ইনসাইড ইকোনমি

বন্ডে বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 05/11/2017


Thumbnail

নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সারা বিশ্বে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই  বন্ড জনপ্রিয়। কারণ এগুলোর দাম খুব বেশি ওঠা-নামা করে না অর্থাৎ বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে । এর আগে আমরা মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ বন্ড সম্পর্কে জানব।বন্ড  সাধারণ শেয়ারের মতো নয়। যারা দীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগ করতে চান তাদের জন্যই বন্ড।

বন্ড কি?
বন্ড হচ্ছে এক ধরনের ঋণপত্র । কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তার আর্থিক প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে জনগণ তথা পুঁজিবাজার থেকে বা বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট সুদ হারে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যে ঋণ নিয়ে থাকে তাকে ঋণপত্র বলে। সাধারণ শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে মুল পার্থক্য হচ্ছে  শেয়ারে আপনি লাভ নাও পেতে পারেন। কোম্পানি লোকসান দিলে তো লাভ পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না । আবার কোম্পানি লাভ করলেও  প্রয়োজন বোধে  লভ্যাংশ  নাও দিতে পারে । কিন্তু ঋণপত্রে লাভ বা সুদ নিশ্চিত ।

বন্ড-বৃত্তান্ত

  • বন্ড সরকার, সরকারি সংস্থা কিংবা বেসরকারি সংস্থা যে কেউই ইস্যু করতে পারে।
  • আপনি যখন বন্ড কেনেন, তখন লগ্নির ওই টাকা আসলে সরকার বা কোন সংস্থাকে ধার দেন। যার বিনিময়ে তারা সুদ দেয় । ফলে এ ক্ষেত্রে আপনি ঋণদাতা। আর যিনি বন্ড বাজারে ছাড়ছেন তিনি ঋণগ্রহীতা।
  • কোনো সংস্থার শেয়ার কেনা মানে আপনি খাতা-কলমে তার আংশিক মালিক। বন্ডে কিন্তু তা নয়। এখানে আপনি বড়জোর ঋণদাতা।
  • শেয়ারের কোন মেয়াদ নেই। তাই যত দিন তা না বেচে হাতে রাখবেন, তত দিন ওই ‘মালিকানা’ভোগ করতে পারবেন । কিন্তু অধিকাংশ বন্ডেরই নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তা শেষ হওয়ার পর সুদ-আসল হাতে আসলেই ওই সংস্থার সাথে লেনদেন শেষ।
  • সাধারণত ব্যাংক আমানতে সুদ কমলে, সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ডের দাম বাড়ে। আর সুদ বাড়লে, ঋণপত্রের দাম কমে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বন্ড ধরে রাখলে শুরুতে তার যা দাম ছিল, সেই টাকাই ফেরত পাওয়া যায়। সাথে সুদও মিলে।


বন্ডই হোক বা শেয়ারই হোক কষ্টের টাকায় একটু ভাল রিটার্নের আশাতেই তা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করি আমরা। তাই ঋণপত্রে বিনিয়োগের আগেও তা থেকে কেমন মুনাফা পাওয়া যাবে, সেই ছবি  পরিষ্কার করে নেওয়া ভাল। ঋণপত্রে রিটার্ন কিন্তু ‘ইল্ডের’ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। তাহলে আগে দেখে নেই ইল্ড কী?

ইল্ড হচ্ছে প্রকৃত আয়।কোনও বন্ডে বিনিয়োগ করা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ, তা বিচার করতে তার সম্ভাব্য ইল্ড-ই অন্যতম মাপকাঠি।

১. বন্ড থেকে পাওয়া ‘সুদ’যা কুপন হিসেবে পরিচিত। ধরুন, ১০০ টাকা দামের বন্ড বছরে ১০ টাকা সুদ দিলে, তার কুপন ১০%। সাধারণত এই হার পুরো মেয়াদের জন্য একই থাকে।

২. ওই কুপন না-তুললে, তা আবার বন্ডেই বিনিয়োগ হয়। ফলে সেটা কুপনের উপরি সুদ। তার মানে, প্রথম বছরে কুপন হিসেবে পাওয়া ওই ১০ টাকার উপরেও দ্বিতীয় বছরে তার ১০% (১ টাকা) সুদ পাবেন আপনি।

৩. বাজারে বন্ডের দর ওঠা-নামা করে। ফলে ১০০ টাকায় কেনা বন্ড ১০৫ টাকায় বেচতে পারলে, তা থেকেও ৫ টাকা মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব।

এই তিন ধরনের প্রাপ্তি মিলিয়ে যে মুনাফা , তা মোট বিনিয়োগের অনুপাতে কতখানি, সহজ কথায় তাই হল ওই বন্ডের ইল্ড। তাই বন্ডে বিনিয়োগের আগে ইল্ড দেখে নেওয়া জরুরি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭