ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাস্টিন ট্রুডো: আধুনিক বিশ্ব ব্যবস্থার স্বপ্ন সারথি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/09/2021


Thumbnail

কানাডায় এখন চলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। দেশটির নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই তার সবচেয়ে বড় কারণ দেশটির জনপ্রিয় নেতা জাস্টিন ট্রুডোকে ঘিরে। এমনিতেই কানাডার প্রতি সারা বিশ্বের মানুষের এক অন্য রকম আগ্রহ সব সময় বিদ্যমান থাকে তবে বর্তমান সময়ে সেই আগ্রহের সবটুকুই যেনো কেঁড়ে নিয়েছেন ট্রুডো একাই। 

তরুণদের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের মাত্রা সব সময় বেশিই থাকে। সেই বিশ্বাসের পালা ভর করেই ২০১৫ সালে জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক ব্যবধানে জয় লাভ করেন কানাডার সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো। চার বছর পর ২০১৯ সালে তিনি আবার জিতেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আসন সংখ্যা সেসময় অনেক কমে যায়। দেশটির পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৮টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে নির্বাচনে কোনো দল বা জোটকে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করতে হয়। তবে ২০১৯-এ এসে তিনি এককভাবে আর জয় লাভ করতে পারেন নি। ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি পার্টির কিছু ছবি সেসময় সামনে আসার ফলে আধুনিক, বৈষম্য বিরোধী নেতা হিসাবে তার ভাবমূর্তি ধাক্কা খায়। যার ফলে তাকে সংখ্যালঘু সরকার গড়তে হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণে একক আধিপত্য না থাকায় এবং বিরোধীদের ব্যাপক চাপের ফলে ২০২৩ সালে পরিবর্তে ২০২১ সালে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করেন ট্রুডো। তবে এই নির্বাচনেও তিনি এককভাবে জয়ী হতে পারবেন, যার ফলে এবারোও তাকে সংখ্যালঘু একটি সরকার গড়ে তুলতে হবে। 

আসলে ট্রুডোর প্রতি মানুষের এই আগ্রহের কারণ কি। তার দেশ হোক কিংবা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে, তাকে অনেকেই তরুণদের আইডল হিসেবে মেনে থাকেন। কানাডা এমনেতেই সারা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি উদার পন্থীনীতি মেনে চলে সব সময়। জাস্টিন ট্রুডো সেই নীতি আরো বেশি সহজতর করেছেন মানুষের জন্য। কানাডার অভিবাসন নীতিকে আরো সরল করেছেন যার ফলে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য কানাডায় পড়ালেখা থেকে শুরু করে কাজের জন্য আরো সহজ হয়ে গেছে পরিবেশ। 

এছাড়া তিনি মধ্যপ্রাচ্যর বাস্তুহারা অভিবাসীদের জন্য নিজ দেশের দরজা খুলে দিয়েছেন। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধবিধস্ত দেশ সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আরো সহজভাবে বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় খুব সহজে কানাডায় প্রবেশ করতে পেরেছেন। তিনি কয়েক হাজার মানুষকে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন যা ইউরোপ কিংবা আমেরিকার চাইতে অনেক বেশি। তার এসব উদ্যোগের ফলে সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের মাঝে তাকে ঘিরে উন্মাদনা আরো বৃদ্ধি পায়। তার নিজ দেশের মানুষ তার এসব উদ্যোগের প্রতি সব সময় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ আফগানিস্তান নিয়ে তার নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগগুলো সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে। 

তবে এসব উদ্যোগের মাঝে তার সরকারে বিরুদ্ধে কানাডাতেই কাজেই প্রতি অবহেলা আর কিছু দুর্নীতির অভিযোগে বেশ বেকায়দায় পড়ে যান ট্রুডো। তাছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ আর এই সময় অর্থনীতির বেহাল দশাও তার জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার অন্যতম মূল কারণ।  

তবে ২০২১এর মধ্যবর্তী নির্বাচনে জয় লাভ করে ট্রুডো দেশ বাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টুইট করে বলেছেন, ‘লিবারেল পার্টির ওপর বিশ্বাস রাখা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বেছে নিতে ভোট দেওয়ায় কানাডার নাগরিকদের ধন্যবাদ। আমরা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াই শেষ করতে যাচ্ছি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কানাডাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’

জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি বিশ্ব নেতাদের আগ্রহও কম নয়। সারা বিশ্বের নেতাদের মাঝে তাকে অন্যতম অনুকরণীয় নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ববাসীর প্রতি তার কথা এবং কাজ গুলো অন্য অনেক বিশ্ব নেতার জন্য অনুকরণীয় বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। তার বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কাজ গুলো সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষের মাঝে অনুকরণীয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭