ইনসাইড টক

‘দোকান মালিকদের দৌড় শুরু হয়েছে, পৃষ্ঠপোষকরাও ঠাঁই দিচ্ছে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/08/2021


Thumbnail

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীররা, দর্জি মনিররা আওয়ামী লীগের না। এরা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে। ধরা পড়ছে, দল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের যদি আরো থাকে, ধরা পড়ে এদেরকে যাচাই বাছাই করা হবে, এদের ওপরেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোকান মালিকরা নানা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে, পৃষ্ঠপোষকরাও এখন এদের ঠাঁই দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি এদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন, বারবার বলেছেন। আমরা অনেককে বের করে দিয়েছি, তালিকা করে ওদেরকে বের করে দিয়েছি। আরো ধরা পড়লে আরো বের করা হবে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।

আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী, ভুঁইফোড় সংগঠন এবং অনুপ্রবেশকারীদের জন্য দলের বিতর্ক সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। পাঠকদের জন্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নষ্ট করবে যারা তাদেরকে কোন রেহাই নাই। এইসব ভুঁইফোড় সংগঠন যারা সৃষ্টি করেছে এবং এদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, আমরা শুনেছি যে কেউ কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করে -এই পৃষ্ঠপোষকদের ব্যাপারেও আমরা খোঁজ করেছি। প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ, যারা এই পৃষ্ঠপোষক তাদেরকে থামাতে হবে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না করলে এই ধরনের চিটার, বাটপার, ধান্দাবাজ, সুবিধাবাদী ভুঁইফোড় সংগঠনের জন্ম বন্ধ হবে না। কারণ, আমাদের দল আওয়ামী লীগে কোন কোন সহযোগী সংগঠন, কোনটা কোনটা ভাতৃপ্রতিম সংগঠন এটা কিন্তু গঠনতন্ত্রে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে।

তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্রের বাইরে যেয়ে যারা এই সমস্ত নামসর্বস্ব ভুঁইফোড় দোকান খোলে এই সমস্ত দোকানদারদের রেহাই নেই। ইতিমধ্যে দেখেছেন যে শুরু হয়েছে। এখন তো আমরা খবর পাচ্ছি যে, এই সমস্ত দোকানের মালিকরা এখন নানা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে এবং যারা এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তারাও কিন্তু এখন এদেরকে ঠাঁই দিচ্ছে না। যার যার ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি শুরু হয়েছে। এদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থান নিয়েছে।

দলে প্রবেশের পূর্বেই কেন অনুপ্রবেশকারীদের যাচাই-বাচাই হচ্ছে না এমন প্রশ্নে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যাচাই-বাছাই করা হয়। রাজনৈতিক দল তো পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা না। রাজনৈতিক দল তো সিআইডি গোয়েন্দা সংস্থার মত দায়িত্ব পালন করে না। আমরা সামাজিকভাবে জানার বুঝার চেষ্টা করি যতটুকু জানা যায় পিতৃ পরিচয়, সামাজিক পরিচিতি। এগুলো জানার যতটুকু সম্ভব বা করা যায় তা চেষ্টা করা হয়। এটা কে কোথায় কবে কি কর্ম করেছে এগুলো এত দলিলপত্র, এগুলো কি খোঁজ নেওয়া সম্ভব? তারপরও আমরা বড় দল। অনেকে দলের সদস্য হতে চায়, দল করতে চায় অসংখ্য মানুষ। যাচাই-বাছাই আমরা যতটুকু সম্ভব করি। মাঝে মাঝে দুই একজন ঢুকে পড়ে। ধান্দাবাজ, চিটার, প্রতারক, বাটপাররা তো ধান্দায় থাকে, প্রতারণা করে। প্রতারককে ধরা কি এত সহজ? ওরা তো অনেক সময় দেখা যায় যে, ভালো মানুষদের চেয়ে ওদের কুবুদ্ধি, চালাকিতে তো আমরা পেরে উঠি না। এরা ধরা পড়লে আমরা এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেই। এই ব্যাপারে কোন মাপ করা হয় না।

দলীয় ভাবমূর্তি প্রসঙ্গে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি জাতির পিতার সংগঠন। আওয়ামী লীগ একটি আদর্শবাদী সংগঠন। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশ্বাসী। এখানে ধান্দাবাজদের, চাঁদাবাজদের, এখানে সুবিধাবাদীদের ভুঁইফোড় গজিয়ে ওঠা সংগঠন তথাকথিত বিতর্কিতদের কোন যায়গা নেই। যারা এইভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে, দলের শৃঙ্খলা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি, এটাই লীগের সৌন্দর্য, এটাই আওয়ামী লীগ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭