ইনসাইড আর্টিকেল

ইতিহাসের সাক্ষী আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান চার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/09/2021


Thumbnail

পুরনো ঢাকার অলিতে গলিতে আপনি খুঁজে পাবেন কালের সাক্ষী, নানা ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন। এই ঢাকা চিরযৌবনা, চির অনন্ত। যুগে যুগে কালে কালে এই বাংলার বুকে এসেছিল নানা গোত্র, নানা জাতি। কালচারাল মেল্টিং পট বলুন কিংবা আ ব্লিসফুল হোস্ট, ঢাকাকে কেন্দ্র করে নানা কাব্য গাঁথা রচিত হবেই। ঠিক যেমনটি হয়েছে আরমানিটোলায়। তার আগে বরং একটু ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি।

১৭শতক। নিজভূমে তখন পারস্যের বাহিনী কর্তৃক নানাভাবে অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হচ্ছে আর্মেনিয়ান জনগণ। রাজনৈতিক নানা স্বার্থ রক্ষার কারণে এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় করবার কারণে শাসকগোষ্ঠী কিছু কিছু আর্মেনিয়ানদের পাঠিয়ে দিতে শুরু করেন এই বাংলায়। যদিও কালের পরিক্রমায় দেখা যায়, এই দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের আগমন খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি, তবুও ঢাকায় তাদের একটি কম্যুনিটি গড়ে উঠেছিল। আর্মেনিয়ান ব্যবসায়ীরা পাট ও পাটজাত নানা দ্রব্য, চামড়া ইত্যাদি বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাটা ঠিকই জাঁকিয়ে বসেছিল এখানে। মুনাফা বেশি পাবার কারণে এবং জায়গাটি তাদের অনুকূলে থাকবার কারণে তারা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যে অঞ্চলে তারা বসবাস করতো , সেটিকে আজ আমরা আরমানিটোলা হিসেবে চিনি। এই আরমানিটোলাতেই তারা স্থাপন করে ‘ আর্মেনিয়ান চার্চ ’, যা একই সাথে কালের সাক্ষী বহন করে তো বটেই, আবার একইসাথে ১৭ ও ১৮ শতকে বাংলায় আর্মেনিয়ান কম্যুনিটি আবাসের গুরুত্বপূর্ন চিহ্ন বহন করে। আসুন এবার এই চার্চ সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাকঃ

আর্মেনিয়ান চার্চ

১৮ শতকের শুরুর দিকে এসে দেখা যায় ঢাকার এই অঞ্চলে আর্মেনিয়ানদের আনাগোনা বাড়ছে। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ও দাক্ষিণ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে তারা বিশেষ উন্নতি করতে শুরু করল। মেসার্স সারকিস এন্ড সন্স, মেসার্স ডেভিড এন্ড কোং ইত্যাদি নানা প্রখ্যাত ব্যবসায়ী স্থাপনাগুলো মুনাফা বেশ ভালোভাবেই পেতে শুরু করল এই অঞ্চলে। প্রথমদিকে দেখা গেল আর্মেনিয়ান সেটলাররা তাদের কম্যুনিটি গ্রেভইয়ার্ডের চারপাশ জুড়ে একটি ছোট চ্যাপেল তৈরি করেছে। তবে কম্যুনিটির চাহিদায় চ্যাপেলটি ছিল অপর্যাপ্ত। যার ফলে হোলি রিজারেকশন চার্চ দ্বারা এটি প্রতিস্থাপিত হয়। আগামিনাস কাটাচিক তার জমিটি দান করলেন এখানে একটি চার্চ নির্মাণের জন্য। এর আগে সেখানে একটি আর্মেনিয়ান গ্রেভইয়ার্ড বা কবরস্থান ছিল। এখানেই আর্মেনিয়ানদের জীবনাবসানের নানা চিত্র, নানা কাহিনী আবর্তন দেখতে পাওয়া যেত। মাইকেল সারকেস, অকোটাভাটা সেতুর সেভোরগ, আগা আমনিউস, মারকেরস পোগেস প্রমুখরাও নানাভাবে সাহায্য করেন এই চার্চ নির্মাণে। বিশপ এফরেইম চার্চটি পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন। ১৮৩৭ সালে একটি বেলফ্রাই এখানে যুক্ত করা হয়।

এছাড়াও তেজগাঁওতে তাদের একটি চ্যাপেল ও সেমিটারি তৈরি হয়েছিল। ‘আভেতিস’ নামক এক আর্মেনিয়ান বণিকের কবরের ফলক এখানকার সবচেয়ে পুরনো। ১৭১৪ সালের ১৫ অগাস্ট মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

নির্মাণের পঞ্চাশ বছর পর এর পশ্চিমদিকে একটি ক্লক টাওয়ার স্থাপন করা হয়। বলা হয়ে থাকে, চার মাইল সীমানা পর্যন্ত এই ক্লকটাওয়ারের ঘন্টার ধ্বনি শোনা যেত। এলাকাবাসী এই ঘড়ির সময়ের সাথে তাদের হাতের ঘড়ির সময় মিলিয়ে নিত। ১৮৮০ সালে এর ঘন্টাধ্বনি বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৮৯৭ সালে একটি ভূমিকম্প ক্লকটাওয়ারটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। মাইকেল জোসেপ মার্টিন ছিলেন আরমানিটোলার শেষ আর্মেনিয়ান যিনি এই চার্চের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। পাট ব্যবসার সাথে তিনিও যুক্ত ছিলেন।

এবার আসা যাক আর্মেনিয়ান চার্চ সম্পর্কে দুটি কথায়। দৈর্ঘ্যে চার্চটি প্রায় ২৩০মিটার। চারটি দরজা, সাতাশটি জানালা নিয়ে এর কাঠামো গঠিত হয়েছে। মূল অংশটি তিনভাগে বিভক্ত। রেলিঙের সাহায্যে বেষ্টিত পালপিট, মধ্যাংশে রয়েছে দুটো ভাঁজ করা এমন দরজা ও এক পার্শ্বে কাঠের বেষ্টন দিয়ে বেষ্টনীযুক্ত বসার অবস্থান রয়েছে। সর্পিলাকার সিঁড়িঘর চলে গিয়েছে এর তেতলা পর্যন্ত। এখানে একটি ওয়াচ হাউজও ছিল। জোহান্স পারু পিয়েতে সারকিস নামক এক ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন এই ওয়াচ হাউজ। কালের সাক্ষী এই চার্চ আজ অনেকটাই ন্যুব্জ। নানা ঝড়ঝাপটা এর ওপর দিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের পরে এই চার্চের জৌলুস অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। চৌকো একটি মিনার ছিল এখানটায়। ছিল শঙ্খনীল এক মিনার। ভারতের দিকে যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যায় যে এই ধরণের মিনার সাধারণত সম্মান প্রদর্শন করার লক্ষ্যে তৈরি করা হত। চার্চের ভেতরের করিডরটি প্রায় ১৪ফিট প্রশস্ত। চমৎকার একটি পেইন্টিংএর দেখা মিলবে এই চার্চের ভেতরে, যেটি এঁকেছেন চার্লস পোর্ট নামের একজন শিল্পী।

পুরনো গ্রেভইয়ার্ডে প্রায় ৩৫০জন মানুষকে কবর দেয়া হয়েছিল। সেখানে একটি মূর্তি সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। ক্যাটাচিক আভাতিক থমাস তার স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে তা কলকাতা থেকে কিনে আনা হয়েছিল এবং সেখানে খোদাই করে লেখা আছে “Best of Husband”

বর্তমানে বেশিরভাগ সময় এই আর্মেনিয়ান চার্চ বন্ধই থাকে, তবে মাঝে মাঝে দর্শনার্থীরা এখানে যেতে পারেন। বিবিসি ও এএফপির নানা প্রামাণ্যচিত্র ও লেখালেখিতে ফুটে এসেছে ১৭ শতকের আর্মেনিয়ানদের অন্যতম এই স্থাপনার কথা। বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অন্যতম একটি হেরিটেজ সাইট পুরনো ঢাকার এই আর্মেনিয়ান চার্চ ।

কালের সাক্ষী বলুন কিংবা পুরনো ঢাকার স্মৃতি, চাইলেই আপনি কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন শত বছরের এই পুরনো চার্চ থেকে। কে জানে, দেয়ালে কান পাতলে হয়ত শুনতে পাবেন যুগ যুগ ধরে বসবাস করতে থাকা আর্মেনিয়ানদের ধ্বনি!

ইতিহাসের সাক্ষী আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান চার্চ

পুরনো ঢাকার অলিতে গলিতে আপনি খুঁজে পাবেন কালের সাক্ষী, নানা ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন। এই ঢাকা চিরযৌবনা, চির অনন্ত। যুগে যুগে কালে কালে এই বাংলার বুকে এসেছিল নানা গোত্র, নানা জাতি। কালচারাল মেল্টিং পট বলুন কিংবা আ ব্লিসফুল হোস্ট, ঢাকাকে কেন্দ্র করে নানা কাব্য গাঁথা রচিত হবেই। ঠিক যেমনটি হয়েছে আরমানিটোলায়। তার আগে বরং একটু ইতিহাস থেকে ঘুরে আসি।

১৭শতক। নিজভূমে তখন পারস্যের বাহিনী কর্তৃক নানাভাবে অত্যাচারিত ও নিপীড়িত হচ্ছে আর্মেনিয়ান জনগণ। রাজনৈতিক নানা স্বার্থ রক্ষার কারণে এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় করবার কারণে শাসকগোষ্ঠী কিছু কিছু আর্মেনিয়ানদের পাঠিয়ে দিতে শুরু করেন এই বাংলায়। যদিও কালের পরিক্রমায় দেখা যায়, এই দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের আগমন খুব বেশি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি, তবুও ঢাকায় তাদের একটি কম্যুনিটি গড়ে উঠেছিল। আর্মেনিয়ান ব্যবসায়ীরা পাট ও পাটজাত নানা দ্রব্য, চামড়া ইত্যাদি বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাটা ঠিকই জাঁকিয়ে বসেছিল এখানে। মুনাফা বেশি পাবার কারণে এবং জায়গাটি তাদের অনুকূলে থাকবার কারণে তারা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যে অঞ্চলে তারা বসবাস করতো , সেটিকে আজ আমরা আরমানিটোলা হিসেবে চিনি। এই আরমানিটোলাতেই তারা স্থাপন করে ‘ আর্মেনিয়ান চার্চ ’, যা একই সাথে কালের সাক্ষী বহন করে তো বটেই, আবার একইসাথে ১৭ ও ১৮ শতকে বাংলায় আর্মেনিয়ান কম্যুনিটি আবাসের গুরুত্বপূর্ন চিহ্ন বহন করে। আসুন এবার এই চার্চ সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাকঃ

আর্মেনিয়ান চার্চ

১৮ শতকের শুরুর দিকে এসে দেখা যায় ঢাকার এই অঞ্চলে আর্মেনিয়ানদের আনাগোনা বাড়ছে। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ও দাক্ষিণ্যে ব্যবসা বাণিজ্যে তারা বিশেষ উন্নতি করতে শুরু করল। মেসার্স সারকিস এন্ড সন্স, মেসার্স ডেভিড এন্ড কোং ইত্যাদি নানা প্রখ্যাত ব্যবসায়ী স্থাপনাগুলো মুনাফা বেশ ভালোভাবেই পেতে শুরু করল এই অঞ্চলে। প্রথমদিকে দেখা গেল আর্মেনিয়ান সেটলাররা তাদের কম্যুনিটি গ্রেভইয়ার্ডের চারপাশ জুড়ে একটি ছোট চ্যাপেল তৈরি করেছে। তবে কম্যুনিটির চাহিদায় চ্যাপেলটি ছিল অপর্যাপ্ত। যার ফলে হোলি রিজারেকশন চার্চ দ্বারা এটি প্রতিস্থাপিত হয়। আগামিনাস কাটাচিক তার জমিটি দান করলেন এখানে একটি চার্চ নির্মাণের জন্য। এর আগে সেখানে একটি আর্মেনিয়ান গ্রেভইয়ার্ড বা কবরস্থান ছিল। এখানেই আর্মেনিয়ানদের জীবনাবসানের নানা চিত্র, নানা কাহিনী আবর্তন দেখতে পাওয়া যেত। মাইকেল সারকেস, অকোটাভাটা সেতুর সেভোরগ, আগা আমনিউস, মারকেরস পোগেস প্রমুখরাও নানাভাবে সাহায্য করেন এই চার্চ নির্মাণে। বিশপ এফরেইম চার্চটি পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন। ১৮৩৭ সালে একটি বেলফ্রাই এখানে যুক্ত করা হয়।

এছাড়াও তেজগাঁওতে তাদের একটি চ্যাপেল ও সেমিটারি তৈরি হয়েছিল। ‘আভেতিস’ নামক এক আর্মেনিয়ান বণিকের কবরের ফলক এখানকার সবচেয়ে পুরনো। ১৭১৪ সালের ১৫ অগাস্ট মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

নির্মাণের পঞ্চাশ বছর পর এর পশ্চিমদিকে একটি ক্লক টাওয়ার স্থাপন করা হয়। বলা হয়ে থাকে, চার মাইল সীমানা পর্যন্ত এই ক্লকটাওয়ারের ঘন্টার ধ্বনি শোনা যেত। এলাকাবাসী এই ঘড়ির সময়ের সাথে তাদের হাতের ঘড়ির সময় মিলিয়ে নিত। ১৮৮০ সালে এর ঘন্টাধ্বনি বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৮৯৭ সালে একটি ভূমিকম্প ক্লকটাওয়ারটিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। মাইকেল জোসেপ মার্টিন ছিলেন আরমানিটোলার শেষ আর্মেনিয়ান যিনি এই চার্চের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। পাট ব্যবসার সাথে তিনিও যুক্ত ছিলেন।

এবার আসা যাক আর্মেনিয়ান চার্চ সম্পর্কে দুটি কথায়। দৈর্ঘ্যে চার্চটি প্রায় ২৩০মিটার। চারটি দরজা, সাতাশটি জানালা নিয়ে এর কাঠামো গঠিত হয়েছে। মূল অংশটি তিনভাগে বিভক্ত। রেলিঙের সাহায্যে বেষ্টিত পালপিট, মধ্যাংশে রয়েছে দুটো ভাঁজ করা এমন দরজা ও এক পার্শ্বে কাঠের বেষ্টন দিয়ে বেষ্টনীযুক্ত বসার অবস্থান রয়েছে। সর্পিলাকার সিঁড়িঘর চলে গিয়েছে এর তেতলা পর্যন্ত। এখানে একটি ওয়াচ হাউজও ছিল। জোহান্স পারু পিয়েতে সারকিস নামক এক ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন এই ওয়াচ হাউজ। কালের সাক্ষী এই চার্চ আজ অনেকটাই ন্যুব্জ। নানা ঝড়ঝাপটা এর ওপর দিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের পরে এই চার্চের জৌলুস অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। চৌকো একটি মিনার ছিল এখানটায়। ছিল শঙ্খনীল এক মিনার। ভারতের দিকে যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যায় যে এই ধরণের মিনার সাধারণত সম্মান প্রদর্শন করার লক্ষ্যে তৈরি করা হত। চার্চের ভেতরের করিডরটি প্রায় ১৪ফিট প্রশস্ত। চমৎকার একটি পেইন্টিংএর দেখা মিলবে এই চার্চের ভেতরে, যেটি এঁকেছেন চার্লস পোর্ট নামের একজন শিল্পী।

পুরনো গ্রেভইয়ার্ডে প্রায় ৩৫০জন মানুষকে কবর দেয়া হয়েছিল। সেখানে একটি মূর্তি সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। ক্যাটাচিক আভাতিক থমাস তার স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে তা কলকাতা থেকে কিনে আনা হয়েছিল এবং সেখানে খোদাই করে লেখা আছে “Best of Husband”

বর্তমানে বেশিরভাগ সময় এই আর্মেনিয়ান চার্চ বন্ধই থাকে, তবে মাঝে মাঝে দর্শনার্থীরা এখানে যেতে পারেন। বিবিসি ও এএফপির নানা প্রামাণ্যচিত্র ও লেখালেখিতে ফুটে এসেছে ১৭ শতকের আর্মেনিয়ানদের অন্যতম এই স্থাপনার কথা। বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অন্যতম একটি হেরিটেজ সাইট পুরনো ঢাকার এই আর্মেনিয়ান চার্চ ।

কালের সাক্ষী বলুন কিংবা পুরনো ঢাকার স্মৃতি, চাইলেই আপনি কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন শত বছরের এই পুরনো চার্চ থেকে। কে জানে, দেয়ালে কান পাতলে হয়ত শুনতে পাবেন যুগ যুগ ধরে বসবাস করতে থাকা আর্মেনিয়ানদের ধ্বনি!



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭