ইনসাইড থট

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব: অসচেতনতা ও বর্জ্য বর্জনের খারাপ অভ্যাসের ফসল


প্রকাশ: 09/08/2021


Thumbnail

ডেঙ্গু সংক্রমণের মাত্রা এ বছর গত ২০১৯ সালের ন্যায় সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে এক আতঙ্কের পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বড় আকারের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। করোনাভাইরাসের মহাতাণ্ডবকালে ডেঙ্গু হয়েছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। সাথে আছে দোসর চিকনগুনিয়া। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৈশি^ক মহামারী হিসেবে সারা পৃথিবীর জনজীবন প্রায় অচল করে দিয়েছে। আর এ আতঙ্ক ও বিপদের মধ্যে মারণঘাতী আপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। আর এ আপদ তথা ডেঙ্গু জ¦রের প্রাদুর্ভাবের জন্য আমাদের অসচেতনতা, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব এবং বর্জ্য বর্জনের খারাপ অভ্যাসই প্রধানত দায়ী।   

বাংলাদেশের এ ভূখণ্ডে ডেঙ্গু জ্বরের উপস্থিতি ১৯৬৪ সালে প্রথম শনাক্ত হয়। তবে সংক্রমণের ঘটনা ছিল খুবই নগণ্য। প্রাদুর্ভাব আকারে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ এ দেশে শুরু হয়েছে বর্তমান শতকের শুরুতেই। এটি প্রধানত আফ্রিকা মহাদেশের রোগ এবং ঐ মহাদেশের অধিকাংশ দেশে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে। অনেক আগে থেকেই উনবিংশ শতাব্দীর শেষে এটি বিভিন্ন ট্রপিক্যাল ও সাব-ট্রপিক্যাল দেশে ছড়িয়ে পড়ে।  এটি মশাবাহিত রোগ, কাজেই এ রোগ কখনই পোলিও রোগের মতো নির্মূল করা যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। ডেঙ্গু, ভাইরাস নামক এক ধরণের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট এ রোগে তীব্র জ¦র ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। এ ভাইরাসের ৪টি সেরোটাইপ আছে, যেগুলোকে ১,২,৩ ও ৪ নং সেরোটাইপ বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যে সেরোটাইপের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু হবে, পরবর্তীতে অন্য সেরোটাইপের ভাইরাস থেকে ডেঙ্গু রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। কাজেই, একজন লোক সর্বোচ্চ ৪ বার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে দ্বিতীয়বার বা পরবর্তীতে পুনরায় আক্রান্ত হলে রোগীর খারাপ অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। এ মশা আরও ৩টি প্রাণঘাতী ভাইরাসের বাহক এবং সেগুলো হচ্ছে- চিকুনগুনিয়া, জিকা ও ইয়োলো ভাইরাস। ইতোমধ্যে এ দেশে ২০১৭ সাল থেকেই দৃশ্যমান আকারে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। কিন্তু জিকা ও ইয়োলো ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে এক মহাসমস্যার সৃষ্টি হবে। কাজেই, এডিস ইজিপ্টাই মশা ও ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ কার্যক্রম সফল না হলে অচিরেই জিকা ও ইয়োলো ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হতে পারে। যেহেতু মশাবাহিত রোগ, তাই একবার আস্তানা গাড়লে- সহজে ছেড়ে যাবে না। প্রতি বছর এজন্য রোগ ও মৃত্যুর বিনিময়ে মাশুল দিতে হবে।

জীবন ধারণের জন্য মশা ফুলের মধু, পাতার রস এসবের ওপরই নির্ভরশীল। যেহেতু বংশ বৃদ্ধি যে কোন প্রাণির একটি সহজাত প্রবৃত্তি। সে কারণেই, ডিম পরিস্ফুটনের জন্য রক্তের প্রয়োজন বিধায় স্ত্রী জাতীয় সকল প্রজাতির মশা রক্তের জন্য মানুষ ও প্রাণির দেহে হুল ফুটায় ও রক্ত সংগ্রহের সময় রোগ সংক্রমণ ঘটায়।  মশা গড়ে কম-বেশি দেড় মাস বাঁচলেও একটি পূর্ণাঙ্গ মশা উপযুক্ত পরিবেশ পেলে প্রতি তিন দিনে একবার ডিম পাড়ে। সে কারণেই মশার বংশ বৃদ্ধি ও বিস্তার অনেক অনেক বেশি। ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য দায়ী এডিস প্রজাতির এ মশা খুবই অল্প পানিতে (১ চা-চামচ) ডিম পাড়তে পারে। তবে পানি হতে হবে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার, বদ্ধ পাত্রে এবং অপেক্ষাকৃত ছায়া ও আর্দ্র পরিবেশে। এজন্য ফুলের টব, ফ্রিজের নিচের জমাকৃত পানি ছাড়াও গাড়ির অব্যবহৃত টায়ার, অব্যবহৃত বা জব্দকৃত গাড়ি, বাড়ির অনাচে-কানাচে পড়ে থাকা দই, আইসক্রিম, কফি, চা ইত্যাদির ছোট পাত্র, ডাবের খোলা এবং এমনকি বোতলের পড়ে থাকা ছিপি, কাচের ভাঙা পাত্র সবকিছুই এ মশার ডিম পাড়ার জন্য উপযুক্ত স্থান। করোনা সংক্রমণের কারণে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ হচ্ছে না। তাই নির্মাণাধীন ভবনসমূহ এখন এডিস মশার লাগসই প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। প্রজননের জন্য  শুধু প্রয়োজন একটু স্বচ্ছ ও পরিষ্কার বদ্ধ পানি। সে পানির জোগান দিতে আমাদের বর্জ্য বর্জনের খারাপ অভ্যাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অবদানই বেশি।                   
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুরু হয়েছে বেশ আগে। ঝড়, সাইক্লোন, বন্যা, বজ্রপাত ইত্যাদির আধিক্যের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতে এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। একে বলা হয়ে থাকে বৎৎধঃরপ ৎধরহভধষষ বা ভ্রমাত্মক বৃষ্টিপাত। বর্ষাকালে বৃষ্টি নেই। আবার হঠাৎ যখন বৃষ্টি হয়, তখন আর থামে না। কয়েক দিনের বৃষ্টি কয়েক ঘণ্টায় নামে। থেমে থেমে বৃষ্টি হয় কয়েক দিন বা মাস ধরে। এখন শ্রাবণের শেষ, অথচ শ্রাবণের ধারা এখনও চোখে পড়েনি। একদিন একটু বৃষ্টি হচ্ছে, আবার কয়েকদিন নেই। এটাই এডিস প্রজাতির বংশ বিস্তারের মহাসুযোগ। একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে পাত্রের জল বদ্ধ থাকে না, উপচিয়ে পড়ে যায়। ফলে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটে না। কিন্তু একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে না। অপরদিকে, আমরা বৃষ্টির স্বচ্ছ পানি আটকে থাকতে পারে, এমন অনেক বর্জ্য দ্রব্য এখানে-ওখানে ফেলে রাখছি। কাজেই, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন এবং বর্জ্য বর্জনে আমাদের খারাপ অভ্যাস, এ দুটোই এডিস মশার বংশ বিস্তার ও ডেঙ্গুসহ সংশ্লিষ্ট রোগের সংক্রমণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।

করোনার এ বৈশ্বিক মহামারীকালে হাসপাতালে জায়গা নেই। এ সময় ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে গেলে বরং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ¦র অতি উচ্চমাত্রার। এ জ্বর ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। সাথে থাকে মাথাব্যথা, চোখে ব্যথা বা শরীর ও পেট ব্যথা। চিকনগুনিয়ার লক্ষণও তাই। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকনগুনিয়া মারণঘাতী হয় না। শরীর অনেক দুর্বল হয় এবং সুস্থ হতে সময় লাগে। তীব্র জ¦রের কারণে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ায় পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য বেশি বেশি তরল জাতীয় খাদ্য, এমনকি খাবার স্যালাইন খাওয়া এবং প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে জ¦র কমিয়ে রাখা জরুরি। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ¦রে রক্তরস বা প্লাজমা শরীরের কোষে ছড়িয়ে যায়, তখন লালচে র‌্যাশ চামড়ার ওপর, চোখের কোণে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয়। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিরায় স্যালাইন দেয়া বা প্লাটিলেটের মাত্রা খুবই কমে গেলে প্লাটিলেটের দেয়ার প্রয়োজন হয়। না হলে ডেঙ্গু শক্ সিনড্রোমে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।  সম্পূর্ণ প্রাণ নয় বলে কোন ভাইরাস সরাসরি বংশ বিস্তার করতে পারে না। শরীরের কোন প্রোটিনের সংস্পর্শে এসে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে এবং এভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু ভাইরাস তেমনি রক্তের প্লেটিলেট নামক প্রোটিন আক্রমণ করে। আক্রান্ত প্লেটিলেট  আবার সুস্থ প্লেটিলেট ধ্বংস করে। প্লেটিলেট  শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তপাত বন্ধে সহায়তা করে। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রতি মাইক্রোলিটারে ১.৫ লাখ থেকে ৪.০ লাখ প্লেটিলেট থাকে। শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে প্লেটিলেটের মাত্রা প্রতি মাইক্রোলিটারে এক লাখের নিচে নেমে যায়। অবশিষ্ট ১০ থেকে ২০% শতাংশ রোগীর শরীরে এ মাত্রা ২০ হাজারের নিচে নামে। তখন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসক রোগীকে প্লেটিলেট দেয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন ‘সি’ ভিটামিন ‘কে’ রক্তে প্লেটিলেট বৃদ্ধি করে। এজন্য বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণের পাশাপাশি টক জাতীয় ফল বেশি খাওয়া এবং সবুজ শাক্-সবজি বিশেষ করে পালং শাক, কুমড়া, ব্রোকলি ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। সে প্রেক্ষাপটে আমাদের ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা জানা খুব জরুরি। কারণ ব্যবস্থাপনা ভলো হলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমে যায়। সব থেকে বেশি জরুরি হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেষ্ট হলে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি হয় না এবং ডেঙ্গু সংক্রমণের ঘটনাও ঘটে না।
 
বর্তমানে আমরা যেমন দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মহাসড়কে অগ্রসর হচ্ছি, তেমনি এর সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। ছোট কাপে দই, কফি, আইসক্রিম, বিভিন্ন ধরনের পানীয় ও ফলের রসের বোতল ইত্যাদি ছোট শহরে ও গ্রামে পৌঁছে গেছে। কিন্তু এসব ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট বর্জ্য বর্জনের অভ্যাসে মোটেই পরিবর্তন আসেনি। বর্জ্য ছুড়ে ফেলার মানসিকতা ও অভ্যাস আমাদের অনেক পুরোনো। বলতে গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। উন্নয়নের সাথে বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় একই মাত্রায়। ছেলেবেলায় লঞ্চে যাতায়াত করার সময় দেখেছি- লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি: ‘ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলুন, লঞ্চের ডেকে ফেলে নোংরা করবে না’ ইত্যাদি। এ মানসিকতার খুব একটা উন্নতি হয়নি। গাড়ির কাঁচ নামিয়ে বর্জ্য এমনকি কলার ছোলা বাইরে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে দেখেছি এই সাম্প্রতিককালেও। আমাদের উন্নয়নের সাথে বর্জ্য বৃদ্ধি পাবে, আর আমরা সব বর্জ্য বাইরে ফেলবো এবং সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার মেয়রগণ তা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করবেন- এ অসুস্থ মানসিকতার পরিবর্তন না হলে ডেঙ্গু রোগ কমবে না, বরং জিকা ও ইয়োলো ভাইরাসের সংক্রমণের রাস্তা সুগম করবে। এসব বর্জ্যরে মধ্যে ছোট ছোট কোন পাত্র বা এমনকি পানির বোতলের ছিপি বা মুখ বাইরে থাকলে এবং তাতে একটু বৃষ্টির পানি জমলেই এডিস মশার জন্য যথেষ্টু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কয়েক দিন বিরতি দিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই এসব ছোট পাত্রে এবং এমনিক বোতলের ছিপিতে জমা পাত্রে ডেঙ্গু মশার বিস্তার ঘটছে। ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের মাত্রা যেহেতু শহরাঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে, কাজেই ঢাকা শহরসহ সকল বড় শহরে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি ও ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি। ক্রমে ক্রমে এভাবে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ সব জেলা শহরে পৌঁছে যাবে, আর আমরা সচেতন না হলে এবং সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা না গেলে- তা গ্রামপর্যায়ে ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

এডিস মশা ময়লা পানিতে ডিম পাড়ে না। কাজেই, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা কর্তৃক ড্রেনে শুধু ওষুধ ছিটালেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ঘরের মধ্যে এবং আশপাশের এসব ছোট পাত্রে পানি জমার উৎস বন্ধ করতে হবে। এ মশা দিনে বা রাতে কামড়ায় না। এর আক্রমণ প্রধানত খুব সকালে ও সন্ধ্যার আলো আঁধারে। দিনে ও রাতের বেলায় এরা ঘরের মধ্যেই থাকে। থাকার স্থান হচ্ছে পর্দা, কাপড়, দড়ি বা এরূপ কোন ঝুলন্ত বস্তু। কাজেই, ছোট পাত্র ছুড়ে ফেলার অভ্যাস পাল্টানো, ঘরে ও আশপাশে এরূপ পাত্রে পানি জমার উৎস বন্ধ করা এবং দিনে ও রাতে ঘরের পর্দা, কাপড়, দড়ি এবং অন্যান্য ঝুলন্ত বস্তুর ওপর মশা মারার ব্যাট চালনা করে বসে থাকা মশা নিধন করাই হবে বর্তমানে প্রধান কাজ। ডেঙ্গু রোগ হলে আতঙ্কিত হওয়ার পরিবর্তে ডেঙ্গু রোগ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি জেনে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এডিস মশা যখন আছে এবং থাকবে, কাজেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি জিকা ও ইয়োলো ভাইরাস আসার রাস্তা তৈরি আছে। এ রাস্তা বন্ধ করার জন্য আমাদের ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান খারাপ অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এর বিকল্প নেই।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭