ইনসাইড বাংলাদেশ

পায়রা সেতু : দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য এক আর্শীবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/09/2021


Thumbnail

আরও সহজ হচ্ছে কুয়াকাটা যাতায়তের পথ। পায়রা নদীর উপর নির্মিত পায়রা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। এ সেতু যেন পুরো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য এক আর্শীবাদ।  এই সড়কের সর্বশেষ ফেরি বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে এক ‘উন্নয়ন বিপ্লবের’ সূচনা হবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

পায়রা সেতুর প্রায় সব কাজই শেষ। এখন চলছে রং প্রলপের কাজ। এক দশক আগে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা ১১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে ৭টি নদীতে ফেরি পার হতে হতো। এতে সাগরকন্যা দর্শনে বিড়ম্বনা আর সময়ক্ষয়ের অন্ত ছিল না। সব মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগত।

২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু। তারপরই চালু হয় ঝালকাঠি সওজ বিভাগের আওতায় খয়রাবাদ নদীর ওপর খয়রাবাদ সেতু। ২০১৬ সালে কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর ওপর শেখ কামাল সেতু, হাজিপুরে সোনাতলা নদীর ওপর শেখ জামাল সেতু এবং শেখ রাসেল সেতুর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এরপর লাউকাঠি নদীর ওপর চালু হয় পটুয়াখালী সেতু। সর্বশেষ নির্মাণকাজ শুরু হয় লেবুখালী ইউনিয়নের পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতুর।

১৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯৭৬ মিটার প্রস্থের পায়রা সেতুটি এক্সটা ডোজ ক্যাবল স্টোরেজ পদ্ধতিতে করা হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো ‘ব্রিজ হেলথ মনিটরিং সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেম বিভিন্ন দুর্যোগ ও অভারলোড গাড়ি চলাচলের ফলে সেতুর ক্ষতি হতে পারে, এর পূর্বাভাস দেবে। তা ছাড়া কর্ণফূলী সেতুর মতো পায়রা সেতুও লং স্প্যান ব্যবহৃত হয়েছে। 

পায়রা সেতুতে ২০০ মিটারের স্প্যান ব্যবহৃত হয়েছে। যা পদ্মা সেতুর স্প্যানের চেয়েও বড়। বাংলাদেশের অন্য কোনো সেতুতে এত বড় স্প্যান ব্যবহৃত হয়নি। এ ছাড়া নদীর মাঝখানে একটিমাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের পাইল ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্য, যা দেশের সর্বোচ্চ গভীরতম পাইল। সেতুটি নদীর জলতল থেকে ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু। উক্ত সেতুটি নির্মানে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭