ধামাকার চেয়ারম্যান-পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ী টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন ওই থানাধীন উত্তর আউচপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. শামীম খান। তিনি একজন পোশাক কারখানার পার্টস ব্যবসায়ী। 

আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি শাহ আলম বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নম্বর-১৩। এতে ধারাগুলো হলো ৪০৬/৪২০/১০৯/৫০৬ পেনাল কোড। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

মামলার আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএমডি জসিমউদ্দিন চিশতী (৫৭), চেয়ারম্যান ডা. এম আলী ওরফে মোজতবা আলী (৬০), সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা ডিএমডি দেবকর দে শুভ (৩২), নাজিম উদ্দিন আসিফ (২৮), এজিএম হেড অব একাউন্টস সাফোয়ান আহমেদ (৪১), ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন (৪৬), আসিফ চিশতী (২৬), সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান (৩৫), ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন (৩৫) ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয় (৪৫)।

মামলার বাদী শামীম খান জানান, গত ২০ মার্চ অনলাইনে ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালিত ধামাকা শপিং ডটকমের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেয়। অনলাইনে অফারটি দেখে প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন তিনি। যোগাযোগ করার পর তাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডার করলে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। সে অনুযায়ী ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে ও কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫ দিনেও পণ্য সরবরাহ করেনি। ৫০ দিন পর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে অপেক্ষা করতে বলে। এক মাস অপেক্ষা করার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর অপারেশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুইটি চেক দেওয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় একাউন্টে কোনো টাকা নেই। গত ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিও মামলার ৩নং আসামি মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে যাওয়ার পর তিনি টাকা না দিয়ে তাকে হুমকি দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবন্ধ। তিনি বুঝতে পারেন তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাই টাকা পরিশোধের ইনভয়েজ, ব্যাংকের চেকের ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহ করে মামলা করেন।