নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 23/09/2021
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে থেকে একের পর এক টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরেকটি বেসরকারি ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংক। ব্যাংকটির ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে এ টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বেশ তোলপাড় তৈরি হয়েছে।
গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল এমন তথ্য উদঘাটন করে।
ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যেটি মূলত ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবসায় জড়িত। এই ব্যাংকটি ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও প্রকৃত পক্ষে ছিল ১২ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এরপর বিষয়টি ধামা চাপা দিতে নানা তৎপরতা শুরু হয়।
এ নিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিল হতে পারে, উধাও বলা যাবে না। আমার অ্যাকাউন্টে দুই লাখ থাকার কথা, সেখানে এক লাখ ৯০ হাজার হতে পারে এটাও একটা হিসাবের গরমিল, সেটা যে পরিমাণ টাকাই হোক না কেনো। কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে ভল্টের টাকায় গরমিলের মতো প্রমাণ যদি বাংলাদেশ ব্যাংক পাই, তবে অবশ্যই যথাযথ নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমি শিউর না, ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি এখনও তেমন কিছু জানি না। আসলে ব্যাংকটির কী গরমিল আছে জানি না, ভল্টে কম-বেশি হয়ে গেছে বা হয়ে থাকলে সেটাও ফল্ট। সুতরাং, এ ফল্ট যদি কোনো ব্যাংক করে তাহলে রুলস অ্যান্ড রেগুলেটরি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
এর আগে চলতি বছর ১৭ জুন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে চার কোটি টাকা লুট হয়েছিল। কয়েক মাস আগে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ব্যাংকটির একজন আইটি অফিসার এক হাজার ৩৬৩টি লেনদেনের মাধ্যমে দুই কোটি ৫৭ লাখ সরিয়ে নিয়েছিলেন। ঘটনাটি ব্যাংকের অডিটে ধরা পড়ে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭