and universities teachers’ conference  এর উদ্যোক্তা ও সভাপতি ছিলেন। নারী শিক্ষা ও ভকেশনাল শিক্ষা সম্প্রসারণে আর্থিক সহযোগিতা করেন । বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে তিনি Indian Science New Association গঠন করে এর প্রথম সভাপতি হন।

বাগেরহাটে কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন, যা ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে তার নামে নামকরণ করা হয়। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার

বিস্তারে তিনি অগ্রণী ভূমিকাপালন করেন। কুখ্যাত মাধ্যমিক শিক্ষা বিলের বিরোধিতা করেন। বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে

সর্বাত্বক সহযোগিতার পাশাপাশি নিজে ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নিতেন । আর্তত্রাণে তার সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে মহাত্মা

গান্ধী তাকে Doctor of Floods সম্বোধনে অভিহিত করেন ।

 

তিনি সমাজের বঞ্চনা ও অস্পৃশ্যতা নিবারণ এবং সমাজ সংস্কারে সমিতি সৃজন করেছেন । প্রকাশ্য জনসভায় মেথরকে

জড়িয়ে ধরেছেন। জাতিভেদ, শিশুবিবাহ, পণপ্রথা ইত্যাদি সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আন্দোলন করেছেন।

এজন্য কমিটি করেছেন, প্রবন্ধ লিখেছেন, সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছেন, ট্রাস্ট গঠন করেছেন। তার কোন ভূত্য ছিলনা । খাবার ছিল অতিসাধারণ। দিনের বেলা ভাত খেতেন না। কারণ দিনে ভাত খেলে ঘুম পাবে এবং কাজের সময়

কমে যাবে। নিজের কাজ নিজে করতেন। বেল কেমিক্যাল, লেখা বই এর রয়ালটি এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের বেতন সবমিলিয়ে মাসে তার প্রচুর আয় ছিল। কিন্তু ব্যয় ছিল মাসিক ১৬ টাকা তথা দৈনিক আট আনা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে

অবসরের পর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এ সময় তিনি বেতন গ্রহণ করেননি। ১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেবার সময় বেতনবাবদ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে তার সঞ্চিত অর্থ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দান করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার এরূপ দানের ঘটনা অনেক। বাগেরহাট পিসি কলেজ, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও খাদি সম্প্রসারণ, সমবায় সম্প্রসারণ, বন্যা ত্রাণ, নারীশিক্ষা, সমাজ সংস্কারসহ বহুবিধ উন্নয়নে তাঁর উল্লেখযোগ্য দান আছে। কর্মযোগী জ্ঞানতাপস এ বিজ্ঞানীর ৭০তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে । এ আয়োজনের জন্য সংগৃহীত হয় ৭০ হাজার টাকা । কিন্তু খরচ হয়েছিল মাত্র ১২৭ টাকা । অবশিষ্ট টাকা দান করেছেন। মানবদরদী এ বিজ্ঞানীর জনুজয়ন্তী অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল তৈরী, হ্যান্ড বিল বা অন্যান্য বিষয়ে অনেক সরবরাহকারী টাকা গ্রহণ করেননি । এটাই তার কাজের স্বীকৃতি। বেতনের টাকা দিয়ে তিনি বিজ্ঞান কলেজের জন্য ০৬টি ঘর তৈরী করেন। শর্ত একটি ঘরে তাকে আজীবন থাকতে দিতে হবে । নাইট উপাধী অর্জনকারী অকৃতদার এ বীর বাঙালী তার সর্বস্ব দান করে ১৯৪৪ শ্রীস্টাব্দের ১৬ জন পরলোক গমন করেন। তিনি চলে গেছেন, কিন্ত তার প্রচেষ্টা, কাজ ও অর্জন এখন বহুগুণে সম্প্রসারিত হয়েছে । আজ ২ আগস্ট বাংলাদেশের এ মহান বিজ্ঞানীর শুভ জন্মদিনে শ্রদ্ধার্থ জানাই। 

ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক সচিব



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭