ইনসাইড বাংলাদেশ

১০০ সুন্দরীকে অধীনে রেখে মডেল পিয়াসার সর্বনাশা ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 03/08/2021


Thumbnail

গ্রেপ্তারকৃত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং তার অন্যতম সহযোগী মরিয়ম আক্তার মৌ-এর অধীনস্থ ছিল ১০০ সুন্দরী। এই সুন্দরীদের কাজে লাগিয়েই ধনীর দুলালদের মধুর আকর্ষণে হাতছানি দিয়ে ডাকা হতো। দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইলিং করে হাতিয়ে নেয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি, আলিশান ফ্ল্যাটের নিশ্চয়তা।

রাতে বাসায় পার্টির নামে বিত্তবান পরিবারের যুবকদের ডেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও করে প্রতারণাই ছিল তাদের অন্যতম পেশা।

গত রবিবার (১ আগস্ট) রাতে গ্রেফতারের পর পিয়াসা এবং মৌ দুজনকেই পৃথক দুটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা। মূলত, বিনোদনজগতে প্রতিষ্ঠা না পেয়ে রূপ, যৌবন হারিয়ে এই তরুণীরা বেছে নিয়েছে অপরাধের অন্ধকার জগত। সাথে নিয়েছেন হতাশাগ্রস্ত আরও শত তরুণীকে।

সূত্র বলছে, পিয়াসা রাজধানীর বারিধারা, উত্তরা এবং গুলশানের কয়েকটি বাসায় মাঝে মধ্যেই পার্টির আয়োজন করতেন। ওই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানো হতো বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। প্রতিটি পার্টিতেই গোপন ক্যামেরা বসাতেন পিয়াসা। রাখা হতো মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য। একপর্যায়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে কৌশলে তাকে গোপন একটি কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। পরবর্তীতে ওইসব দৃশ্য সামনে রেখেই তার কাছ থেকে নিয়মিতভাবে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের অর্থ।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) হারুন অর রশীদ বলেন, এ চক্রটির অদ্যোপান্ত বের করা হবে। পিয়াসা ও মৌ দুজনই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এদের অধীনে রয়েছে ১০০-১৫০ সুন্দরী রমণী। টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে তাদের বাগে আনতেন তারা। পরে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের টাকা। বনানীর রেইনট্রি হোটেলের নেপথ্য ভূমিকা ছিল পিয়াসার। তার বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭