ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার ৫০ বছরের সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/09/2021


Thumbnail

বর্তমানে জাতি একটি ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ একটি সরকার জবরদখল করে বসে আছে। যারা আমাদের ৫০ বছরের সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ দুঃসময় শুধু সংবাদ মাধ্যমের নয়, এ দুঃসময় শুধু বিএনপির নয়, এ দুঃসময় পুরো জাতির জন্য।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ এখন রাজনীতিবিদরা পরিচালনা করছে না। একজন রাজনীতিবিদকে (শেখ হাসিনা) সিকিউরিটি হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাকে দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী সব কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আজ সংসদে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জনকে নির্বাচিত করেছে। ২০১৮ সালে তারা আগের রাতেই ভোট ডাকাতি করেছে। আপনারা জানেন এ আওয়ামী লীগই ৭২-৭৫-এ চারটি সংবাদ মাধ্যম ছাড়া সব সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছিল। সংবাদ মাধ্যমকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে, যিনি স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে একটি গণতন্ত্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন, আমাদের বাক ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।

ফখরুল বলেন, একটি মুক্ত সমাজ, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাদের সেই আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আগেও বাকশাল গঠন করেছিল এবং এখনও গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা জানেন ২০১২ সালে বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সেটাকে লুফে নিয়ে বাস্তবায়ন করেছে, যার ফলে আজ নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজ আবার শোনা যাচ্ছে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। কেউ বলছে, এটার জন্য একটি আইন করা দরকার। কিন্তু আইনটি করবে কে? সংসদে তো আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকিছু নেই। যারা এ দেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে, তারাই আজ এ আইনটি করবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে মুক্ত গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যম কখনও একসঙ্গে যায় না। ফ্যাসিবাদ মানেই হলো ভয়ভীতি, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া। গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে অস্ত্রের মুখে টিকে থাকা। যে কৌশল আজ আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছে।

ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সভাপতি বাকের হোসেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭