ইনসাইড বাংলাদেশ

কলাচাষে স্বাবলম্বী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/11/2017


Thumbnail

৩৫ বিঘা জমিতে সাগর কলার আবাদ করেছেন। এতে বছরে আয় করছেন প্রায় চার লাখ টাকা। এরই মধ্যে পেয়েছেন কলাচাষী হিসেবে জেলা শ্রেষ্ঠ পদকও। এই সবই করেছেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাহীন আলম। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকায় কলা চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

গত সপ্তাহে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাটিগ্রাম গ্রামের অনেক জায়গাজুড়েই রয়েছে বেশ কয়েকটি কলাগাছের বাগান। এইসব বাগানে কলার আবাদ করেছেন শাহীন আলম। কলা বাগানে গিয়ে দেখা মিলল তাঁর। পরিচর্যা করছেন কলাগাছের। বর্তমানে তিনি সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের কমার্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়া পাশাপাশি কলা আবাদ করেছেন তিনি। তাঁর বাবা শফিকুল ইসলাম তাঁকে এই কাজে অনেক সহযোগীতা করছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে এলাকার সকলেই সাধুবাদ জানাচ্ছে । কলা চাষে লাভবান হওয়া যায় এমনটা দেখে এলাকার অনেক কৃষকই এখন কলা চাষে আগ্রহী হয়ে কলার বাগান করেছেন।

শাহীন আলম জানান, ২০১১ সালে ঢাকার ধামরাই উপজেলার এক ব্যক্তির কলাচাষ ও লাভের কথা শুনে কলা চাষে আগ্রহী হন তিনি। এরপরের বছরই দুই বিঘা আবাদী জামিতে কলা বাগান করেন। প্রায় দশ মাস পরে কলা বিক্রি করে লাভ করেন এক লাখ টাকা। পরের বছর তিনি প্রায় সাত বিঘা জমিতে কলার আবাদ করে দুই লাখের বেশি আয় করেন। এভাবেই কলা চাষে ঝুঁকে পড়েন তিনি। আর বর্তমানে ৩৫ বিঘা জমিতে করেছেন কলার বাগান। এর মধ্যে নিজের ১০ বিঘা আর বাকি ২৫ বিঘা জমি ইজারা নিয়েছেন।

শাহীনের এই কলাচাষে লাভবান হওয়া দেখে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের সাত-আটজন কৃষক কলাচাষ করেছেন। কলাচাষ করার জন্য তাঁরা শাহীনে কাছ থেকে বিভিন্ন রকম পরামর্শও নিচ্ছেন। এদরে মধ্যে সইমুদ্দিন বলেন, `শাহীনের কলাচাষ দেইখা আমার আগ্রহ জাগে। পরে তার কাছ থেকে শুইনা তিন বছর আগে তিন বিঘা জমিতে কলাচাষ শুরু করি। আর এতে বেশ লাভবানও হই। বর্তমানে আমি ১৫ বিঘা জমিতে কলাচাষ করেছি।

কলাচাষে শহাীন আলমের সাফল্যে তার বাবা শফিকুল ইসলাম অনেক গর্বিত। তিনি বলেন, পড়ালেখা করেও আমার ছেলে কলাচাষে দিন-রাত কাজ করে চলেছে। এসব কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকার বিভিন্ন আরতে সরবারহ করা হচ্ছে। এ থেকে বেশ উপার্জনও হচ্ছে আর সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা।`

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা নাজিম উর রউফ খান বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শাহীন কলাচাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পড়ালেখা করেও একজন ভাল উদ্যোক্তা হওয়া যায় শাহীন আলম এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্বরূপ। কলাচাষে অসামান্য অবদান রাখায় তিনি পেয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ কলাচাষীর পদক।

তিনি আরও বলেন, পড়ালেখা করে অনেকে চাকুরির জন্য বেকার সময় কাটাচ্ছেন। শাহীনের মতো এসব শিক্ষিত তরুণরাও কালাচাষে সাফল্য অর্জন করতে পারেন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭