নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 14/10/2021
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩২ কোটি মানুষ চোখের রোগে ভুগছে। যাদের মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দৃষ্টিহীনতা এবং বাকি ২৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষ স্বল্প দৃষ্টি কিংবা অন্যান্য চোখের রোগে ভুগছে। তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ২য় বৃহস্পতিবার পালন করা হয় ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’ হিসেবে। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হবে ’বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০২১’। এবারের প্রতিপাদ্য Love Your Eyes, অর্থাৎ নিজের চোখকে ভালোবাসুন।
ওয়ার্ল্ড সাইট ডে’র মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা, রিফ্রাক্টিভ এরোর দূর করা, সমস্ত ধরনের রোগ নিরাময় করা ও অন্ধত্ব হয় এমন বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সাতটি কারণে মানুষ অন্ধ হয়। অন্ধত্বের যে সাতটি কারণ আছে যেমন ছানি বা আঘাত, ট্রাকোমা, রিফ্রাক্টিভ এরোর, এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লুকোমা অন্যতম। ভিটামিন “এ” এর অভাবে বাংলাদেশে আগে অনেকেই অন্ধত্ব বরণ করতো।
তবে বর্তমান সরকার ন্যাশনাল আই কেয়ারের মাধ্যমে ইপি আইয়ের মাধ্যমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল সরবরাহ করায় রাতকানা রোগ কমে গেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দেশের সবগুলো উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছেন। ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলে রোগীদের গ্লুকোমা স্ক্রিনিং করতে পারলে ও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি আছে কিনা ছবি তুলে টারশিয়ারি লেভেল হসপিটালে পাঠাতে পারলে দ্রুতই অন্ধত্ব দূরীকরণ সম্ভব।
ওয়ার্ল্ড সাইট ডে বা বিশ্ব দৃষ্টি শক্তি সংরক্ষণ দিবস উৎযাপনের সময় সেমিনার সিম্পোজিয়াম ফেস্টুন প্লাকার্ড ব্যবহার করে সরকারি এবং বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা সৃষ্টি করলে অন্ধত্ব দূরীকরণে সক্ষম হওয়া যাবে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালকে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া অন্ধত্ব নিবারণ ও চোখের যত্নে কয়েকটি বিষয়ে সচেতনতা জরুরী-
(১) ছোট মাছ শাকসবজি ও হলুদ ফলমুল খেলে চোখের দৃষ্টি বাড়ে।
(২) প্রতি ২০ মিনিট পর পর মোবাইল বা ল্যাপটপ বা টেলিভিশন দেখার পর ২০ ফুট দুরে ২০ সেকেন্ড তাকালে চোখের ব্যাথা ও মাথার ব্যাথা দূর হবে।
(৩) চোখের যত্নে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বা চশমার প্রয়োজন আছে কিনা নিয়মিত চেকআপ করা দরকার।
(৪) পুষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
(৫) নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার।
(৬) যে সমস্ত খাবার খেলে ডায়াবেটিক হয়, ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি হয় সেসব খাবার বর্জন করা।
(৭) ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখা ও গ্লুকোমা পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
(৮) প্রেসক্রিপশন মোতাবেক ঔষধ ব্যবহার করা উচিৎ। গ্লুকোমার ঔষধ নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়।
(৯) কোনো ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে যখন-তখন ব্যবহার করলে চোখের প্রেসার বেড়ে যেতে পারে বা চোখের ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭