ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলনের আগে পাসপোর্ট জমা দিন, হেলথ চেকআপ করান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/09/2021


Thumbnail

দ্বিতীয় দফায় বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠক শুরু হয়েছে আজ। দ্বিতীয় দফা বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এই বৈঠকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মতামত নেয়া হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সময় বৈঠক চলছে। বৈঠকে লন্ডন থেকে যুক্ত আছেন বিএনপির দণ্ডিত সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। দ্বিতীয় দফা বৈঠকেও আন্দোলনের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তারা এটিও বলেছেন যে, আন্দোলন করতে গেলে সঠিক নেতৃত্ব দরকার। এখন যে নেতারা আছেন তারা আন্দোলনের অনুপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তারা বলেছেন যে, আন্দোলনের আগে ঠিক করতে হবে বিএনপি আসলে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত কি না এবং নেতৃবৃন্দ আন্দোলন করতে কতটুকু সক্ষম।

একজন জেলার নেতা বলেছেন যে, আন্দোলনের আগে আমি দুটি শর্ত দিতে চাই। প্রথম শর্ত হল যে আন্দোলনের আগে নেতাদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হবে, তারা যে আন্দোলনের ব্যাপারে সত্যি সত্যি আগ্রহী সেটি প্রমাণ করতে হবে এবং তাদেরকে সুস্থ থাকতে হবে। ওই নেতা বলেন যে, বিএনপির অনেক নেতাই অসুস্থ। তারা নানান রকম রোগ-শোকে ভুগছেন, তারা আন্দোলন করার ক্ষেত্রে অক্ষম। এজন্য তিনি প্রথমে সব নেতার হেলথ চেকআপের প্রস্তাব করেন। হেলথ চেকআপে যদি দেখা যায় যে তারা রোগহীন তাহলে সে ক্ষেত্রে কেবল তাদেরকে আন্দোলনের জন্য নেয়া যেতে পারে। আর যারা অসুস্থ হবেন তাদেরকে মর্যাদা সহকারে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান ওই জেলার নেতা। ওই জেলার নেতা দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন যে, আন্দোলনের আগে সব নেতাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, আন্দোলনের ডাক দিয়েছে নেতারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান, সেটি হবে না। পাসপোর্ট জমা দিয়ে আন্দোলন করতে হবে। মূলত এই বৈঠকের শুরুর দিনই দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র নেতারা তোপের মুখে পড়েন। বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভূমিকা নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বৈঠকে হচ্ছে।

দলে জেলা পর্যায়ে এবং নির্বাহী কমিটির নেতারা বলছেন যে, বিএনপি কি এতই দুর্বল যে একটি আন্দোলন করতে পারেনা। আন্দোলনে ভয় কিসের। একজন জেলা কমিটির নেতা বলেন যে, আমার বিরুদ্ধে ৪৮ টি মামলা রয়েছে, আরও মামলা হবে। কিন্তু তাই বলে যদি আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াই তাহলে সেটি আমাদের জন্য হবে অবিবেচকের। আন্দোলন করার জন্য আগে নেতৃত্ব ঠিক করতে হবে, জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত এরকম মন্তব্য করে নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য বলেন যে, আমরা কি কর্মসূচি দিচ্ছি সেটি আগে দেখতে হবে। তবে আন্দোলন শুরু করার আগে সাংগঠনিক শক্তি পুনর্বিন্যাস করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন কয়েকজন নেতারা। তারা বলেছেন যে, গতকাল কৃষক লীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে আংশিক। ১২ জনের কমিটি দিয়ে একটি সহযোগী সংগঠন কিভাবে চলবে। পুরো কমিটি কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না। কমিটি ঘোষণা করতে কেন এত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব করা হয় সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেছেন যে, প্রত্যেকটি জেলায় যারা আন্দোলন করতে সক্ষম এমন নেতাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে, তাদেরকে দায়িত্ব দিতে হবে। দিয়েই আন্দোলন করতে হবে। এবার যদি আন্দোলন না করতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭