নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 13/10/2021
১৬ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফ ফুটবলে ফাইনাল খেলার দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ দল। রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ফাইনাল থেকে বঞ্চিত হলো। স্বপ্নটা প্রায় বাস্তবায়ন করেই ফেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা। কিন্তু সব স্বপ্নের সমাধি ঘটিয়ে ১-১ গোলে ড্র হলো ম্যাচ।
আবার কান্নাভেজা বিদায় সঙ্গী হলো লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের।এত কাছে, তবু কত দূরে—মাথায় হাত দিয়ে বাংলাদেশ দলের স্টাফ মহসীনের হাহুতাশের দৃশ্যটি যেন সে কথায় বলছে! এছাড়া মাঝমাঠের সৈনিক রাকিব হোসেনের কান্না তো থামানো যাচ্ছিল না কিছুতেই। এক অফিশিয়াল ও দলের ফিজিওর কাঁধে ভর দিয়ে তাঁকে নেওয়া হয়েছে মাঠের বাইরে।
ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমের অবস্থা সম্পর্কে উইঙ্গার রাকিব হোসেন বলেন, ‘সবাই কান্নাকাটি করছে।’ রেফারির সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত হওয়ায় ফুটবলারদের কষ্টটা বেশি, ‘সিদ্ধান্ত সঠিক হলে এত খারাপ লাগতো না। সিদ্ধান্তটা আনফেয়ার হওয়ায় খুব খারাপ লাগছে।’
ম্যাচের ৭৮ মিনিটের পর থেকে বাংলাদেশ দল বিপাকে। বিপদের শুরুটা হয় রাকিবের মাধ্যমেই। নেপালের অর্ধ থেকে লম্বা বল ব্যাক-পাস দেন বাংলাদেশের বক্সের দিকে। সেটা প্রায় ধরে নিচ্ছিল নেপালের ফরোয়ার্ড। তবে তার আগে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সামনে গিয়ে ক্লিয়ার করেন। ক্লিয়ার করার এক পর্যায়ে বল তার হাতে লাগায় রেফারি লাল কার্ড দেখান। বাংলাদেশ দশজনের দলে পরিণত হয়।
পরবর্তীতে নেপাল পেনাল্টিতে সমতা আনে, এতে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। রাকিবের এই লম্বা ব্যাকপাস না হলে ম্যাচের চিত্র ভিন্নও হতে পারতো। দুই কার্ডের জন্য রাকিব আগের ম্যাচে ছিলেন না। এই ম্যাচে অবশ্য শুরু থেকেই খেলেছেন। রাকিবকে করা ফাউল থেকে দশ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া সেই ফ্রি-কিক থেকে সুমন রেজা গোল করেন।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭