ইনসাইড আর্টিকেল

আজ বিশ্ব ওজোন দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/09/2021


Thumbnail

ওজোন স্তর আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। ১৯৮০ সালে প্রথম দেখা গেল যে ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পৃথিবীর মাটি থেকে ছয় মাইল ঊর্ধ্বে ওজোন স্তর। অক্সিজেন অণুর এক বিশেষ রংহীন রূপ এই ওজোন। মূলত এটি পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। এই অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হতে পারে ত্বকের ক্যান্সার, চোখের সমস্যা বা ফসলের ক্ষতি। ওজোন স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মানবসৃষ্ট রাসায়নিক যৌগ ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন-এর কারণে, যার সংক্ষিপ্ত নাম সিএফসি। ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন গ্যাস বা সিএফসি যেন অনেকটা ওজোন স্তরকে খেয়ে ফেলতে থাকে। এই সিএফসি থাকে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ক্যানে, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনারে। ফলস্বরূপ, ১৯৮৫ সালে দেখা গেল যে দক্ষিণ গোলার্ধের ওজোন স্তরে বড়সড় একটি গর্ত তৈরি হয়েছে।

তবে এখন এটি সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে।

আজ ১৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিশ্ব ওজোন দিবস। ওজোন স্তরের ক্ষয় ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর এই দিনটি আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালিত হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিশ্ব ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি-নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি।’

‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলি সিএফসি-র মতো রাসায়নিক উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়। উত্তর গোলার্ধের অংশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হবে ২০৩০ সাল নাগাদ এবং এন্টার্কটিকা অংশে সময় লাগবে ২০৬০ সাল পর্যন্ত।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭