ইনসাইড বাংলাদেশ

৪৩ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আ.লীগ প্রার্থীদের জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 19/09/2021


Thumbnail

দেশের ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামীকাল সোমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু ইতোমধ্যে ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদে  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এ ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মধ্যে বাগেরহাটের ৬৬টি ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না ৩৮টিতে। এ ছাড়া বাকি ২৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গ প্রতিদ্বন্দিতা করছেন আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহীরা।
 
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল  খুলনার ৩৪টি, বাগেরহাটের ৬৬টি, সাতক্ষীরায় ২১টি, নোয়াখালীতে ১৩টি, চট্টগ্রামে ১২টি এবং কক্সবাজারের ১৪টি ইউনিয়নে আগামীকাল নির্বাচন হবে। বাগেরহাটের বাইরে ৪টি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা যায়, দলীয় প্রতীকে ২০১৬ সাল থেকে দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন হলেও এবার বিএনপি  আগেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচনে অংশ নেবে না। ফলে আগে থেকেই এ রকম পরিস্থিতির আশঙ্কা করছিল আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল। নেতারা আশঙ্কা করছিলেন,দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরাই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন। এতে সংঘাত ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হবে। এ জন্য দলের কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ভবিষ্যতে আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে পারবেন না, এমন কড়া বার্তা দেয়া হয়। এরপরও বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন এবং হয়েছেন বহিষ্কৃতও। তবে বাগের হাটের পরিস্থিতি ভিন্ন। বিদ্রোহী পার্থী হতে ভয় পেয়েছে এখানে। আর এ কারণেই বিনা  প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীর সংখ্যা বেশি বলে মনে করছেন দলের নেতারা।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ গণমাধ্যমে বলেন, মাঠে সব রাজনৈতিক দল যদি এগিয়ে না আসে, তাহলে নির্বাচন কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে? আমরা তো প্রার্থী ঘোষণা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিদ্রোহী দাঁড়াতে বলতে পারি না।

এই বিষয়ে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গণমাধ্যমে বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হচ্ছে। এ দেশের রাজনীতি হচ্ছে নির্বাচন ঘিরে। এভাবে নির্বাচন হতে থাকলে মানুষের অনীহা আরো বাড়বে।

এ দিকে বাগেরহাটে চেয়ারম্যান পদে ২৮ ইউপিতে ভোট হবে আগামীকাল। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ২৬ নেতা-কর্মীকে ইতোমধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী হওয়ায় সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে ভোটের দিন সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। বাগেরহাটের বাইরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ১২টি ইউনিয়ন, কক্সবাজারের চার উপজেলার ১৪টি ও নোয়াখালীর দুই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলবে আগামীকাল। তবে সন্দ্বীপের চার ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সেসব ইউনিয়নে কেবল সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদেই ভোট গ্রহণ হবে। এ ছাড়া কক্সবাজারে যে ১৪ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে, প্রতিটিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে ১১ জনকে বিদ্রোহী হওয়ার কারণে সাময়িক বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। তারপরও ভোটের মাঠ ছাড়েননি তারা। এছাড়াও খুলনায় ১০টি ইউনিয়ন বেশি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মনে করছেন নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর মধ্যে দিঘলিয়া উপজেলার ছয়টি ও পাইকগাছা উপজেলায় চারটি ইউপি রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে কয়েক ধাপে ভোট হবে। গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ভোট স্থগিত করা হয়।  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭