ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

গ্রাহকদেরই লোভী বললেন পলাতক আনন্দের বাজারের এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/10/2021


Thumbnail

গ্রাহকদের আকর্ষণীয় দামে পণ্য দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ‘আনন্দের বাজার’–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমুদুল হক খন্দকার। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশ, সাংবাদিক ও গ্রাহকদের নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য করেছন তিনি।

আহমুদুল হক খন্দকার ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান আনন্দের বাজারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদেও আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাতে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন মো. সুজন নামের একজন গ্রাহক। এরপর তিন দফায় ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন আহমুদুল হক খন্দকার। 

সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি ই-কমার্সের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পুলিশ, সাংবাদিক ও গ্রাহকদের দায়ী করে গালাগালি করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তুলে আহমুদুল হক খন্দকার বলেন, ‘ওই দিন আমার পুলিশ ভাই এসেছিল, আমি ১২ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়েছি। কই, কেউ আমার পক্ষে কথা বলল না!’

পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার নিউটন দাশবলেন, ‘তাঁকে (আহমুদুল হক খন্দকার) গ্রেপ্তার করতে পারলে কারা ঘুষ নিয়েছে, কী কারণে টাকা দিয়েছে, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

আহমুদুল হক খন্দকার বলেন, ‘আজ আমরা ই-কমার্স কোম্পানি করে ভুল করেছি। আজকে কথায় কথায় ডিবি আসে, কথায় কথায় এনএসআই আসে। কেন তারা আসবে? কেন তারা ফোন দেবে? আমি কি চুরি করেছি? আমি তো ভ্যাট দিয়েই ব্যবসা করেছি?’

ই-কমার্সের গ্রাহকদের তিনি বলেন, ‘২০ শতাংশ কাস্টমারের কারণে আজকে ই-কমার্সের এই অবস্থা। আপনারা অতি উৎসাহী, আপনাদের কারণে রাসেল (ইভ্যালির সিইও), রিপন (কিউকমের সিইও) গ্রেপ্তার হয়েছে।’

গ্রাহকদের উদ্দেশে আনন্দের বাজারের প্রধান বলেন, ‘আপনারা কেন ছাড়ে পণ্য নেন? কেন মোটরসাইকেল, ফ্রিজ নেন ছাড়ে? কেন ছাড় ছাড়া মাল কেনেন না? গ্রাহকেরা লোভী। তাঁদের কারণেই আজ এই অবস্থা।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭